কালের সাক্ষী ‘গোবিন্দ ভবন’ জমিদার বাড়ি

গোবিন্দ ভবন,ঐতিহাসিক ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া জমিদার বাড়ি নামে পরিচিতি,১২৭০ বঙ্গাব্দ তৎকালীন জমিদার গোবিন্দ চন্দ্র রায় এ ভবন নির্মাণ করেন। ইট, বালু, চুন ও সুরকি দিয়ে নির্মিত জমিদার বাড়িটি কালের সাক্ষী হিসেবে হাজারো ঐতিহ্য বুকে ধারণ করে ১৫৮ বছর ধরে এখনো দাঁড়িয়ে আছে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের গাংগুটিয়া গ্রামে। গোবিন্দ ভবনটি ঢাকা থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া গ্রামে অবস্থিত। আসার জন্য রয়েছে পাকা-কাঁচা ও ইট সলিং রাস্তা।
তৎকালীন জমিদার কালা চাঁদ সাহার ছেলে গোবিন্দ চন্দ্র রায়, গোবিন্দ চন্দ্র রায়ের ছয় ছেলে এক মেয়ে ছিলেন। তাদের নাম- নবদ্বীপ রায়, রাথা চরন রায়, উমবিকা চরন রায়, জগোবন্ধু রায়, দীনোবন্ধু রায়, সাধু চরন রায়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন গোবিন্দ চন্দ্র রায় বংশের চারজনকে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। তারা হলেন- অ্যাডভোকেট সুধীর কুমার রায়, কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কালী প্রসন্ন রায়, মৃনাল কান্তি রায় এবং বিজয় রত্ন রায়।
জানা যায়, গোবিন্দ্র চন্দ্র রায় ১২৭০ বঙ্গাব্দে এ জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন, যার বয়স এখন ১৫৮ বছর। একটি কাছারি ঘরসহ ছয়টি ভবন নিয়ে এ জমিদার বাড়িটি নির্মিত। গোবিন্দ চন্দ্র রায়ের নাম অনুসারে বাড়িটির নামকরণ করা হয় ‘গোবিন্দ ভবন’। গোবিন্দ চন্দ্র রায়ের ছয় ছেলের জন্য ছয়টি ভবন নির্মান করা হয়। রয়েছ একটি ঘাটলাসহ সুবিশাল পুকুর।
বর্তমানে জমিদার বাড়িটিতে গোবিন্দ চন্দ্র রায়ের বংশধররা বসবাস করেন। কিন্তু সংস্কার না করার কারণে ভবনগুলোতে ফাটল ধরেছে, ভেঙে পড়েছে দ্বিতীয় তলার ছাদসহ দেয়াল। ঈদ, পূজা, বিভিন্ন দিবসসহ ছুটির দিনে অনেক ভ্রমণপ্রেমী বেড়াতে আসেন এই জমিদার বাড়িতে।
ব্যক্তি মালিকানাধীন এ ভবনে বেড়াতে দিতে হয় না কোন টিকেট ফ্রি। বর্তমানে ভবন গুলা রাম গোপাল রায়,স্বদেশ রঞ্জন রায় সহ গোবিন্দ চন্দ্র রায়ের ছয় ছেলের বংশধরা বসবাস ও দেখা শুনা করেন।গোবিন্দ ভবনটি ২৬৮ শতাংশ জমির ওপর অবস্থিত,জমিদার বাড়িতে ১টি পুকুর,কাচারি ঘর,মন্দির ও ছয় বাড়িতে রয়েছে ছয়টি কুয়া। জমিদাররা অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য কাচারি ঘর তৈরি করতো। মূল প্রাসাদের প্রবেশের পথে আছে বেশ বড় একটি ফটক। প্রবেশ পথে কাচারি ঘর,কাচারি ঘরের উপরে পাথরের একটি বাঘের মধ্যে দুইটি পরি'র মূর্তি বসানো রয়েছে।
জমিদার বাড়িতে বেড়াতে মো. মামুন হোসেন জানান,জমিদার বাড়িটির সংস্কারের অভাবে সুরকি ইট বালু আস্তে আস্তে ক্ষয়ে ক্ষয়ে পড়ে যাচ্ছে। হয়তো এক সময় বিলীন হয়ে যাবে। এখন সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নেওয়া উচিত বাড়িটি রক্ষায়।গোবিন্দ চন্দ্র রায়ের বংশধর রাম গোপাল রায় বলেন,আমাদের বাড়ি দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে কত মানুষ আসত।এখন আর তেমন মানুষ আসে না। আমরা প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে বাড়িটি সংস্কার করতে পারছি না। দিন দিন এই বাড়িটি বিনষ্ট হচ্ছে। সরকারি অর্থে এই বাড়িটি প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হলে ঐতিহাসিক কারুকার্যময় এই বাড়িটি যেমন রক্ষা পাবে ঠিক তেমনি এই বাড়িটি দেখার জন্য দেশ বিদেশ থেকে পর্যটকদের আগমন বাড়বে।
এমএসএম / জামান

চট্টগ্রামে রাস্তায় ৫০ হাজার অনিবন্ধিত সিএনজি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কসবায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ, রফিকুল আলমের চাকরিচ্যুতি দাবিতে মানববন্ধন

তাড়াশে বিয়ে বাড়িতে চুরির ঘটনা

টুঙ্গিপাড়ায় শুরু হয়েছে টাইফয়েড ভ্যাকসিন টিকাদান কর্মসূচি

তেঁতুলিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পর্যটন কেন্দ্র এখন মোহনগঞ্জের গলার কাঁটা

অভয়নগরে শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ

রাঙামাটিতে টাইফয়েড টিকাদান শুরু
