জেলার চাহিদা মিটিয়ে ফুলছড়ির শুকনো মরিচ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে

গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি হাটে গড়ে উঠেছে জমজমাট মরিচের হাট। এ হাটে বিন্দু,সাপ্লাই,ডেমা, ডেমা হাইব্রিড,জিরা, আকাশিসহ দেশি বিভিন্ন জাতের মরিচ বিক্রি করা হয়।বছরে প্রায় ছয় মাস ধরে চলা এ হাটে প্রচুর পরিমাণ মরিচ বেচাকেনা হয়। হাটটিতে উত্তরাঞ্চল থেকে বেশি মরিচ আসে।
এ স্থানটি অনেকের কাছে তিস্তামুখ ঘাট নামেও পরিচিত। মরিচের মৌসুমে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত হয় বিকিকিনি। ব্যবসায়ীরা ট্রাকে করে এখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মরিচ নিয়ে যান। হাটে প্রতিদিন ১০০০-১৫০০ হাজার মণ মরিচ বেচাকেনা হয়।
মরিচের হাট কেন্দ্র করে এ অঞ্চলে একদিকে যেমন বেড়েছে মরিচের আবাদ, তেমনি বেড়েছে মরিচ ব্যবসায়ীর সংখ্যা।ফুলছড়ি,উড়িয়া,গজারিয়া ,ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ী,কঞ্চিপাড়া ও উদাখালী ইউনিয়নের শত শত চাষি মরিচ বিক্রি করতে হাটে আসেন। হাটে আসা মরিচ বিক্রেতা পাশান আলী বলেন,আমি তিন বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
ইতোমধ্যে ১ লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করতে পেরেছি। আরো প্রায় ৫০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করবো।
আরেক চাষি আফতার হোসেন বলেন, এ হাটে মরিচের চাহিদা অনেক। এবার মরিচের ভালো ফলনের সঙ্গে দামও ভালো পাচ্ছি। বর্তমানে ফুলছড়ি উপজেলার চর অঞ্চলের মানুষের কাছে মরিচ প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিণত হয়েছে। আগামীতে বেশি করে মরিচ চাষ করার আশা করছি।
লালমনিরহাট থেকে আসা মরিচ ব্যবসায়ী রহমান মিয়া বলেন, এটি উত্তরাঞ্চলের বিখ্যাত মরিচের হাট। কয়েক বছর ধরে আমি এ হাট থেকে মরিচ কিনছি।
সরেজমিনে ফুলছড়ি হাটে গিয়ে কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হয়লে। তারা জানান,যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় উৎপাদিত পণ্য হাটে নিয়ে বিক্রি করতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। বাধ্য হয়ে তারা গ্রামে আসা ব্যাপারিদের কাছে কমদামে এই মরিচ বিক্রি করেন। এতে করে তাদের খুব বেশি লাভ হয় না।
ফুলছড়ি উপজেলার দুর্গম চরের এরেন্ডাবাড়ি,ফজলুপুর ইউনিয়নের কৃষকরা জানান,এ উপজেলার চরাঞ্চলে শত বছরের বেশি সময় ধরে মরিচ চাষ করে আসছেন তারা। কম পুঁজিতে বেশি লাভের কারণে চরে মরিচ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।একজন কৃষক ৩/৪ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করতে পারলে, পরিবারের সারা বছরের সব ধরনের খরচের টাকা উঠে যায়।গলনার চর গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা এতো কষ্ট করে আবাদ করি। কিন্তু রাস্তাঘাট না থাকায় সহজে হাটে বিক্রি করতে পারি না।
কাউয়াবাতার চর গ্রামের জব্বর আলী বলেন,মরিচের চাষ করতে খুব বেশি খরচ হয় না। এক বিঘা জমিতে মরিচের আবাদে খরচ হয়েছে ১৪/১৫ হাজার টাকা। ফলন হয়েছে ৮ মণ। শুকানোর পর প্রায় ৬ মণ হয়েছে৷ প্রতি মণ শুকনো মরিচ ৭ হাজার টাকায় বিক্রি করছি। সরাসরি বড় কোম্পানিকে দিতে পারলে প্রতি মণ মরিচ ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারতাম।
ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর এবং গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,এ বছর ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন চরে ১ হাজার ১৮৫হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ করা হয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: মিন্টু মিয়া দৈনিক সকালের সময় এর প্রতিনিধি কে বলেন,প্রতি বছর এই চর গুলোতে প্রচুর মরিচ উৎপাদন হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় কৃষকরা উৎপাদিত পণ্য সরাসরি হাটে নিয়ে আসতে পারেন না।তিনি আরও বলেন,এরেন্ডাবাড়ির চরের এই মরিচ দিয়ে গোটা জেলার মরিচের চাহিদা পূরণ করেও বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। সংরক্ষণের অভাবে অনেক মরিচ নষ্ট হয়ে যায়। চর গুলোকে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে একটি উন্নতমানের সংরক্ষণাগার এবং সরাসরি বাজারে লিংকেজ করা গেলে কৃষকরা উপযুক্ত মূল্য পেতেন। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা হলে কৃষকের কষ্ট অনেক কমে যেত বলেও তিনি জানান।
এমএসএম / এমএসএম

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত
Link Copied