ঢাকা শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫

মানবতার ফেরিওয়ালা রিকসাচালক


আল নোমান শান্ত, দুর্গাপুর photo আল নোমান শান্ত, দুর্গাপুর
প্রকাশিত: ১৬-৮-২০২২ দুপুর ৩:৭

মানুষের জন্য কিছু করতে হলে শুধু ধন নয়, মনও থাকতে হয়। অনেক বড় মনের মানুষ ধনী না হয়েও মানুষের পাশে আজীবন থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। আবার ধন-সম্পদ থাকার পরও অনেকেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সক্ষমতা রাখতে পারেন না। এমনই একটি উদাহরণ সৃষ্টি করে চলছেন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার রিকসাচালক তারা মিয়া। তার ধন নেই কিন্তু মন আছে। সেই মন নিয়ে তিনি ফেরি করছেন মানবতা। 

‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এটিকে জীবনের মন্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন রিকসাচালক তারা মিয়া। তিনি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, নন কোটিপতিও। তারা মিয়া একজন পরিশ্রমী রিকসাচালক। সারাদিন প্যাডেল মেরে রোজগারের মধ্যেই চলে সংসার। সেই রোজগারের অর্ধেক ব্যয় করেন সামাজের অসহায়-গরিব মানুষ ও শিক্ষার্থীদের জন্য। 

দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দিনমজুর হেলিম মিয়ার ছেলে তারা মিয়া (৩০)। মা রহিমা খাতুন একজন গৃহিণী। তারা মিয়ার এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং স্ত্রী আছে। তার ছেলে দুর্গাপুর আলিয়া মাদ্রাসায় পড়ছে। ৩ ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় তারা মিয়া। সংসারের দরিদ্রতার কারণে লেখাপড়া করতে পারেননি। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে দেখে তার মন খারাপ হতো। এই কষ্ট থেকে সিদ্ধান্ত নেন বড় হয়ে অসহায় শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু করবেন। তখন থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসামগ্রীসহ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি। যেসব গরিব ছেলে-মেয়ে পড়াশোনা করতে অসুবিধায় পড়ে, তারা মিয়া তাদের পাশে দাঁড়ান।

তারা মিয়া প্রথমে ভাড়া রিকসা চালাতেন। পরে নিজেই একটি ব্যাটারিচালিত রিকসা কেনেন। এতেই চল তার জীবন সংসার। সংসার চালানোর পাশাপাশি দরিদ্র ছেলে-মেয়েদের পাশে দাঁড়ানোর স্বপ্ন তাকে তাড়িত করে। প্রতিদিনের রোজগারের টাকা দুই ভাগে ভাগ করেন তারা মিয়া। এক ভাগ সংসারে দেন, আরেক ভাগ ব্যয় করেন দরিদ্র শিশুদের লেখাপড়ায় সহায়তা করে। তিনি বিভিন্ন সময় দেবথৈল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, বারমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নলুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চকলেঙ্গুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ও প্রতিবন্ধী স্কুলে শিক্ষাসামগ্রী দিয়েছেন সুবিধাবঞ্চিত দ্ররিদ্র শিশুদের। এছাড়াও প্রতি মাসেই তার এলাকার একটি মাদ্রাসা ও একটি মিশনারি স্কুলে খাতা-কলম ও খেলনাসামগ্রী দিয়ে আসছেন। এছাড়াও তারা মিয়ার এ কাজের জন্য বিভিন্ন সংস্থা তাকে কিছু টাকা দেয়। ওই টাকা দিয়েও তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করেন।

শীতের রাতে দুঃস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণসহ বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে গরিব, অসহায়, পঙ্গু ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতা করেছেন সামর্থ্য অনুযায়ী। দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ মানুষদের সহযোগিতা করে আসছে তারা মিয়া। প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন সাদামনের মানুষ। কিছুদিন আগে তিনি সাদামনের মানুষ হিসেবে প্রথম আলো থেকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।

এ নিয়ে তারা মিয়া সকালের সময়কে বলেন, দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ রিকসা চালানোর উপার্জন থেকে প্রতি মাসেই কিছু কিছু টাকা জমিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়সহ গ্রামের সাধারণ শিক্ষার্থীদের এ উপকরণ বিতরণ করছি। ছোটবেলায় টাকার অভাবে পড়াশোনা করতে পারিনি, বিধায় প্রতি মাসেই দরিদ্র শিক্ষার্থীদের এভাবে সহযোগিতা করছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। 

এমএসএম / জামান

কোটালীপাড়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে মাদ্রাসা ছাত্রের আত্মহত্যা

টেকনাফের বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযান

লাকসামে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ কাউন্সিল’২৫ অনুষ্ঠিত

শেরপুরে বন্যহাতির তান্ডবে আমন খেত নষ্ট: দিশেহারা কৃষকেরা

মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি" শীর্ষক প্রতিবাদকে সামনে রেখে স্থানীয় গ্রামবাসী ও যুবসমাজের উদ্যোগে আলোচনা

বাউফলে স্প্রেইড হিউম্যানিটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন,স্বৈরাচারের বিচার দৃশ্যমানকরে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবেঃ এটি এম মাসুম

তানোরে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখম

সীতাকুণ্ডে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল সাইকেল আরোহীর

ঝামায় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মুকসুদপুর প্রেসক্লাব ৩ সদস্যকে ত্রুেস্ট ও পরিচয়পত্র প্রদান

নাগরপুরে পাকুটিয়া ইউনিয়নে বিএনপি নেতাকর্মীদের লিফলেট বিতরণ

পাটগ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু