ঢাকা বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫

পূর্ণাঙ্গ একাডেমিক ভবন চায় জাবি আইন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ


মাজহার তাহমিদ, জাবি  photo মাজহার তাহমিদ, জাবি
প্রকাশিত: ৩১-৫-২০২২ রাত ৮:৩৯
পূর্ণাঙ্গ একাডেমিক ভবনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ। মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকাল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে  এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
 
মানববন্ধনে ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুন নাইম আনিকা বলেন, 'যদি প্রশাসন মনে করে এভাবেই বঞ্চিত করবে, তাহয়ে  সেটা কখনোই হতে দেয়া হবে না। শিক্ষার্থীদের আজ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।' 
 
সহকারী অধ্যাপক সুপ্রভাত পাল বলেন, 'আমার শিক্ষার্থীরা অন্যান্যদের চেয়ে কম বেতন দেয়? তাহলে সুযোগ সুবিধায় তারা পিছিয়ে থাকবে কেন? তারা কথায় কথায় বলেন তোমাদের অডিটোরিয়ামে ব্যবস্থা করে দিয়েছি৷ অডিটোরিয়াম কি ক্লাস করার জায়গা? এটা যেন বেডরুমকে কিচেন বানিয়ে রান্না করার মত অবস্থা৷' 
আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডীন ও বিভাগীয় প্রধান তাপস কুমার দাস বলেন, ‘যে আকাঙক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীরা 
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে ভর্তি হয়েছে আমরা সেটা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় মানে একটা ক্লাসরুমের নিশ্চয়তা থাকা, একাডেমিক কার্যক্রমের সব সুযোগসুবিধা থাকা। সকল অন্যায় অবিচারের মধ্য দিয়ে জাবির আইন বিভাগ আজ ১০ বছর পূর্ণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভিন্ন সময় আমাদের আশ্বাস দিয়ে এসেছে। আমি ২০১৪ সালে যোগদানের পর থেকে শুনে আসছি আমাদের সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান হতে চলেছে। কখনো শুনেছি সমাজবিজ্ঞান ভবনে একটা উইং করে  আমাদের জায়গা দেয়া হবে; নতুন কলা ফাঁকা হলে সেখানে দেয়া হবে; পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের স্থানান্তর হলে সেখানে দেয়া হবে। কিন্তু সেগুলোর কোনটাই করা হয়নি।  সর্বশেষ বলা হয়েছে পুরাতন রেজিস্ট্রার ফাঁকা হলে র্সেখানে আমাদের জায়গা দেয়া হবে। কালকেও আমরা শুনেছি ভবিষ্যতে হবে। তবে সেটা আমার জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারব কিনা জানিনা।’
 
‘উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১ থেকে ১৪ পর্যন্ত যে প্রকল্পগুলো সেটা দেখে আমি সম্পূর্ণরূপে হতাশ হয়েছি। একাডেমিক কার্যক্রমের কোন সদিচ্ছা আমি এ উর্ন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে দেখতে পাইনি। গত ১০ বছর কি যথেষ্ট নয় একটা বিভাগের উন্নতির জন্য? জাবিতে একক বিভাগ হিসেবে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীরা এ বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা দেয়। গত ১০ বছরে আমি অন্তত ৫ কোটি বিশ্ববিদ্যালয়ে টাকা রাজস্ব দিয়েছি। কিন্তু বিভাগের জন্য একটা ইটও কেনা হয়নি। হরিলুটের মত অর্থ প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার পর বরাদ্দ হয়ে যায়। ফলে এ একাডেমিক চাহিদাগুলো কিভাবে পূরণ হবে?’
 
জানা যায়, ২০১১ সালের আগস্টে যাত্রা শুরু করে জাবির আইন বিভাগ।  সমাজবিজ্ঞান অনুষদের চারতলায় একটি কক্ষকে বিভাগীয় প্রধানের অফিস কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করে আসলেও অনুষদের জন্য নেই কোন ডীনের কক্ষ। সমাজবিজ্ঞান অনুষদে চার তলায় একটিমাত্র কক্ষ দিয়েই শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে অনুষদটি। এছাড়া জহির রায়হান মিলনায়তনের উপরে একটি কক্ষকে দু’ভাগ করে শিক্ষাকার্যক্রম চলছে। বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিনশ শিক্ষার্থীর জন্য মোটেও যথেষ্ট নয়। ক্লাসরুমের অভাবে এক বর্ষের ক্লাস শেষ হওয়ার অপেক্ষায় অন্য বর্ষ বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বসার জন্য মাত্র একটি করে কক্ষ রয়েছে। সেমিনার লাইব্রেরীর অভাবে শিক্ষার্থীরা আইনের গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স বইগুলোও সংরক্ষণ করা সম্ভব হচেছনা। আইন বিষয়ে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের জন্য নেই কোন মুটিং কক্ষ।
 
মানববন্ধনে বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এমএসএম / এমএসএম

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

গঠনতন্ত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংযোজন করে ইকসু'র দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টার পুনঃনিয়োগ

পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির নতুন সভাপতি রউফ, সম্পাদক তন্নি