নাটোরের বড়াইগ্রামে বিদ্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগে অনিয়ম
নাটোরে বড়াইগ্রামের কৃষ্ণপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মচারী (নিরাপত্তাকর্মী) নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মো. দুর্জয় সরকার ও এলাকাবাসী।
সোমবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে কৃষ্ণপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে সংবাদ সম্মেলনকালে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি আলহাজ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- বিদ্যালয়ের সাবেক সদস্য গোলাম মুসুদ, সাবেক প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মোনায়েম হোসেন, চান্দাই ইউনিয়নের স্থানীয় সদস্য হাবিবুর রহমান, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আছের উদ্দিনসহ প্রায় অর্ধশত এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী দুর্জয় সরকার বলেন, উক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. আকবর হোসেন ও কমিটির সভাপতি মো. আবু সাঈদ নিরাপত্তাকর্মী পদে জনবল নিয়োগের জন্য পত্রিকায় নিয়োগ বিঞ্জপ্তি প্রকাশ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমিসহ কয়েকজন উক্ত পদে আবেদন করায় ২৪ মার্চ বৃহষ্পতিবার বেলা ১১টায় কৃষ্ণপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হবে জানিয়ে ৭ মার্চ পত্র প্রদান করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য, পরীক্ষা গ্রহণের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা সভাপতি কেউ-ই বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় পরীক্ষার নির্ধারিত ২৪ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে বাড়ি ফিরে আসি।
তিনি আরো বলেন, একপর্যায়ে আমি ২৬ মার্চ অবগত হই যে, পরীক্ষা গ্রহণ ছাড়াই গোপনে উপজেলার পারগোপালপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের (জহুর) ছেলে মিন্টু নামের এক ছেলেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা যোগসাজশী ও অবৈধ। আমি উক্ত নিয়োগ বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে সুষ্ঠ বিচারপ্রাপ্তির প্রত্যাশায় আমি ইতোমধ্যে নাটোরের সিনিয়র সহকারী জজ, বড়াইগ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করেছি, যার নম্বর ৭৭/২০২২ অঃপ্রঃ।
কৃষ্ণপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম মান্নানসহ উপস্থিত সুধীজনরাও উক্ত নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, পরীক্ষার নির্ধারিত ২৪ মর্চে স্কুল খোলা থাকলেও বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হয়নি। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও অনিয়ম রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো. আকবর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রিণ্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কর্মীদের কাছে কিছু বলতে অনীহা প্রকাশ করে বলেন, যেহেতু আদালতে মামলা হয়েছে, সেহেতু সেখানেই জবাব দেব।
এমএসএম / জামান