ভূয়া প্রত্যয়ণপত্র দেয়াসহ স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় শারমীন সুলতানা নামে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষকদের স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফান্ডের (স্লিপ) বরাদ্দের টাকা আত্মসাতসহ মিথ্যা প্রত্যয়নপত্র দিয়ে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শারমীন আক্তার সদর উপজেলার সোনারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে সোনারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য অগ্রিম গৃহীত অর্থের সমন্বয় বিলের বিপরীতে ওই বছরের ২৪ মে শিক্ষা উপকরণ চার্ট ক্রয় বাবদ ২ হাজার টাকা, ২৫ মে অটোবির ৪টি হাতল চেয়ার ক্রয় বাবদ ২০ হাজার, ২৬ মে ৬টি প্লাস্টিকের চেয়ার ক্রয় বাবদ ৩ হাজার টাকা, ৩টি ক্যান মেরামত বাবদ ২ হাজার টাকা, ২৭ মে টিউওয়েলের ড্রেন তৈরি বাবদ ৫ হাজার টাকা ও লোহার গেট তৈরি বাবদ ১৮ হাজার টাকার একটি ভাউচারে বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক আম্বিয়া খাতুন ও আব্দুল আওয়ালের স্বাক্ষর জাল করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর জমা দেন শারমীন আক্তার। একপর্যায়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মাসিক সভায় প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতির বিষয়টি উঠে এলে তোপের মুখে পড়েন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শারমীন আক্তার। একপর্যায়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের সাথে শারমীন আক্তারের দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক শারমীন আক্তারের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতিসহ টাকার বিনিময়ে ভুয়া প্রত্যয়নপত্র দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি অন্তরা রানী নামে এক ছাত্রীর পরিবারের কাছ থেকে মোটা টাকা গ্রহণ করে অন্তরা রানীকে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মর্মে প্রত্যয়ণপত্র দেন শারমীন আক্তার। তবে অন্তরা রানী ওই বিদ্যালয়ে কখনো পড়াশোনা করেনি বলে জানান বিদ্যালয়টির অন্য শিক্ষকরা।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক আম্বিয়া খাতুন বলেন, গত বছর আমার স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে ভূয়া ভাউচার জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শারমীন আক্তার। বিষয়টা আমার দৃষ্টিগোচর হলে আমি প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করলে তিনি আমাকে উল্টাপাল্টা কথা শোনাতে থাকেন।
সহকারী শিক্ষক আব্দুল আওয়াল বলেন, আম্বিয়া খাতুনের মতোই আমার স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে ভূয়া ভাউচার জমা দিয়ে স্লীপ ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক শারমীন আক্তার। এব্যাপারে আমি শারমীন আক্তারের কাছে জবাবদিহিতা চাইলে তিনি আমাকে নানাভাবে হয়রানী করে চলেছেন।
বিদ্যালয়টির অপর এক সহকারী শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষকের নানা ধরণের দুর্নীতি সমন্ধে জানার পরেও আমরা প্রতিবাদ করতে পারিনা। কেননা, আমরা তার অধিনে কাজ করি। তার নিয়ম বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলেই বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে হয় আমাদের।
তিনি আরো বলেন, তার নিয়মবহির্ভূত কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করাই সম্প্রতি এক শিক্ষকের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছেন তিনি। সমাজে সেই শিক্ষকের চলাফেরাটাই লজ্জাজনক হয়ে উঠেছে। আমাদেরও সম্মান আছে সংসার আছে। কারও দূর্নীতির প্রতিবাদ করে যদি সম্মান হারাতে হয় তাহলে প্রতিবাদ করার দরকার কী? বলে প্রতিবেদকের কাছে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভূয়া প্রত্যয়নপত্র দেয়া সমন্ধে আমরা সকলে অবগত। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান যদি কারও জিম্মায় থাকে তাহলে আমাদের করণীয়টাও কী?
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শারমীন আক্তার গণমাধ্যমে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, আমি যদি নিয়মবহির্ভূত কাজে জড়িত থাকি, সেটার জন্য আমার অফিস আছে। তারাই তদন্ত করবেন। এ ব্যাপারে আমি কথা বলতে আগ্রহী নই।
এমএসএম / জামান

বালু খেকোরা যত বড় হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে নাঃ ইউএনও তরিকুল ইসলাম

বন্দরবান জেলা পরিষদের প্রকল্প বাতিল, পিছিয়ে পরার ভয় ১৩ জনগোষ্ঠীর

পারিবারিক কলহের জেরে পিতার হাতে পুত্র খুন

চিলমারীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

কুড়িগ্রামে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে জেলা পরিষদের শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান

ডায়াগণস্টিকে স্বাক্ষর জালিয়াতি : খাবারে নেই মেয়াদ, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা, অভিযোগের তীর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

সাঘাটা খাদ্য বান্ধব ডিলার এসোসিয়েশনের কার্য্যনির্বাহী কমিটি গঠন

পঞ্চগড়ে প্রাঃ শিক্ষা অফিসারের অর্থ কেলেঙ্কারি ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি কতৃপক্ষের

সাতক্ষীরা শহরের ৯নং ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ

গোদাগাড়ীতে উন্নত জাতের মাসকলাই বীজ ও সার বিতরণ
