বশেমুরবিপ্রবিতে হল প্রভোস্টকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় শিক্ষকদের মানববন্ধন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বশেমুরবিপ্রবি হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মো: ফায়েকুজ্জামান মিয়াকে শেখ রাসেল হলে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ।
সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষকের উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে মূল্যবান উপাদান এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত শিক্ষার্থীরা কখনোই একজন মুক্তিযুদ্ধে চেতনা সম্পন্ন শিক্ষকের সাথে বেয়াদবি করতে পারেনা। আমরা চাই আগামী দিনে একজন মুক্তিকামী শিক্ষক হিসেবে প্রত্যেক শিক্ষকের পক্ষে প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীরা কাজ করবে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এর দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিবে।
ব্যবসায় অনুষদের ডিন মো: রোকনুজ্জামান বলেন, আমাদের শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের পাঠ দান করানো, গবেষনায় সহযোগিতা করা এবং নিজেও গবেষণা করা। কিন্তু এর বাইরেও প্রশাসনিক কিছু দায়িত্ব রয়েছে যেগুলো আমাদের পালন করতে হয়। আমাদের সর্বত্ত চেষ্টা থাকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সমানভাবে বিবেচনা করে সেই জায়গাগুলোতে দায়িত্ব পালন করা। কারো কোনো পদক্ষেপে অসন্তুষ্টি থাকতেই পারে। সেক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই অধিকার আছে তা প্রকাশ করার। এক্ষেত্রে তাদের উচিৎ তাদের সমস্যা গুলো একটি নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে তুলে ধরা। কিন্তু সেটা না করে শিক্ষকের সাথে খারাপ ভাষায় কথা বলা সমীচীন নয় এবং এটা খুবই দুঃখজনক যা মেনে নেওয়ার মতো নয়। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি এরকম হেনস্তার স্বীকার হতে হয় তবে আমদের দায়িত্ব থেকে সরে আসা ছাড়া কোনো উপায় থাকবেনা। বিশ্ববিদ্যালয় একটা নিয়মতান্রিক উপায়ে চলে। এর বাইরে যাই হোক না কেনো তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। আমরা মনে করছি এর একটা সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিপন খলিফা বলেন, জনাব ফায়েকুজ্জামান এর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার সাথে জড়িত শিক্ষার্থীদের একজন শিক্ষকের সাথে কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, বাবা-মায়ের সাথে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটা জানা জরুরি বলে আমি মনে করি। আমরা লজ্জিত যে আজকে এরকম একটা বিষয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হয়েছে এবং এর জন্য প্রশাসনের নিরবতা অনেকটাই দায়ী বলে আমি মনে করি। যদি প্রত্যেকটা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করা হতো তাহলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতো না। আমরা চাই প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসবেন।
এ বিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: শাহজাহান বলেন, আমরা কিছুদিন ধরে খেয়াল করছি ছাত্ররা কিছু বিষয়ে একটু বেশি মাত্রায় ক্রিয়াশীল। আমরা জানি আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে যা নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে হয়। ছোট ক্যাম্পাস বিধায় সবাইকে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়না। তাই বলে যদি এতে কেউ সংক্ষুব্ধ হয় তার সে প্রতিবাদ করার একটা ভাষা আছে। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলার ব্যাঘাত না ঘটে। আমি শিক্ষার্থীদের কাছে অনুরোধ করবো তারা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো কাজে লিপ্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে। প্রশাসনের কাছে দাবী থাকবে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক একটা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন যাতে একসল শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করতে নিরুৎসাহিত হবে।
এমএসএম / এমএসএম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

গঠনতন্ত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংযোজন করে ইকসু'র দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টার পুনঃনিয়োগ

পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির নতুন সভাপতি রউফ, সম্পাদক তন্নি

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় পবিপ্রবির ৩ শিক্ষার্থী

রাবিতে শাটডাউন প্রত্যাহার, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের

পিছানো হল চাকসু নির্বাচন

রাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
