'সংকল্প থাকলে বাঙালি সবকিছুই করতে পারে'
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি করেছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২৫ জুন) সকাল সাড়ে ৯ টায় প্রশাসন ভবনের সামনে বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। পরে সেখান থেকে ভিসির নেতৃত্বে আনন্দ র্যালি শুরু হয়।
র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে সরাসরি সেতু উদ্বোধনের সম্প্রচার প্রদর্শন করা হয়।
এসময় পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। এ সময় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানূর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিন ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, সংকল্প থাকলে বাঙালি সবকিছুই করতে পারে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে একটি দেশ দিয়ে গেছেন। আসুন, তারই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে আমরা সকলেই অনুসরণ করি। তার মতো সংকল্প বদ্ধ হই যে, 'আমরা পারি, বাঙালিকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।'
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, একসময় পদ্মা সেতু ছিলো বাংলাদেশের জন্য স্বপ্ন, আজকে তা বাস্তবতা। বিশ্বব্যাংকের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা ও সাহসের প্রতীক। এই পদ্মা আমাদেরকে আবারো জানিয়ে দিলো বাঙ্গালি বীরের জাতি।
এসময় ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, শত বাধা-বিপত্তি, দেশি-বিদেশী চক্রান্ত, উপহাস-অভিযোগ, প্রাকৃতিক ও ভৌগলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আজ সত্যি হয়েছে কোটি মানুষের স্বপ্ন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর মানচিত্র খচিত পতাকা নিয়ে আনন্দের সহিত যেমন দৌড়েছিলাম, আজ সেরকম একটা আনন্দ অনুভব করছি।
এমএসএম / এমএসএম