জাবিতে সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের সাথে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ১১টার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, 'প্রতিরোধের স্পর্ধায় সংস্কৃতি' কর্মসূচি নামে কয়েক দফা দাবি নিয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল থেকে বের হয়ে সুফিয়া কামাল হলের সামনে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল কিছু শিক্ষার্থী। সেখানে হল প্রশাসন গেটে তালা দিলে তারা সেখানে অবস্থান নেয়। ওই সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা সাংবাদিকদের একজন পাশে দাঁড়িয়ে সংবাদ সংগ্রহের সময় আন্দোলনকারী এক ছাত্রী তাকে ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে সেখান থেকে সরে যেতে বলেন। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও সরে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তার সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু করেন ওই ছাত্রীসহ আরো কয়েকজন।
তখন উপস্থিত অন্য সাংবাদিকরা এমন অশোভন আচরণকে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানান। একপর্যায়ে ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাকিবুল রনি এসে তা মিটমাট করার চেষ্টা করেন। তবে তিনি বাকবিতণ্ডা শুরু করা ছাত্রীদের থামতে না বলে সাংবাদিকদের থামতে বলেন।
ভুক্তভোগী ঢাকা পোস্টের সাংবাদিক আলকামা আজাদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সাথে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত ছিল। এ সময় ঘটনাস্থলে কেন সাংবাদিক উপস্থিত হলো, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আন্দোলনকারীরা, যা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা ঘটনা ঘটছে, সে প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্বের আওতায় পড়ে সে ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করা। কিন্তু আন্দোলনকারীরা সাংবাদিকদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি খারাপ আচরণ করেন। এ ধরনের আচরণ দায়িত্বশীলতার পরিচয় বহন করে না।
এ ব্যাপারে রাকিবুল রনি বলেন, ওই আন্দোলনকারী ও সাংবাদিকের মধ্যে বাক্যবিনিময় আমি প্রত্যক্ষ করিনি। ঘটনার কিছুক্ষণ পর সেখানে উপস্থিত হই। সরাসরি না দেখলেও সেখানে তাদের মাঝে মিসকন্ডাক্ট (অশোভন আচরণ) হয়েছে। ওই আন্দোলনকারীসহ বেশ কয়েকজন এবং আমি নিজে এজন্য সরি বলেছি এবং তিনি (সাংবাদিক) সরি এক্সেপ্ট (গ্রহণ) করেছেন।
জানা যায়, হল এটেন্ডেন্স প্রথা বাতিলসহ কয়েকটি দাবি নিয়ে সন্ধ্যা থেকে মিছিল করার চেষ্টা করেন ওই শিক্ষার্থীরা। মিছিল করতে নিষেধ করায় আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে অসুস্থ হয়ে পড়েন বেগম সুফিয়া কামাল হলের ওয়ার্ডেন ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান। প্রথমে তাকে জাবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অসুস্থতা বাড়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেন।
এ ঘটনায় উপস্থিত হন সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেন, প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রভোস্ট মো. আব্দুল্লাহ হেল কাফী। এ সময় তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে তাদের সাথেও বাকবিতণ্ডা শুরু করে আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতির একপর্যায়ে শিক্ষকদের নামে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেয়া হয়।
এমএসএম / জামান

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

গঠনতন্ত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংযোজন করে ইকসু'র দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টার পুনঃনিয়োগ

পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির নতুন সভাপতি রউফ, সম্পাদক তন্নি
Link Copied