ঢাকা রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

জবির উন্মুক্ত লাইব্রেরি বন্ধে বিপাকে শিক্ষার্থীরা


ইউছুব ওসমান, জবি  photo ইউছুব ওসমান, জবি
প্রকাশিত: ২৩-৭-২০২২ দুপুর ১১:৪৭

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উন্মুক্ত লাইব্রেরি বন্ধে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন বিভাগের ৯টি কক্ষ ও এবং কলাভবনের বারান্দা ব্যবহার হতো এই উন্মুক্ত লাইব্রেরি হিসেবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য পড়ালেখার সুযোগ না থাকা এবং সংষ্কারের অজুহাতে উন্মুক্ত লাইব্রেরি খুলে না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্র-ছাত্রীরা।

২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তিনটি কক্ষ, অর্থনীতি বিভাগের দুটি, সমাজকর্ম বিভাগের একটি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দুটি এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের দুটি মোট ৯টি কক্ষ এবং কলাভবনের বারান্দায় গড়ে তোলা হয় উন্মুক্ত লাইব্রেরি।সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের বারান্দায় একত্রে পড়াশোনা করছেন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। অনেকে আবার জায়গা না পেয়ে ব্যাগ হাতে ফিরে যাচ্ছেন।

তালাবদ্ধ রয়েছে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের কক্ষগুলো। তবে ক্লাস চলতে দেখা যায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একটি কক্ষে। বন্ধ করে রাখা হয়েছে অর্থনীতি, সমাজকর্ম ও লোকপ্রশাসন বিভাগের উন্মুক্ত লাইব্রেরির কক্ষগুলো। দুই মাসের বেশি সময় সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ আছে এই লাইব্রেরি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে এক সঙ্গে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর পড়ার জায়গা থাকলেও সেখানে বাইরের বই বিশেষ করে চাকরির বই পড়ার অনুমতি না থাকায় অধিকাংশ সময়ই ফাঁকা পড়ে থাকে।বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ঘুরে সরেজমিন দেখা মেলেনি ছয় থেকে আটজনের বেশি পাঠক। পড়াশোনা করছেন হাতেগোনা কয়েকজন, তাও তাদের সঙ্গে নেই কোনো বই।

বইয়ের চাহিদা তারা মেটাচ্ছেন মোবাইলের মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে বইয়ের ছবি তুলে অথবা বইয়ের অনলাইন কপি হাতে নিয়ে মোবাইল দিয়ে পড়তে হচ্ছে তাদের।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে স্বল্পসংখ্যক বই থাকলেও তা তাদের বর্তমান সিলেবাসের সঙ্গে কোনো মিল নেই।শিক্ষার্থীরা জানান, করোনাকালীন স্থবিরতা কাটার পর ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে পড়াশোনার সুযোগ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল লাইব্রেরির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরি সংশ্লিষ্ট কক্ষগুলোতে প্রয়োজনীয়তা সাপেক্ষে লাইট-ফ্যান, ফিল্টার স্থাপনসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেন। কিন্তু এখন প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ আছে উন্মুক্ত পাঠাগারের এসব কক্ষ।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ফাঁকা থাকার পেছনে প্রশাসনের উদাসীনতাই দায়ী। আমরা সকাল ৭ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে পড়ার সুযোগ চাই।ইতিহাস বিভাগের করিমুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বই নেই, আমাদেরও বই নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। এজন্য অনেক সময় বই কয়েকটি ভাগে কেটে নিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে হয়।

বিশ্ববিদ্যাল প্রশাসন যেন চাকরির বই নিয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ঢোকার অনুমতি দেয়, সে দাবি তোলেন দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রুম্মান রাফসানা।

এ ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে নিয়ে এসব অভিযোগ অনেক পুরোনো। আমি সরেজমিন গিয়ে বিষয়টি দেখব।

তিনি বলেন, যেসব কক্ষে উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করত সেই কক্ষগুলোতে সংস্কার কাজ চলছে। সংস্কার কাজ শেষে সেগুলো আবার খুলে দেয়া হবে।

এমএসএম / এমএসএম

ডাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মাহিন, সমর্থন দিলেন বাকেরকে

ইবিতে ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে নেতৃত্ব উন্নায়ন কর্মশালা

ধ*র্ষ*ন হুমকির প্রতিবাদে গোবিপ্রবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

ঢাবি ছাত্রীকে গণধর্ষণের হুমকির প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

সেই আলী হুসেনকে ঢাবি থেকে বহিষ্কার

নীলফামারিতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ

গোবিপ্রবি উপাচার্যের কাছে ছাত্রদলের চার দফা দাবী

এবার রেলপথ অবরোধ করলেন বাকৃবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

চবি ও বাকৃবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে জবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

এলজিইউডি'কে শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তকরণের দাবিতে জাককানইবি'তে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথ বাহিনী মোতায়েন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি

ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে স্থানীয় ও চবি শিক্ষার্থীরা, প্রক্টরসহ আহত অনেকে