ভুতুড়ে ভবনে কুতুবদিয়া বিটিসিএল, বিকল যন্ত্রপাতি

কুতুবদিয়ার প্রাচীন টিএন্ডটি ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। প্রতি নিয়ত খসে পড়ছে ছাদ ও দেয়ালের ফলেস্টার। দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল। কোন সংস্কার নেই। সেবাও নেই। ভেতরে দুর্গন্ধ আর ধুলাবালির আস্তরণ। এক কথায় ভুতুড়ে ভবনে পরিণত হয়েছে। দূর থেকে দেখে মনে হয় ভূতের বাড়ি। যে কোন দুর্যোগে ভেঙে পড়তে পারে ভবনটি। এমন আশঙ্কা স্থানীয়দের।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, এক সময়ের নাম করা গুরুত্বপূর্ণ টিএন্ডটি অফিসটি এখন জরাজীর্ণ ভবনে পরিণত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের উপরের দিকে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দায় সেরেছে। সাইনবোর্ডে লেখা ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, কুতুবদিয়া,কক্সবাজার। কিন্তু ডিজিটালের কোন ছোঁয়া লাগেনি বরং মলিন হয়ে পড়েছে।
১.৫৮ শতাংশ জায়গার এক কোনায় বিটিসিএল ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ কুতুবদিয়ার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির পাশে দাঁড়িয়ে আছে সুউচ্চ টাওয়ারটি। যদিও এই জায়গার ৮৪ শতাংশ টেলিফোন বিভাগ এবং ৭৪ শতাংশ ওয়্যারলেস বিভাগের এর অধিনে ছিল বলে জানা যায়। কোথাও কোন সীমানা প্রাচীর নেই। পুরো জায়গাটাই পড়ে রয়েছে অরক্ষিত অবস্থায়। মাস্টার রোলে কর্মরত একজন কর্মচারী কার্যালয়ের পতিত জমিগুলো চাষাবাদ করে সংসার চালান।
জানা যায়, বর্তমান ঝুকিঁপূর্ণ ভবনটি ১৯৭৪ সালে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য নির্মাণ করা হয়। পরে ভবনটি টিএন্ডটি কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, এলজিইডি অফিসসহ বিভিন্ন অফিস ও গ্রাহক পর্যায়ে ৫০টি টিএন্ডটি লাইন রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বিকল থাকায় সেবা বঞ্চিত হচ্ছে গ্রাহকেরা।
উপজেলার বেশ কয়েকটি অফিসে যোগাযোগ করে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে টিএন্ডটি সংযোগ। টেলিফোন সেটটি রেখে দেয়া হয়েছে আলমিরার উপর। অফিসের কোন কোনায়। অনেক অফিসে টেলিফোন সেটটিও নেই। কবে নাগাদ সেবা চালুু হবে নিশ্চয়তা নেই। তাই নষ্ট হওয়া টেলিফোন ফেলে দিয়েছেন অনেকেই।
অফিস ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত আছেন একজন টেলিকমিউনিকেশন টেকনিশিয়ান। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, এই কার্যালয়ে জনবল সংখ্যা চার জন। তিনি ২০০১ সাল থেকে কর্মরত আছেন । আগামী বছর অবসরে যাবেন তিনি। অন্য তিনটি পদে (লাইনম্যান, টেলিফোন অপারেটর এবং ওয়্যারলেস অপারেটর) কেউই নেই। স্থানীয় একজন কেয়ারটেকার আছেন। তিনি জমিগুলো চাষাবাদ করেন।
স্থানীয় মোজাম্মেল হক জানান, ভবনটি পরিত্যক্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে অনেক আগে। ভেঙে পড়ার ভয়ে কাউকে সেখানে অফিস করতে দেখা যায় না। ভবনটি ভেঙে পড়ার আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী।
সেবা গ্রহণকারী ইছহাক বলেন, ২০০৯ সালের দিকে টিএনটি'র একটি ডিজিটাল ল্যান্ডফোন লাইন নিয়েছিলাম। ভালো সুবিধা পাবো মনে করেছিলাম। একদিনও কথা বলতে পারিনি। সেই আশা প্রতি মাসে সার্ভিস সার্জ দিয়েছি এত বছর। কিন্তু কোন সেবা ভোগ করতে পারিনি। নতুন করে সার্ভিস সার্জ বাড়ায় নিরুপায় হয়ে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে লাইন কেটে দিয়েছি।
এদিকে সচেতন মহলের প্রত্যাশা, বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ নতুন ভবন নির্মাণ করে ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ কুতুবদিয়াকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে পুনরায় ল্যান্ডফোন সেবাকে সচল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
জানা গেছে, বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ কয়েকবার পরিদর্শন করে গেছেন। কিন্তু গ্রাহক সেবার কোন সুরাহা হয়নি।
এমএসএম / এমএসএম

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত
Link Copied