১৫ জুলাইয়ের সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে ময়নার বিকল্প নেই

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ১৫ জুলাই তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সন্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সন্মেলনে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার নাম ঘোষণায় তার কোনো বিকল্প নাই। এদিকে লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেখতে চান তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। তাছাড়া চেয়ারম্যান ময়না যুবলীগের পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে বিভিন্ন ঝড়-ঝাপটার মধ্যেও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এসব কথা তৃণমুল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে জনগণের সেবক হিসেবে প্রচার রয়েছে।

লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না অত্র উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি থাকাকালীন এর আগে দুবার কলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এখন তিনি তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০১ সালে যুবলীগকে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব পান। আজ পর্যন্ত তিনি তিলে তিলে তানোর যুবলীগকে শক্তিশালী করেন। তাছাড়া যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের সকল অংঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে তার সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ রয়েছে। শক্তিশালী জনবল তৈরি করে আজ পর্যন্ত তানোর আওয়ামী লীগকে ধরে রেখেছেন।

এদিকে তানোরের গোদাগাড়ীর অভিভাবক শহীদ পরিবারের সন্তান আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরী এমপির আদেশ-নির্দেশগুলো তিনি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছেন। সে কারণে তানোরে বিএনপির ঘাঁটিকে ভেঙে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়া তিনি সৎ মনোভাবে নেয়ে রাজনীতি করেন। সে কারণে আগামী ১৫ জুলাই তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সন্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ময়না চেয়ারম্যানের কোনো বিকল্প নাই।

অন্যদিকে তৃণমুল নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জোরালো দাবি তুলেছেন, ৯ বছর ধরে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন দায়িত্বে থেকে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের জন্য কী দায়িত্ব পালন করেছেন? এছাড়া তৃণমূলের অনেকে প্রশ্ন ছুড়েছেন, তারা তানোর আওয়ামী লীগের জন্য কী করেছেন? তারা তানোর আওয়ামী লীগকে দুই ভাগে ভাগ করতে চেয়েছেন। তারা আদৌ কি তানোর আওয়ামী লীগকে ভাংতে পারবেন? এমনকি দায়িত্বে থাকাকালীন গোলাম রাব্বানী ও মামুন সাধারণ মানুষদের মানুষ মনে করতেন না। তৃণমূলকে অবহেলা করতেন।

অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বিভিন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরী এমপির কাছে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন এই রাব্বানী ও মামুন। কিন্তু এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী যখন তাদের সবকিছু বুঝে বা জেনে যান, তখন থেকেই তারা এমপির সংঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করতে থাকেন।

আরেক তৃণমূল কর্মী বলেন, যাই ভাবুক না ভাবুক, তানোর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নাকে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হলে সাধারণ জনগণ এবং নির্যাতিত-নিপিড়ীত নাগরিকরা অনেক খুশি হবে।

তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে তখন থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হবে। তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দাবি করেন, তানোরিউপজেলা আওয়ামী লীগে চেয়ারম্যান ময়নার কোনো বিকল্প নেই।