দুর্গাপুরে গৃহবধূকে নির্যাতন, হাসপাতালে ভর্তি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আমেনা (২০) নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য দফায় দফায় নির্যাতন ও গৃহবধূকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী মানিক মিয়া, শাশুড়ি জইগোনারা বেগম এবং শশুর আব্দুল সাত্তারের বিরুদ্ধে। গত ১৭ জুলাই সকালে গুরুতর আহত ওই গৃহবধূকে ওই এলাকার ওয়ার্ড মেম্বার বাবলু বেগ উদ্ধার করে দুর্গাপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জানা যায়, কাকৈরগড়া ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের আব্দুল সাত্তারের ছেলে মানিক মিয়ার সাথে প্রায় ৫ বছর আগে বিয়ে হয় বাকলজোড়া ইউনিয়নের নগরসিংহা গ্রামের আছর উদ্দিন খলিফার মেয়ে আমেনার। বিয়ের সময় আমেনার পরিবার থেকে মানিক মিয়াকে বিভিন্ন উপঢৌকন দেয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী মানিক মিয়ার করা ঋণ মেটাতে আমেনাকে তার বাবার বাড়িতে থেকে টাকা এনে দিতে বলে। অনেকবার অনেক টাকা এনে দিয়েছেনও। চাহিদার পরিমাণ আরো বাড়তে থাকে, আমেনা এতে রাজি না হওয়ায় প্রায়ই মানিক মিয়া মারধর করে। টাকা না এনে দেয়ায় বিয়ের পর কোনো সন্তানও নিতে দেয়নি ম্বশুরবাড়ির লোকজন। পেটে আসা ২টি সন্তানকেও দুনিয়ার আলো দেখতে দেয়নি।
এদিকে গত শনিবার সকালে আমেনার বাবার বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা এতে দিতে বললে আমেনা রাজি না হওয়ায় শ্বশুরের আদেশে স্বামী মানিক মিয়া ও শাশুড়ি আমেনাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। খবর পেয়ে এলাকার মেম্বার বাবলু বেগ আমেনাকে উদ্ধার করেন।
আহত আমেনা অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী আমার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলে সব সময়। এমন অবস্থায় প্রায়ই টাকা এনে দিয়েছি। কিন্তু দিন দিন চাহিদা বাড়তেই থাকে। টাকা এনে দিতে বললে আমি টাকা এনে দিতে রাজি না হওয়ায় প্রায়ই সে আমাকে মারধর করে। বিয়ের দেড় বছর পর আমার পেটে সন্তান আসে, কিন্তু ওই সন্তানকে নষ্ট করার জন্য আমাকে দিনের পর দিন অত্যাচার করতে থাকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাদের অত্যাচারে আমার পেটের ভেতরই আমার প্রথম সন্তানটি মারা যায়। পরবর্তীতে আমার বাবা-মা আমাকে সেখান থেকে ময়মনসিংহে নিয়ে সিজার করে মৃত বাচ্চাকে বের করে। পরে বাবার বাড়িতে ৬-৭ মাস থাকি। আমার কোনো খোঁজখবরও নেয়নি।
তিনি আরো বলেন, ৭ মাস পর আবারও শ্বশুরবাড়িতে ফিরে গেলে আমার পেটে দ্বিতীয় সন্তান আসে। এরপর সে সন্তানকেও নষ্ট করতে শাশুড়ি আমার স্বামীকে পরামর্শ দিলে এক ধরনের ওষুধ খাইয়ে সন্তান নষ্ট করে দেয়। তারপরও তাদের অত্যাচার থামেনি। বাবার বাড়ি থেকে টাকা না আনায় আমাকে ঢাকায় নিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি করিয়ে তাদের ঋণের টাকা পরিশোধ করায়। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরতে চাইলেই মারধর করত। এমনকি ৪-৫ বার পিটিয়ে আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়েছে। এরপর এবার ঈদে কোনোমতে মানিয়ে বাড়িতে আসতে রাজি করিয়ে বাড়িতে এসে আমার বাবার বাড়িতে চলে যাই আমি। পরবর্তীতে মেম্বারসহ সকালে অনুরোধ করে আবার নিয়ে এলে পরদিনই ১৬ জুলাই শনিবার সকালে আমার শাশুড়ি আমাকে বলে সন্তান নিতে হলে বাবার বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা আনতে হবে। এ কথায় রাজি না হওয়ায় আমাকে বেদম মারধর করে আহত করে। এ খবর পেয়ে মেম্বার সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।
নির্যাতনের বিষয়ে মানিক মিয়ার সাথে কথা বলতে তার মোবাইল ফোনে অনেকবার কল দিলেও কল রিসিভ করেনি।
২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবলু বেগ বলেন, যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়ে আমেনা বাবার বাড়িতে চলে যায়। আমি সবাইকে বুঝিয়ে বলি, আগে যা হওয়ার হয়েছে এখন স্বামী-স্ত্রী ভালোভাবে চলো। আমিসহ মানিক ও তার পরিবারের লোকজন গিয়ে মেয়েকে আনা হলে পরদিনই মেয়েটাকে মারধর করে। আমি একটি দরবার শেষে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা শুনে মেয়েটাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর হাসপাতালে পাঠােই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন, গৃহবধূ আমেনার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দুদিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।
এমএসএম / জামান

কোটালীপাড়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে মাদ্রাসা ছাত্রের আত্মহত্যা

টেকনাফের বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযান

লাকসামে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ কাউন্সিল’২৫ অনুষ্ঠিত

শেরপুরে বন্যহাতির তান্ডবে আমন খেত নষ্ট: দিশেহারা কৃষকেরা

মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি" শীর্ষক প্রতিবাদকে সামনে রেখে স্থানীয় গ্রামবাসী ও যুবসমাজের উদ্যোগে আলোচনা

বাউফলে স্প্রেইড হিউম্যানিটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন,স্বৈরাচারের বিচার দৃশ্যমানকরে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবেঃ এটি এম মাসুম

তানোরে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখম

সীতাকুণ্ডে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল সাইকেল আরোহীর

ঝামায় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মুকসুদপুর প্রেসক্লাব ৩ সদস্যকে ত্রুেস্ট ও পরিচয়পত্র প্রদান

নাগরপুরে পাকুটিয়া ইউনিয়নে বিএনপি নেতাকর্মীদের লিফলেট বিতরণ
