ঢাকা সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

ধন্যবাদ সৈয়দ আবুল হোসেন

সৈয়দ আবুল হোসেনের দেশপ্রেম ও পদ্মা সেতু


শামীম আহমদ photo শামীম আহমদ
প্রকাশিত: ১-৬-২০২২ দুপুর ১২:৮
মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যার সমর্থনে কোরআন ও হাদিসের বহু বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে ইসলামে দেশপ্রেমের ধারণা ভারসাম্যপূর্ণ। ফলে মুসলিমরা দেশের ব্যাপারে উদাসীন হয় না বা উগ্র জাতীয়তাবাদেও আক্রান্ত হয় না; বরং তারা পরম মমতায় তা প্রতিপালন করে। তবে কোরআনের একাধিক আয়াতে দেশ ও মাতৃভূমির ভালোবাসাকে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। প্রশ্ন হতে পারে, কোরআনে মাতৃভূমি ও দেশের কথা স্পষ্টত নেই কেন? অথচ তার ইঙ্গিত রয়েছে একাধিক স্থানে। উত্তর হলো, কোরআনে দেশ ও মাতৃভূমির কথা উল্লেখ করা হয়নি কারণ দেশপ্রেম মানবপ্রকৃতির অংশ। যেমন—কোরআনের একাধিক জায়গায় সন্তানকে মা-বাবার প্রতি উত্তম আচরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোরআনে সন্তানের প্রতি ভালো আচরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। কেননা সন্তানের ভালোবাসা মানবপ্রকৃতির দাবি।
 
রাষ্ট্রীয় বিশৃঙ্খলা হত্যার চেয়ে গুরুতর : কোরআনে আল্লাহ তাআলা এক আয়াতে একজন মানুষ হত্যাকে সব মানুষ হত্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন এবং অন্য আয়াতে বলেছেন, ‘যেখানে তাদের পাবে হত্যা করবে এবং যে স্থান থেকে তারা তোমাদের বের করে দিয়েছে তাদেরও সে স্থান থেকে বের করে দেবে। ফিতনা (বিশৃঙ্খলা) হত্যার চেয়ে গুরুতর।’ পদ্মা সেতু বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। সেই অবস্থায় সৈয়দ আবুল হোসেন সততা ও ত্যাগের মাধ্যমে তার অবস্থানে দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণের সূচনা সৈয়দ আবুল হোসেনের দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। মাতৃভূমির প্রতি মানুষের ভালোবাসা স্বভাবজাত। মাতৃভূমির দূরত্ব মানুষের জন্য ভয়ানক শাস্তিস্বরূপ এবং অত্যন্ত বেদনাদায়ক। সুরা হাশরের ৩ নাম্বার আয়াতে বলছেন ‘আল্লাহ তাদের নির্বাসনের সিদ্ধান্ত না করলে তাদেরকে পৃথিবীর অন্য শাস্তি দিতেন।’ পদ্মা সেতু দক্ষিণ বঙ্গের মানুষকে শান্তির বার্তা দেয়। মাতৃভূমি মানুষের জন্য শান্তির আশ্রয় এবং মাতৃভূমির পরশে যে প্রশান্তি খুঁজে পাওয়া যায় তা অনন্য। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যখন তোমরা নামাজ শেষ করবে তখন দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। যখন নিরাপদ হবে, তখন যথাযথভাবে নামাজ আদায় করবে। আমার বিশ্বাস দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ সৈয়দ আবুল হোসেনের জন্য নামাজ শেষে দোয়া করবে।
 
মাতৃভূমির কল্যাণে সৈয়দ আবুল হোসেন মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন সেই প্রসঙ্গে বলতে গেলে বলা যায় মহানবী (সা.) মাতৃভূমিতে শত অত্যাচার ও অবিচারের শিকার হওয়ার পরও দেশত্যাগের সময় অশ্রু বিসর্জন করেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর শপথ! তুমি (মক্কা) আল্লাহর গোটা জমিনের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং দুনিয়ার সব ভূমির মধ্যে তুমি আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয়। আল্লাহর শপথ! তোমার থেকে আমাকে উচ্ছেদ করা না হলে আমি চলে যেতাম না। মহানবী (সা.) মক্কার মুশরিক নেতাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে বদদোয়া করেন এবং তার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন দেশান্তরকে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি শায়বা ইবনু রাবিআ, উতবা ইবনু রাবিআ এবং উমাইয়া ইবনু খালফের প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করুন; যেমনিভাবে তারা আমাদের মাতৃভূমি হতে বের করে মহামারির দেশে ঠেলে দিয়েছে।’ মহানবী (সা.) মাতৃভূমির ভালোবাসাকে দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করে তার অনুরূপ ভালোবাসা প্রার্থনা করেছেন। তিনি দোয়া করেন, ‘হে আল্লাহ! মদিনাকে আমাদের কাছে মক্কার মতো বা তার চেয়েও বেশি প্রিয় করে দিন।’ এটা অবধারিত সত্য যে, একজন মানুষ  যখন পৃথিবীর বিশাল ভূখন্ডের কোনো এক অংশে জন্মলাভ করে, সেখানকার আলো-বাতাস গ্রহণ করে, সেখানে বেড়ে ওঠে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সেখানকার মাটি-মানুষের প্রতি অন্যরকম হৃদ্যতা ও আপনত্ব অনুভব করে। জন্মভূমির প্রতি মানুষের এই স্বভাবজাত আকর্ষণকে ইসলাম মূল্যায়ন করেছে। পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে বিদায়ের প্রাক্কালে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, ‘‘ভূখন্ড হিসেবে তুমি কতই না উত্তম, আমার কাছে তুমি কতই না প্রিয়। যদি আমার স্বজাতি আমাকে বের করে না দিতো তবে কিছুতেই আমি অন্যত্র বসবাস করতাম না।’’
 
সৈয়দ আবুল হোসেন মন্ত্রী নেই তবুও নিজের দেশের প্রতি ভালবাসার বিষয়টি যথাস্থানে ঠিকই আছে। কিন্তু তার সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে যে, ভৌগোলিক পরিচয়কে ইসলাম সম্মান-মর্যাদার মানদন্ড গণ্য করেনি। ইসলামের কাছে মর্যাদার মানদন্ড হচ্ছে তাকওয়া ও খোদাভীতি। এই তাকওয়ার গুণে যে ভূষিত হবে সেই সম্মান-মর্যাদার অধিক উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবে। চাই সে কোনো অখ্যাত দেশের বাসিন্দাই হোক না কেন। আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেন : (অর্থ) নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি যাতে তোমরা একে অপরকে চিনতে পার। আর তোমাদের মধ্যে সে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে মর্যাদাবান, যে আল্লাহকে সর্বাধিক ভয় করে। ভূখন্ড তো মানবের সেবক, সৃষ্টিকর্তা নয়, ইলাহ ও উপাস্যও নয়। সৃষ্টিকর্তা তো আল্লাহ, ইলাহও একমাত্র তিনিই। বন্দেগী ও উপাসনার একমাত্র অধিকারী তিনি। চূড়ান্ত ভক্তি-ভালবাসা ইতাআত ও আনুগত্যও একমাত্র তাঁরই প্রাপ্য। অন্য সকল ভক্তি ও আনুগত্য তাঁরই বিধানের অধীন। মানবের ভূখন্ড তো মানবের চেয়ে বড় নয়, ভ্রাতৃত্বের সম্প্রীতি ও আদর্শের চেয়েও বড় নয়। তাহলে ভূখন্ডের কথা বলে কীভাবে মানুষ শিরক ও পৌত্তলিকতায় লিপ্ত হতে পারে? আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হতে পারে? আমি বিস্মিত হই বাংলাদেশের নাগরিক কিভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে কথা বলে!
 
দেশের সীমানার বাইরে গিয়ে সে তার দেশকে ভুলে যাবে, একে অপরের প্রতি জুলুম করবে ইসলাম কখনোই তা সমর্থন করে না। ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বদেশের প্রতি ভালবাসা থাকবে। সঙ্গে অপর মুসলিম দেশের প্রতিও হীতাকাঙ্খা থাকতে হবে। নিজ দেশের মুসলিম ভাইদের আপন মনে করতে হবে। অমুসলিম নাগরিকেরও হক্ব রক্ষা করতে হবে। অপর দেশের মুসলিম ভাইদেরও পর মনে করা যাবে না। ভালবাসা ও ভ্রাতৃত্বের বোধ দেশের ভেতরে যেমন, দেশের বাইরেও তেমনি সব মুসলমানের প্রতি সম্প্রসারিত থাকবে। ইসলামে রয়েছে দেশপ্রেমের অত্যাধিক গুরুত্ব। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, 'তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের ন্যায়পরায়ণ শাসকের আদেশ মেনে চল'- দেশপ্রেম ইমানদারের বৈশিষ্ট্য। মানুষ মহান আল্লাহ তাআলার মহা সৃষ্টি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে সৃজন করে ভালো-মন্দ উপলব্ধি ও কর্তব্য জ্ঞান দিয়ে স্বাধীনতা দান করেছেন। মানুষ নিজ নিজ বিবেকের অনুসরণ করবে এবং স্বীয় কৃতকর্মের জন্য আপন স্রষ্টার কাছে জবাবদিহি করবে। আসমানি কিতাব ও নবী-রাসুলগণ মানুষের বিবেককে জাগ্রত করতে সহযোগিতা করেছেন। বিজয়ের মালিক আল্লাহ। কোরআনুল করিমে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় হাবিব সা.কে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে প্রকাশ্য বিজয় দান করব। এবং আল্লাহ আপনাকে প্রবল সাহায্য করবেন। আল্লাহর সাহায্যেই বিজয় আসে। পদ্মা সেতু এমন একটি বিজয় যা বাঙালি মুসলিম জাতির জন্য আল্লাহর পক্ষে থেকে একটি বিজয়। মনে রাখতে হবে বিজয় মানেই আল্লাহর সাহায্যে। বিজয় এলে বিনয়ের সঙ্গে আল্লাহর হামদ, তাসবিহ ও তাওবা ইস্তিগফার করতে হবে। দেশপ্রেম, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসা হচ্ছে ইমানদারের বৈশিষ্ট্য। বিজয় দিবস আমাদের গৌরব, অহংকার। সবাই মিলে আল্লাহর দরবারে বিনয় ও নম্রতার সঙ্গে শুকরিয়া প্রকাশ করা আমাদের কর্তব্য। আর মহান আল্লাহর কাছে নিবেদন করা, হে আল্লাহ! আপনি আমাদের স্বাধীন ভূখণ্ড দান করেছেন, তাই আপনার শুকরিয়া আদায় করি, আপনার প্রশংসা করি, আপনি পবিত্র! আপনি আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের হেফাজত করুন। সম্মানের সঙ্গে যেন এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারি, সে তৌফিক দান করুন। স্বাধীনতা অর্জন ও বিজয় লাভে যাঁদের ত্যাগ ও অবদান রয়েছে, তাঁদের ইহকাল ও পরকালে উত্তম বিনিময় দান করুন।
 
দেশপ্রেম পরিমাপের স্বীকৃত কোনো মানদণ্ড না নেই। তবে একজন ব্যক্তির কাজ, কথা ও আচরণে দেশপ্রেমের হার নির্ধারণ সম্ভব। দেশপ্রেম বিষয়ে ইসলামী চিন্তাবিদদের উক্তি- ‘হুব্বুল ওয়াতানে মিনাল ঈমান’। যার অর্থ- দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। ঈমান বলতে আমরা বুঝি আন্তরিক বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি এবং সে অনুযায়ী কাজ। যেকোনো দেশের একজন জাতীয় নেতার মধ্যে পরিপূর্ণ দেশপ্রেম না থাকলে তার পক্ষে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, একজন জাতীয় নেতার মধ্যে দেশপ্রেম, সততা, একাগ্রতা ও ত্যাগ এ চার গুণের সমন্বয় ঘটলে তার পক্ষে দেশকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে খুব একটা বেশি সময় লাগার কথা নয়। শুধু রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নন, এসব গুণের সমন্বিত উপস্থিতি প্রয়োজন সামরিক-বেসামরিক আমলা, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, কৃষক, শ্রমিকসহ সামগ্রিক অর্থে দেশের সব মানষের মধ্যে। কথাটি অনস্বীকার্য যে, আমাদের দেশের বিভিন্ন শ্রেনিপেশার মানুষের মধ্যে এসব গুণাবলির ঘাটতির কারণে দেশ ও সমাজ থেকে আমরা দুর্নীতি বিতাড়িত করে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত সুখী সমৃদ্ধিশালী জাতীয় দেশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠায় হোঁচট খেয়ে চলেছি। আমাদের দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি কৃষক, শ্রমিক ও প্রবাসে কর্মরত কর্মজীবীরা। দেশের কৃষক অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে যে কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন করেন তা অনেকাংশেই আমাদের চাহিদা পূরণ করে ও কিছু বিদেশে রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করছে। কৃষকদের কৃষিজাত পণ্য বিশেষ করে ধান ও শাকসবজি পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদনের কারণে এগুলো রফতানি বিকল্পের কাজ করছে; অন্যথায় এসব পণ্য আমদানির জন্য যে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আবশ্যকতা দেখা দিতো তার জোগান আমাদের মতো দেশের জন্য অনেকটা অসম্ভব ছিল। আমাদের কৃষকদের তেমন একটা চাহিদা নেই। তারা দু’বেলা পেট পুরে খেতে পারলে এবং পরিধেয় বস্ত্রাদির ব্যবস্থা করতে পারলেই তৃপ্ত। আমাদের কৃষকরা ধান ও শাকসবজির পাশাপাশি মাছ ও ফলমূল উৎপাদনেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। কৃষকরা এ দু’টি পণ্য উৎপাদনে মনোনিবেশ করায় এসব পণ্য ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য এবং এগুলোর ক্রয়মূল্য তাদের নাগালের মধ্যে। কৃষকদের বড় অংশ কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত নন বিধায় তাদের পেছনে শিক্ষা সংশ্লেষে রাষ্ট্রের ব্যয় নেই বললেই চলে। কৃষকরা গ্রামে বসবাস করেন বলে তারা সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সাধারণ রোগব্যাধির ক্ষেত্রে তারা নিজ উদ্যোগে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে রোগ নিরাময়ে সহায়তা নেন। কৃষকদের অনেকে হাঁস, মুরগি ও পশুপালন করে নিজেদের চাহিদার জোগানসহ এটিকে বাড়তি অর্থ আহরণের একটি খাত হিসেবে বিবেচনা করেন। সামগ্রিক অর্থে দেশের অর্থনীতিতে কৃষকের যে অবদান এর বিনিময়ে রাষ্ট্র বা সরকার থেকে তাদের প্রাপ্তি নগণ্য। তাই দেশপ্রেমের মানদণ্ডে কৃষকের অবস্থান যে মাত্রার শীর্ষে এ বিষয়ে কারো দ্বিমত থাকার কথা নয়।
 
রাষ্ট্রের উন্নয়নের বিরোধিতা করা ঠিক নয়। সকল জনগণ রাষ্ট্রের মালিক। সমাজের অঙ্গ হিসেবে রাষ্ট্র কী কাজ করে কিংবা কী কাজ করতে পারে তা আমাদের জানা দরকার। অর্থাৎ জনগণের জন্য রাষ্ট্র কী ধরণের সেবা প্রদান করে এবং এর সামর্থ্য কতটুকু এ পাঠ থেকে তা আমরা জানব। আমরা জানি মানুষের প্রয়োজনেই রাষট্র গড়ে উঠেছে। মানব জীবনের সামগ্রিক কল্যাণই রাষ্ট্রের কাজ।বিশ্লেষকদের মতে, রাষ্ট্র প্রধানত দুই ধরণের ভূমিকা পালন করে।যথাঃ নিয়ন্ত্রণমূলক ও কল্যাণমূলক। এ দুই ধরণের ভূমিকার ভিত্তিতে আধুনিক রাষ্ট্রের কার্যাবলিকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন, অপরিহার্য বা মুখ্য কার্যাবলি এবং কল্যাণ মূলক বা ঐচ্ছিক কার্যাবলি। আধুনিক রাষ্ট্রের আইনসভাই আইনের প্রধান। সকল গণতান্ত্রিক রাষ্টেরই আইনসভা বা আইন পরিষদ আছে। এ আইনসভায় দেশের মানুষের স্বার্থকে লক্ষ রেখে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও সংশোধন হয়ে থাকে। এছাড়াও নিদিষ্ট ভূখন্ড হচ্ছে রাষ্ট্রের অপরিহার্য দ্বিতীয় উপাদান। প্রত্যেক রাষ্ট্রই একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমারেখা দ্বারা পরিবেষ্টিত। ভূখন্ড বলতে স্থলভাগ, সমুদ্রসীমা, আকাশসীমাও বোঝায়। রাষ্ট্রের জনগণের বসবাসের জন্য নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের উপর নিয়ন্ত্রণ আবশ্যক। জনসমষ্টি ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, সংগ্রাম ও যুদ্ধের মাধ্যমে অথবা সাংবিধানিকভাবে নির্দিষ্ট ভূখন্ডের ওপর নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিটি রাষ্ট্রেই ভূখন্ডের  সীমানাকেন্দ্রিক নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তোলে। ভূখন্ডে বিশাল বড় বা ছোট হতে পারে। যেমন- রাশিয়ার বিশাল আয়তন অথবা ছোট আয়তনের রাষ্ট্র হল দারুস সালাম, সুইজারল্যান্ড, ব্রুনাই ইত্যাদি। ১৯৭১ সালের স্বাধীন যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভূখন্ডটি পৃথিবীর মানচিত্র স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্থান পেয়েছে। অনেক সময় রাষ্ট্রেে নির্দিষ্ট ভূখন্ড বেশ কয়েকটি দ্বীপের সমষ্টি ও হতে পারে। 
 
আত্মার শুদ্ধতা জরুরি। যে লোক পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করছে, সেই লোক পদ্মা সেতু ব্যবহার করে নিজেও সুবিধা নেবে। অতএব, নিজের বিচার নিজেই করুন। বিচারক যখন প্রচলিত আইনের মাধ্যমে কিংবা উপযুক্ত আইনের অভাবে ন্যায়বিধান করতে ব্যর্থ হয়ে নিজস্ব সামাজিক নীতিবোধের আলোকে ন্যায় রায় প্রদান করেন, তখন তার নীতিবোধের দ্বারা প্রণীত আইন দেশের আইনের পূর্ণ মর্যাদা লাভ করে। তাই ন্যায়নীতি ও ন্যায়পরায়ণতা আইনের একটি প্রকৃষ্ট উৎস। রাষ্ট্রের জনগণকে শিক্ষিত করে তোলা রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। শিক্ষিত জনগণ রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সম্পদ। শিক্ষিত নাগরিক অধিকার, কর্তব্য সম্বন্ধে সচেতন থাকেন এবং দেশপ্রেমে উদ্ভুব্ধ হন। এজন্য রাষ্ট্র শিক্ষা বিস্তারের প্রতি অধিক গুরুত্ব প্রদান করে এবং শিক্ষা সুবিধা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়। সরকার বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তন, নারী শিক্ষার উপর গুরত্বসহ বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থা করে, নিরক্ষরতা দূরীকরণের জন্য বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন- ‘তুমি জান ক্ষুদ্র যাহা ক্ষুদ্র তাহা নয়, সত্য যেথা কিছু আছে বিশ্ব সেথায় রয়।” সত্য চিরন্তন। সত্যই জীবন। সত্যই চাওয়া-পাওয়া। সত্যের জন্যই আমাদের সংগ্রাম, আমাদের যুদ্ধ। ক্ষণিকের জন্য মিথ্যা দ্বারা সত্য রাহুগ্রস্ত হলেও সবশেষে সত্যের জয় হয়। তাই বলা হয়- সত্যের আকড়েঁ বাঁধা এ পৃথিবী। ‘সত্যং শিবং সুন্দরম’ অর্থাৎ সত্যই বিধাতা এবং সত্যই সুন্দর। সত্যই জীবনের আলোকবর্তিকা। সত্যের স্পর্শে জীবন হয়ে ওঠে সুন্দর। জীবনের এই চলমান সত্য চিরকালীন এবং চিরব্যাপ্তি। যুগ থেকে যুগান্তরে অন্তহীন এর যাত্রা।
 
মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশে সত্য ও মিথ্যার মধ্যে লড়াই হয়েছে প্রতিনিয়ত। সত্য ও মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায়-এর মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়েছে। লড়াই ও দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে সত্যের জয় হয়েছে। আমরা জানি, সত্য ও মিথ্যা- এই দুই বিপরীত শক্তির মধ্যদিয়ে মানুষকে পথ চলতে হয়। সত্যের শক্তি মানুষকে সৎ, নির্লোভ ও ত্যাগী জীবনের দিকে চালিত করে। মিথ্যার শক্তি মানুষকে নিয়ে যায় লালসা, পরিভোগ ও স্বার্থপরতার পথে। সত্য পথের পথিককে আমরা বলি সৎ এবং সৎ গুণকে বলি সততা। মিথ্যা পথের পথিককে বলি অসৎ এবং অসৎ গুণকে বলি অসততা। আজকের দুনিয়ায় মানুষ সততা ও অসততার দ্বন্দ্বে প্রচ-ভাবে দোদুল্যমান। আমাদের চারপাশে অসততা এমন প্রচ- শক্তি নিয়ে সমাজকে, রাষ্ট্রকে গ্রাস করছে যে- সৎ ও সরল মানুষ ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়ছে। সততার আদর্শ ও মহিমা থেকে বিচ্যুত হওয়ার লক্ষণ মানুষের মধ্যে ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছে। ঠিক সেই কঠিক সময়ে আবুল হোসেনকে ধৈর্য ধরতে দেখেছি। তাই বলি সৈয়দ আবুল হোসেন সততার প্রতীক। তিনি আত্মশক্তিতে বলীয়ান। তার সততা মানুষকে অনুপ্রেরণা দেয়। সততা একটি শক্তি। কখনো অসততার জয় হলেও চূড়ান্ত বিচারে সততার জয় হবেই, অবশ্যম্ভাবী। সততাই মানুষকে মুক্তি ও কল্যাণের পথ দেখায়। যে অসৎ সে হয়তো কখনো ভোগে, সম্পদে ও বিলাসিতায় অনেক বড় হয়ে ওঠে, কিন্তু সে ভোগের মধ্যে কখনো প্রকৃত শান্তি বা প্রশান্তি থাকে না। সে সর্বত্র অসততার পীড়ন অনুভব করে। অসৎ মানুষের মৃত্যু কেউ মনে রাখে না। তাদের জীবন বর্তমান এবং ক্ষণস্থায়ী। পক্ষান্তরে সৎ যাঁরা- তারা যদিও সাময়িক কষ্টভোগ করেন- কিন্তু তাদের ঠাঁই হয় মহাকালের বুকে। এরই ধারাবাহিকতায় সংসার পালনে, সামাজিক জীবনযাপনে কতকগুলো সত্য চিহ্ন পরিস্ফুটিত হয়েছে যা মানুষের চলার পথকে সুন্দর করেছে। সত্যে ও ন্যায়ে পথে থাকার পথ দেখিয়েছে। সত্যের সে কথাগুলো, শব্দগুলো মানুষের ভাবনার জগতকে বিকশিত করেছে- সমাজকে নতুন ভাবনায়, সত্যের অবগাহনে উচ্চকিত করেছে- সেই কথাগুলো, উপদেশগুলো মেনে চললে আমরা বর্তমান ঝঞ্চা-বিক্ষুব্ধ পৃথিবীকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসতে সক্ষম হবো। বর্তমানে আমরা কিছু ভাল কাজের মধ্যেও বৈপরিত্য লক্ষ্য করি। এ বৈপরিত্য বা অসত্য ভাবনা ইদানিং সত্য বলে প্রতিভাত। আদতে এটা সত্য নয়। যেমন- প্রশ্রয় দিলে- মাথায় ওঠে। উপকার করলে- অস্বীকার করে। বিশ্বাস করলে- ক্ষতি করে। সুখের কথায়- হিংসা করে। দুঃখের কথায়- সুযোগ খোঁজে। ভালোবাসলে- আঘাত করে। স্বার্থ ফুরালে কেটে পড়ে। বস্তুতপক্ষে সমাজে প্রচলিত- মানুষের মধ্যে ইতিবাচক মূল্যবোধগুলো ক্রমান্বয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং এধরনের নেতিবাচক কাজ প্রতিনিয়ত দেখতে পাওয়ায়- মানুষের মধ্যে এক ধরনের হতাশাও বাসা বেঁধেছে। একারণে একশ্রেণির মানুষ এখন আর ভাল কাজ করতে চায় না। কারো সাহায্যে এগিয়ে আসতে চায় না। আর অনেক সময় সহযোগিতা করাটাও বিপজ্জনক মনে করে। মানুষ বারবার ঠকতে সাহস পায় না। প্রতারিত হতে চায় না। এমতাবস্থায়, সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সত্য মূল্যবোধ কার্যকর করতে হবে। ভাল কাজের সম্মান দিতে হবে। সত্যকে পুরস্কৃত করতে হবে।
 
একটি কল্যানমুখী রাষ্ট্র বা দেশের অবস্থান কি হবে- তাও রাষ্ট্রপরিচালনায় সরকারের সততার উপর নির্ভর করে। দেশের শাসনকর্তা যখন ন্যায়পরায়ণতা প্রদর্শনে সফলকাম হয়, সত্য পথে চলার নিয়ামক হয় এবং জনগণ যখন ন্যায় বিচার পায়, তখন সে সরকারকে কল্যাণকামী ও ন্যায়পরায়ণ সরকার বলা হয়। সরকার যদি ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও’র প্রতি কঠোর হয়, ‘না’- সূচক পদক্ষেপ নেয় এবং ইতিবাচক কাজকে এগিয়ে নেয়, সরকারের পদক্ষেপগুলো জনকল্যানমুখী হয়, তাহলে সমাজে শান্তি ও উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে এবং সরকার জনপ্রিয়তা লাভ করবে। মূলত দেশের শাসনভার যাঁর হাতে থাকে তার কর্তব্য হলো, দায়িত্ব হলো- জালেমকে প্রচলিত আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা। জনগণকে সচেতন করে- জালেমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। এক্ষেত্রে সরকার যদি এগিয়ে না আসে, সমাজ যদি প্রতিরোধ গড়ে না তোলে- তাহলে ব্যক্তিকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যক্তির জীবনের ঝুঁকি থাকলে, পারিপার্শ্বিকতা যদি তাকে এ কাজে সহায়তা না-ই করে, তাহলে ‘জালেম’কে ঘৃণা করতে হবে। অন্তত মনে মনে হলেও তাকে ঘৃণা করতে হবে। এক্ষেত্রে জালেম ব্যক্তি হলেও তার কুকর্মকে ঘৃণা করতে হবে। তবে ব্যক্তিকে ঘৃণা করা যাবে না। কারন, তিনি মানুষ। তার জুলুম ও অত্যাচার সাদৃশ্য পাপকর্মকে ঘৃণা করা যাবে। এজন্য সর্বধর্মে বলা হয়েছে- “পাপকে ঘৃণা কর, পাপীকে নয়।” এরপরও পাপ কাজ থেকে জালেমকে ফিরাতে না পারলে- দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় তাকে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে- যাতে অন্য জুলুমবাজরা শিক্ষা নিতে পারে- সৎ পথে ফিরে আসতে পারে। তবে, শাসককে সুশাসন ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় অবশ্যই দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা জানি, আচরণে ভদ্রতা ও রুচিবোধের যৌক্তিক মিলনের নাম শিষ্টাচার। শিষ্টাচারের ভিত্তিভূমির ওপর গড়ে উঠে সৎ চরিত্রের সুরম্য অট্টালিকা। সৎ ও চরিত্রবান ব্যক্তি সমাজ ও জাতীয় জীবনে বিশেষ অবদান রাখতে পারে। মহৎ ও বরণীয় মানুষ মাত্রই মানবজীবনে সততার মূর্ত প্রতীক। সত্যকে বরন করতে গিয়ে মৃত্যুবরন করেছেন- এমন মহান ব্যক্তিত্বের উদাহরন এ বিশ্বে রয়েছে। সত্যের জন্য ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন যিশুখ্রিষ্ট্র। সত্যাশ্রয়ী জোয়ান অব আর্ককে ‘ডাইনি’ বলে মিথ্যা অভিযুক্ত করে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। জ্ঞানপ্রেমিক দার্শনিক সক্রেটিসকে সত্যকে সমুন্নত করতে ‘হেমলক বিষ’ পান করে জীবন দিতে হয়েছে। কিন্তু এরাই মানব সভ্যতার ইতিহাসে চিরঞ্জীব। আর মিথ্যাশ্রয়ীরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। যেমন ফেরাউন, হিটলার, মুসোলিনী। তাই সমাজকে, দেশকে সঠিক পথে চালাতে- আমাদের ন্যায় ও সত্যের পথে হাঁটতে হবে। সমাজে প্রচলিত সত্য ধারণাগুলো বাস্তবায়নে একাগ্রচিত্তে কাজ করতে হবে। অন্যায় ও জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মজলুমদের রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। সত্য ও ন্যায়ের পথে দেশকে পরিচালিত করতে হবে। যেখানে অন্যায়- সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। দেশের শাসনভার যার হাতে থাকবে- তাকে সুশাসন ও ন্যায়-বিচার কায়েম করতে হবে। সমাজের সত্য মূল্যবোধগুলো ধারণ করে সমাজ ও দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। পদ্মা সেতু ছাড়াও আমাদের দেশের যে উন্নয়ন প্রকল্প আছে তার সুফল তুলে ধরতে হবে। তাই আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি সুখী, সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা করি। মহান আল্লাহর, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছের প্রতিফলনে কাজ করি।

এমএসএম / এমএসএম

নিয়ন্ত্রণহীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি; চরম উৎকন্ঠায় জনজীবন

বিটকয়েন বা ভার্চুয়াল কারেন্সি; আগামীর মুদ্রা ব্যবস্থার জন্য মঙ্গল নাকি অমঙ্গল!

মহা শিবরাত্রির ইতিহাস ও জগতের মঙ্গল কামনা

জিনিস যেটা ভালো , দাম তার একটু বেশি

মব জাস্টিসের প্রভাবে বর্তমান বাংলাদেশ

সুস্থ জাতি গঠনে দরকার নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা

রাষ্ট্রভাষা বাংলা ও একুশে বইমেলা

বিশ্ব জলাভূমি দিবস: টিকে থাকার জন্য জলাভূমি সুরক্ষা এখন সময়ের দাবি

দেবী সরস্বতী: বিদ্যা, জ্ঞান, ও শুভ্রতার বিশুদ্ধ প্রতীক

স্বাস্থ্যসেবায় বায়োকেমিস্টদের অবদান: এক অপরিহার্য দৃষ্টিভঙ্গি

আতঙ্ক আর হতাশার মধ্যেই ট্রাম্পের যাত্রা

কন কনে শীতে অযত্নে -অবহেলায় কাটছে পথশিশুদের জীবন

দাবি আদায়ের প্রশ্নে আপসহীন ছিলেন সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহমুদ