ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি, কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক ভাঙন


মজিবর রহমান, গাইবান্ধা photo মজিবর রহমান, গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ২৫-৫-২০২২ বিকাল ৫:৮

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতগতিতে পানি বৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যে নদের তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে।

প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ফুলছড়ি উপজেলার সাত ইউনিয়নেই বন্যা ও নদীভাঙন দেখা দেয়। নদীভাঙনে সর্বহারা হয় নদীপাড়ের শত শত পরিবার। নদীপাড়ের বাসিন্দাদের প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিকে থাকতে হয়। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। গত কয়েক দিনের টানা প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র নদীভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের ফলে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বাড়ি-ঘর, গাছপালা ও আবাদী জমি।

সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের কটিয়ারভিটা, ভুষিরভিটা, দাড়িয়ারভিটা ও এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জিগাবাড়ী, সন্ন্যাসীরচর, আনন্দবাড়ী, চর চৌমহন, ধলী পাটাধোয়া গ্রামে। এসব এলাকায় এরই মধ্যে দুই শতাধিক পরিবার ভাঙনের শিকার হয়ে তাদের বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে উড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কাবিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর-কালাসোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাড়িয়ারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকার বহু ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি।

সরেজমিনে উড়িয়া ইউনিয়নের কটিয়ারভিটা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এ এলাকায় ভাঙনের গতি বেড়ে গেছে। ভাঙন এলাকার লোকজনের মাঝে দুশ্চিন্তা বিরাজ করছে। বাড়ি-ঘর ভেঙে ও গাছপালা কেটে নিয়ে এলাকা ছাড়ছেন নদীপাড়ের মানুষ।

ভাঙনের মুখে থাকা দাড়িয়ারভিটা গ্রামের আনোয়ারা বেগম (৪৬) বলেন, বর্ষার শুরুতে যেভাবে নদীভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে এ বছর আর নিজের বসতভিটায় থাকা হবে না। রাতে ঘুম ধরে না, ভাঙনের আতঙ্কে থাকতে হয়। পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্য কোথাও যাওয়ার তেমন জায়গা নেই। খুবই দুশ্চিন্তা হচ্ছে।

প্রায় একই ধরনের কথা বললেন ওই গ্রামের আব্দুল আজিজ, শামছুল আলম, আবু বক্কর,জাহিদুল ইসলাম ও ছকু মিয়া সহ অনেকে।

উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, নদীভাঙন এ এলাকার মানুষের প্রধান সমস্যা। প্রতি বছর ভাঙনে অনেক পরিবার তাদের বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়ে ফেলেন। তাই ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় উপ-প্রকৌশলী মজিবর রহমান বলেন, নদীভাঙন রোধে উড়িয়ার কটিয়ারভিটা থেকে ভুষিরভিটা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ৬৫০ মিটার এলাকায় ৬৫ হাজার বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। প্রকল্প এলাকা ভাঙনমুক্ত হলেও আশপাশের কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমএসএম / জামান

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত