ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সাতক্ষীরার বেতনা নদী খননের নামে হরিলুট


এস কে কামরুল হাসান, সাতক্ষীরা photo এস কে কামরুল হাসান, সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ১২-৬-২০২২ দুপুর ৪:০

সাতক্ষীরায় ২৩ কিলোমিটার বেতনা নদী খননের নামে সরকারের ৫০ কোটি টাকা তছরুপ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লোক দেখানোর জন্য বিনেরপোতা ব্রিজ, ঝাউডাঙ্গা, শাল্যে কাঠের ব্রিজ এলাকায় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার দায়সারাভাবে খনন করা হয়েছে। নদী খননের এই মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি সুবিধাবাদী চক্র।

২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর শুরু হওয়া খননকাজ শেষ হবে চলতি বছরের (২০২২) সালের ৩০ জুন। পানি উন্নয়ন বোর্ড তিনটি প্যাকেজে এ কাজ শুরু করে। স্থানীয়রা বলছেন, সিডিউল অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না। আর বর্ষা শুরু হলে কাজ বন্ধ করতে পারবে না। অসাধু পাউবো কর্মকর্তা ও ঠিকাদার যোগসাজশে সরকারের ৫০ কোটি টাকা নয়ছয় করবে। আর জলাবদ্ধতায় কষ্টে থাকবে সাতক্ষীরা পৌরসভাসহ চার উইনিয়নের ২২ গ্রামের মানুষ।

সাতক্ষীরা শহরসংলগ্ন শাল্যে গ্রামের আবুল হোসেন ডাবলু, নজরুল ইসলাম, এহসান বাহার বুলবুল জানান, সাতক্ষীরা শহরসংলগ্ন বেতনা নদী। এক সময়ের প্রমত্তা এই নদী পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় সাতক্ষীরা পৌরসভা, ঝাউডাঙ্গা, লাবসা, ব্রহ্মরাজপুর, ধুরিহর ইউনিয়নের ২২ গ্রামের মানুষ বছরের ছয় মাস পানিবন্দি থাকে। জলাবদ্ধতার কারণে মাঠে ফসল হয় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করে।

সরকার এই এলাকার মানুষদের জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তির জন্য ২৩ কিলোমিটার বেতনা নদী খননের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। পাউবো তিনটি প্যাকেজে কাজ শুরু করেছে। ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর শুরু হওয়া খননকাজ শেষ হবে চলতি বছরের ৩০ জুন। কাজ শেষ হতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আখড়াখোলা গ্রামের মতিযার, আবদুল্লাহ, জামাল জানান, লোক দেখানোর জন্য বিনেরপোতা ব্রিজ, ঝাউডাঙ্গা, শাল্যে কাঠের ব্রিজ এলাকায় সব মিলিয়ে ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার নদী দায়সারাভাবে খনন করেছে। বর্ষা শুরু হলে ঠিকাদারের কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। আর যেটুকু খনন করেছে তাও সিডিউল মোতাবেক হয়নি। বর্ষা হলে পাড়ের মাটি ভেঙে আবার নদীতে পড়ে ভরাট হবে।

এ সময় রেজাউল ইসলাম, এসএম হাবিবুল হাসান, খলিলুর রহমান জানান, এই নদী খননের মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে খেয়াল-খুশিমতো। এই মাটি বিক্রির টাকা কর্তৃপক্ষের পকেটে যাচ্ছে। অসাধু পাউবো কর্মকর্তা ও ঠিকাদার যোগসাজশে সরকারের ৫০ কোটি টাকা নয়ছয় হচ্ছে। ফলে সরকারের এই ৫০ কোটি টাকা কোনো কাজে আসবে না। আর জলাবদ্ধতায় কষ্টে থাকবে সাতক্ষীরা পৌরসভাসহ চার উইনিয়নের ২২ গ্রামের মানুষ।

সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, সরকার সাতক্ষীরা এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে। ইতোমধ্যে ৪৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এররমধ্যে বেতনা নদীর ৪৪ কিলোমিটারের খনন করা হবে। ইতোমধ্যে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩ কিলোমিটার নদীর খননকাজ শুরু হয়েছে। তিনটি প্যাকেজে খননকাজ চলছে। খননকাজের মেয়াদ বাড়ানো হবে। আগামি শীত মৌসুমের আগে এই নদীর খননকাজ শেষ হবে।

এমএসএম / জামান

পারিবারিক কলহের জেরে পিতার হাতে পুত্র খুন

চিলমারীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

কুড়িগ্রামে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে জেলা পরিষদের শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান

ডায়াগণস্টিকে স্বাক্ষর জালিয়াতি : খাবারে নেই মেয়াদ, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা, অভিযোগের তীর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

‎সাঘাটা খাদ্য বান্ধব ডিলার এসোসিয়েশনের কার্য্যনির্বাহী কমিটি গঠন

পঞ্চগড়ে প্রাঃ শিক্ষা অফিসারের অর্থ কেলেঙ্কারি ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি কতৃপক্ষের

সাতক্ষীরা শহরের ৯নং ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ

গোদাগাড়ীতে উন্নত জাতের মাসকলাই বীজ ও সার বিতরণ

কাজ শেষে না করেই লাশ হলো দুই বন্ধু, ট্রাকের ধাক্কায় দুই তরুণের মৃত্যুতে চলছে শোক

ঠাকুরগাওয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের মানোন্নয়নে ইন্টারফেইজ সভা

শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে কিন্তু তার পেতাত্মারা রয়ে গেছেঃ আলতাফ হোসেন চৌধুরী