কালকিনিতে পুকুর থেকে মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার
মাদারীপুরের কালকিনিতে আরিফুল (১৫) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে কালকিনি উপজেলার কৃষ্ণনগর এলাকার একটি পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, আরিফুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা এর ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মো. আরিফুল ইসলাম সদর উপজেলার হোগলপাতিয়া গ্রামের হারুন সরদারের ছেলে। সে কালকিনি উত্তর কৃষ্ণনগর গ্রামের মুফতি মো. মনিরুজ্জামান প্রতিষ্ঠিত দারুল কুরআন হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসার ছাত্র। গত দুই বছর পূর্বে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করে আসছে। আজ সকালে মাদ্রাসার পূর্ব পার্শ্বের মো. বোরহান হাওলাদারের বাড়ির সামনে পুকুরে লাশটি ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার একাধিক ছাত্র জানায়, রাতে আমরা একসাথে খাবার খাই। পরে বাবুর্চি বোরহান ভাই ওকে ডেকে নিয়ে বাইরে যায়। এরপর রাতে আর ও ফিরে আসেনি।
ছাত্রের পিতা মো. হারুন সরদার বলেন, আমার ছেলে খুবই নিরীহ প্রকৃতির ছিল। মনির ভাইয়ের মাদ্রাসায় দিলাম একজন ভালো আলেম বানিয়ে নিব। আজ আমার ছেলের লাশ বাড়ি নিতে হবে। আমার ছেলেকে রাতে খাবারের পর এই মাদ্রাসার বাবুর্চি বোরহান ডেকে নিয়ে যায়। রাতে আর মাদ্রাসায় ফিরে আসেনি। সকালে আমার বাপের লাশ বোরহানের পুকুরে পায় লোকজন।
এটা পরিকল্পিত হত্যা, আমি এর ন্যায়বিচার চাই।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি মো. মনিরুজ্জামানের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, সকালে পৌরসভার কৃষ্ণনগর এলাকার একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় স্থানীয়রা লাশটি দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মাদারীপুর মর্গে পাঠানোর কার্যক্রম চলছে। এখনো কেউ আটক হয়নি।
জামান / জামান