ইবি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের মাদকসেবন
মাদকবসেবনের অভয়াশ্রম হিসেবে পরিণত হয়েছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়। মাদকপ্রাপ্তির সহজলভ্যতা ও পুলিশের ভয় না থাকায় ক্যাম্পাসকে মাদকসেবনের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছেন মাদকসেবীরা। বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও বহিরাগতরা নিয়মিত মাদকের আড্ডা বসান ক্যাম্পাসে। সম্প্রতি বিশ^বিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হল সংলগ্ন ক্রিকেট মাঠে বহিরাগতদের মাদকসেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায় দুইজন বহিরাগত গাজা সেবনের জন্য প্রস্তুত করছেন। দুইজনের মধ্যে একজন বিশ^বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল সংলগ্ন দোকানী ইদ্রিস আলীর ছেলে ইব্রাহীম। অন্যজন বিশ^বিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার মসজিদের ইমাম ইউসুফের ছেলে খালিদ বলে জানা গেছে। এর আগে ক্যাম্পাসে মাদকসেবন করাই একাধিকবার ইব্রাহিম ও খালিদকে সতর্ক করে কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে তারা আড়ালেই নিয়মতি মাদকসেবন করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে কিছুদিন আগে মাদক কেনা-বেচার অভিযোগে বিশ^বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল পুকুর পাড় সংলগ্ন মোমিনের দোকান ৭দিনের জন্য সিলগালা করে কর্তৃপক্ষ।
সচেতন শিক্ষার্থীরা বলছেন, দিনে দিনে মাদকের আখড়া হয়ে উঠছে আমাদের বিশ^বিদ্যালয়টি। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে খোলামেলা মাদকসেবন করছে শিক্ষার্থীসহ বহিরাগতরা। এ নিয়ে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কঠোর কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এভাবে চলতে থাকলে বিশ^বিদ্যালয় অন্তঃস্বারশূন্য হয়ে পড়বে। বিশ^বিদ্যালয়ের মান রক্ষার্থে ক্যাম্পাস থেকে মাদক নির্মূল এবং বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য কমাতে কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক শাহাবুব আলম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত না।
এ বিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন কে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলবো। আর সম্প্রতি ক্যাম্পাসে মাদকের ভয়াবহতার বিষয়টা শুনেছি। এটা নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ও হল প্রভোস্টদের সঙ্গে বসবো। পুলিশদেরও বিষয়টি জানানো হবে। মাদকের সঙ্গে কারোর জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে আইনের আওতায় আনা হবে।
এমএসএম / এমএসএম