কৃষ্ণচূড়ায় সেজেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

গ্রীষ্মের কড়া রোদে কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙের আভায় পুরান ঢাকার এক টুকরো সবুজের প্রাণকেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাস সেজেছে এক বর্ণিল সাজে। তপ্ত গ্রীষ্মের এই নিষ্প্রাণ রুক্ষতা ছাপিয়ে ক্যাম্পাসের কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো নিজেদের মেলে ধরে আপন মহিমায়।
তপ্ত গ্রীষ্মে জবি ক্যাম্পাসে ডাল মেলেছে রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া। গ্রীষ্মের প্রখর রোদের উত্তাপের মাঝে সবুজের বুক চিরে উঁকি দিচ্ছে রক্তিম লাল আভা। চারদিকে ফুটেছে চোখ জুড়ানো রংমশাল। সবুজ পাতার ফাঁকে উজ্জ্বল লাল রঙের কৃষ্ণচূড়ার অপূর্ব বাহারি দৃশ্য প্রত্যেকের নয়ন জুড়ায়। এ যেন ফুল-পাতা দিয়ে গড়া প্রকৃতির এক স্বর্গরাজ্য। যা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
গ্রীষ্মের উত্তাপের মাঝেও কৃষ্ণচূড়ায় শোভিত বিস্তর প্রাঙ্গণ ক্যাম্পাসকে অপরূপ সৌন্দর্য প্রদান করেছে। যেন ক্যাম্পাসে আসা শিক্ষার্থীদের প্রকৃতির অপরূপ রূপে রাঙিয়ে দিতেই এই আয়োজন। বৃক্ষ রাজির মধ্যে অনন্য আকর্ষণ এই কৃষ্ণচূড়া গাছ। এ যেন কৃষ্ণচূড়ার ক্যাম্পাস। প্রতিবছর গ্রীষ্মের শুরুতেই পুরো ক্যাম্পাসে মুগ্ধতা ছড়ায় কৃষ্ণচূড়া ফুল। সূর্যের সবটুকু আলো গ্রহণ করে নিজেকে মেলে ধরতে সহমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফটক, সমাজকর্ম ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সামনে, ভাষা শহীদ রফিক পাশে, শান্ত চত্বর, ক্যাফেটেরিয়ার সামনে, মুক্তমঞ্চের আশেপাশে, সাইন্স ফ্যাকাল্টি পুরোটা জুড়ে ও একাডেমিক ভবনের পেছনে সহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় কৃষ্ণচূড়া গাছের রাঙা ফুল প্রকৃতির সব রঙকে ম্লান করে দিয়েছে।
ক্যাম্পাসের বিজ্ঞান অনুষদ চত্বর, প্রশাসনিক ভবনের পাশে ডালপালা ছড়ানো বিশাল আকৃতির কৃষ্ণচূড়াগুলো সৃষ্টি করেছে রক্তিম বর্ণের এক মোহনীয়তা। ছোট্ট এ ক্যাম্পাসের কৃষ্ণচূড়াগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। সকালে গাছের নিচে কৃষ্ণচূড়ার ঝরে পড়া রক্ত লাল পাপড়ি যেন পুষ্প শয্যা। এসব কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে শিক্ষার্থীরা আড্ডা আর খুনসুটিতে মেতে ওঠেছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী, পথচারী বা ক্যাম্পাসের সম্মুখের মহাসড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে যেকোনো যাত্রীরই হৃদয় কাড়ে নয়ন জুড়ানো এসব কৃষ্ণচূড়া ফুল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের কৃষ্ণচূড়া গাছগুলোর অধিকাংশই কলেজ থাকাকালীন সময়ে রোপণ করা হয়। এছাড়াও একাডেমিক ভবন ও দ্বিতীয় ফটকের গাছগুলো ২০০৮ সালের পর লাগানো হয়েছে। অন্যান্য গাছগুলো কখনো শিক্ষার্থীরা আবার কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে। ২০১৭ সালের ১৭ মে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে বেড়ে ওঠা ক্যাম্পাসের লাল সুন্দরী খ্যাত ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী কৃষ্ণচূড়া গাছটি কোনো ঝড়-বৃষ্টি ছাড়াই হঠাৎ উপড়ে পড়ে যায়।
কৃষ্ণচূড়া গাছ পত্রপল্লব এবং আগুনলাল ফুলের জন্য বিখ্যাত। এটি উচ্চতায় সাধারণত ১২-১৪ মিটার হয়। তবে শাখা-পল্লবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলো বড় ৭ থেকে ৮ টি পাপড়িযুক্ত গাঢ় রক্তিম লাল হয়। ফুলের ভেতরের অংশ হালকা হলুদ ও রক্তিম হয়ে থাকে। পাপড়িগুলো প্রায় আট সেন্টিমিটারের মত লম্বা হতে পারে। এর প্রতিটি পাতা ৩০-৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২০-৪০ টি উপপত্র বিশিষ্ট। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত। কুঁড়ি আসার কিছুদিনের মধ্যে পুরো গাছ ভরে যায় ফুলে ফুলে। তবে কৃষ্ণচূড়া গাছ খুব একটা বড় হয় না। এর ডালপালা পাইকোর গাছের মতো অনেক জায়গা পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে।
গবেষণা বলছে, কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া। ইহা Fabaceae পরিবারের Caesalpinieae গোত্রভুক্ত একটি উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস আফ্রিকার মাদাগাস্কার। ১৮২৪ সালে সেখান থেকে প্রথম মুরিটাস, পরে ইংল্যান্ড এবং শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিস্তার ঘটে। এখন জন্মে আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান অঞ্চল, হংকং, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন, ভারতসহ বিশ্বের বহু দেশে।
ধারণা করা হয়, কৃষ্ণচূড়া ভারত উপমহাদেশে এসেছে তিন থেকে চারশ’ বছর আগে। বহুকাল ধরে আছে বাংলাদেশে। তবে ফুলের নাম কী করে কৃষ্ণচূড়া হলো সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায় না। তবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অবতার কৃষ্ণের নামে ফুলটির নামকরণ করা হয়েছে। একটু খেয়াল করলেই চোখে পড়বে, কৃষ্ণের মাথায় চুলের চূড়া বাঁধার ধরনটির সঙ্গে ফুলটির বেশ মিল। সেখান থেকেই কৃষ্ণচূড়া। আবার উদ্ভিদবিজ্ঞানী, নিসর্গপ্রেমী কিংবা কবি সাহিত্যিকরাও এই নামকরণ করে থাকতে পারে।
কৃষ্ণচূড়া গাছের আরেক নাম গুলমোহর। যদিও তা কম লোকই জানেন, কিন্তু কৃষ্ণচূড়াকে চেনেন না এমন লোক খোঁজে পাওয়া দায়। কৃষ্ণচূড়াকে সাধারণত আমরা লাল রঙেই দেখতে অভ্যস্ত হলেও উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা বলছেন, কৃষ্ণচূড়া লাল, হলুদ ও সাদা রঙেরও হয়ে থাকে। তবে আমাদের দেশে লাল ও হলুদ রঙের ফুল দেখা গেলেও সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়া দেখাই যায় না।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিথিলা দেবনাথ ঝিলিক বলেন, ক্যাম্পাসের লাল কৃষ্ণচূড়া আমাদের ক্যাম্পাসের পরিবেশ টাকে লাল রং এ রাঙিয়েছে। মনে হচ্ছে যেনো লাল টুকটুকে বউ, এই লাল এর মাঝে ইচ্ছে করে হারিয়ে যেতে। গ্রীষ্মের এই খরতাপে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয় কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো। রক্তিম লালে প্রকৃতিকে ও যেন অনেক অপরূপ দেখায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মেহরাব হোসেন অপি বলেন, "ঈদের ছুটি কাটিয়ে এসে কৃষ্ণচূড়ায় পরিপূর্ণ লাল টুকটুকে ক্যাম্পাস দেখে মনে হচ্ছে যেন ঈদের শেষে আবার কোথাও ঘুরতে এসেছি। এমন সুন্দর দৃশ্য দেখে নিজের সবুজে ঘেরা গ্রাম ছেড়ে আসার জন্য যে মন খারাপ লাগতেছিলো তাও যেন ভুলে গেছি।"
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাঈমা ইসলাম বলেন,"পছন্দের ফুলগুলোর তালিকায় প্রথমেই স্থান পায় কৃষ্ণচূড়া। এর রক্ত বর্ণ রুপ, সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে বার বার। ফুলটা হাতে নিলে মনে হয় এক টুকরা সূর্যকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, যতবার দেখি ততবারই মুগ্ধ হয়ে যাই।"
কৃষ্ণচূড়ার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গাছটি খুবই নরম। এটি আমাদের দেশীয় কোনো গাছ না। এরা ঝড়-ঝাপটায় টিকে থাকতে পারে না। কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটার ব্যাপ্তিকাল ভিন্ন। রাতের নিরবিচ্ছিন্ন একটা দৈর্ঘ্য ব্যতীত কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটতে পারে না। কৃষ্ণচূড়ার কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরি করা না গেলে ব্যবহার করা যাবে জ্বালানি হিসেবে।
তিনি আরো বলেন, ক্যাম্পাসের বড় গাছটি হেলে আছে ঝুঁকিপূর্ণভাবে। যেকোনো সময় সেটি পড়ে যেতে পারে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সদস্য ড. এ. এম. এম. গোলাম আদম জানান, কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদের আদিনিবাস মাদাগাস্কার হলেও ভারত, নেপাল, মায়ানমার, পাকিস্তানসহ অনেকে দেশেই এর বিস্তৃতি। আমাদের দেশে কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদটি সচরাচর সব জায়গায় দেখা যায় বিধায় তীব্র সংকটের কোন আশংকা নেই এবং সংরক্ষণের দিক থেকে এটি আশঙ্কামুক্ত পর্যায়ে রয়েছে মর্মে গবেষণা প্রকাশনা রয়েছে। এই উদ্ভিদের লাল, কমলা, হলুদ ফুল এবং উজ্জ্বল সবুজ পাতা অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য দায়ী আর এই বিভিন্ন রং মূলত ক্লোরোফিল, কারোটেনোয়েডস ও অ্যানথোসাইনিন নামক রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতির কারণেই হয়ে থাকে।
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃক্ষরোপণ কমিটির সদস্য বিভাস কুমার সরকার বলেন, কৃষ্ণচূড়া লাল ফুল ও উজ্জ্বল সবুজ পাতা বিশিষ্ট একটি দৃষ্টিনন্দন উদ্ভিদ। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদটি মাদাগাস্কারের শুষ্ক পত্রঝরা বনাঞ্চলে উৎপত্তি লাভ করে সারা বিশ্বে বিস্তার লাভ করেছে। বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে (এপ্রিল-জুন) এই ফুল বেশী দেখা যায়। সৌন্দর্যবর্ধন ছাড়াও এই গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতে উপযুক্ত। ক্যাম্পাসকে আরো সুন্দর করতে কৃষ্ণচূড়া লাগোনো যেতে পারে। তবে বিজ্ঞান অনুষদের বড় গাছটি হেলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বিধায় প্রয়োজনে এর ডালপালা কেটে ফেলা হতে পারে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ট্যাক্সোনমিক ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নাহিদ সুলতানা বলেন, আমাদের দেশে পত্র ঝরা এই কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদটির পাতা শীতকালে ঝরে যায় আর বসন্তকালে ফুল ফোটে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটার সময় ভিন্ন। অপরূপ সৌন্দর্য ছাড়াও এর পাতা, মূলের বাকল ও ফুল ভেষজ গুণাগুণ সম্পন্ন যা জ্বর ও খুশকি নিরাময়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে জ্বালানী হিসেবে উদ্ভিদের শুকনো শাখা-প্রশাখা এবং ফল ব্যবহার করা হয়।
রুক্ষ গ্রীষ্মের রোদের খরতাপে মন মাতানো রঙিন এ সৌন্দর্যে চোখ ধাঁধানো মায়াময় টুকটুকে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলে ফুলে যেমনি সেজেছে গ্রীষ্মের প্রকৃতি, তেমনি জবি ক্যাম্পাসে সবার মনেই জাগিয়েছে রক্তিম স্রোত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর একটাই প্রত্যাশা, কৃষ্ণচূড়ার এই অপরূপ দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যটি অমর হয়ে বেঁচে থাকুক যুগের পর যুগ। আপন মায়ার চাদর আকাশে ছড়িয়ে মেলে ধরুক স্বপ্নময় নয়নাভিরাম কৃষ্ণচূড়ার নান্দনিক সৌন্দর্য।
এমএসএম / জামান

এবার রেলপথ অবরোধ করলেন বাকৃবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

চবি ও বাকৃবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে জবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

এলজিইউডি'কে শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তকরণের দাবিতে জাককানইবি'তে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথ বাহিনী মোতায়েন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি

ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে স্থানীয় ও চবি শিক্ষার্থীরা, প্রক্টরসহ আহত অনেকে

রাকসু কার্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ, চেয়ার-টেবিল ভেঙে দিল রাবি ছাত্রদল

একাদশে ভর্তিতে শেষ ধাপে আবেদন শুরু, সময় দুদিন

কর্তৃত্ববাদী শক্তির সহযোগীদের রক্ষার জন্য নুরের উপর পরিকল্পিত হামলা- ইউটিএল

ইবিতে নিহত শিক্ষার্থী সাজিদকে শিবিরের সংবর্ধনা

ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের খুনিদের গ্রেফতারের দাবিত ছাত্রদলের বিক্ষোভ

গকসু নির্বাচন: তিন দিনে মনোনয়ন ফরম ৮৭, উত্তেজনায় ভরপুর গণ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ১২ অক্টোবর
Link Copied