ঢাকা মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫

হাবিপ্রবি'র পরিবহন সেবা: সময় অপচয় ও ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা


আবু সাহেব, হাবিপ্রবি photo আবু সাহেব, হাবিপ্রবি
প্রকাশিত: ২৯-৮-২০২২ বিকাল ৫:১৭
নতুন পরিবহন শিডিউলে বিড়ম্বনায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় পরিবহন সঙ্কটের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করতে হচ্ছে শহরে থাকা শিক্ষার্থীদের। অন্যদিকে বাইরের বাসে চড়তে গিয়ে প্রতিনিয়ত নানা হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিকল হয়ে পড়ে থাকা পরিবহনগুলো সংস্কারে তেমন তৎপরতা নেই প্রশাসনের। পর্যাপ্ত বাস না থাকায় এবং ট্রিপের সংখ্যা কম হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির মাত্রা আগের তুলনায় অনেক বেশি। এই অবস্থায় গত শনিবার (২৭ আগস্ট)  বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ও যন্ত্র মেরামত শাখার পরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত নতুন বাস সিডিউলের চিত্র দেখে হতাশ শিক্ষার্থীরা। যেখানে শিক্ষার্থীদের সময় লাঘবের চেয়ে সময় অপচয় বেশি এবং বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
 
শিক্ষার্থীরা বলছেন, একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও মেলেনি কোনো সমাধান। আমরা বাস ও প্রতিদিনের ট্রিপ বাড়ানোর জন্য আবেদন করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উল্টো কমিয়ে দেয়। এদিকে অনেক দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস স্ট্যান্ডে নষ্ট হয়ে পরে আছে পাঁচটি বাস।
 
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পূর্বে সারাদিনে মোট ৪৬ টি ট্রিপ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে শহর এবং শহর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করতো। বর্তমানে সেই ট্রিপ সংখ্যা কমিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ৩২ টি ট্রিপ দিয়ে নতুন পরিবহন সময়সূচি প্রকাশ করেছে প্রশাসন, যা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিকে বাড়িয়ে দিয়েছে।রাত ৮ টার পরে শহর থেকে কোন বাস নেই,রাতে কলেজ মোড় থেকে ক্যাম্পাস রোডে প্রতিনিয়ত ঘটে ছিনতাইয়ের ঘটনা। প্রশাসন ছিনতাইকারীদের পরোক্ষভাবে সুযোগ করে দিচ্ছে বলেও মনে করছেন তারা।
 
নতুন বাস সিডিউল ও পরিবহন সংকট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়। নতুন সিডিউলে দেখা যায় ১ ট্রিপ বাসে যাতায়াত করতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে এক থেকে দেড় ঘন্টা যা একজন শিক্ষার্থীর জন্য শুধুই সময় অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়। বর্তমান প্রশাসনের অধিকাংশ সিদ্ধান্তই শিক্ষার্থী বান্ধব নয় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।  
 
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র মতে, বর্তমানে হাবিপ্রবির পরিবহন পুলে রয়েছে প্রায় ২০ টি বাস, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪ থেকে ৫  হাজার শিক্ষার্থী ও স্টাফদের শহর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াতের কাজে ব্যবহৃত হয়। অর্থাভাবে ও মেরামতের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় বিকল অবস্থায় প্রায় ১ বছর থেকে পড়ে আছে ১১ ও ১২ নাম্বার বাস।এছাড়াও ৩ থেকে ৬ মাস ধরে পরে আছে ৬,১৪ ও ১৬ নাম্বার বাস।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পরিবহন কর্মচারী বলেন, বর্তমানে ২০ টা বাসের বিপরীতে ড্রাইভার মাত্র ৮ জন।অনেক ড্রাইভারকে ২ টা করে বাস চালানোর নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।পরিবহনের সমস্যার বিষয়ে পরিবহন প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হলেও ওনারা কোনো সুরাহা করেননি। বাস সংস্কারের ফাইল বিভিন্ন কমিটি উপকমিটি ঘুরে পাশ হতেই লেগে যাচ্ছে কয়েকমাস।দীর্ঘদিন ড্রাইভার সংকটরের সহ বিভিন্ন সমস্যার কথা বললে আর্থিক সমস্যা,সরকারি নির্দেশনাসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যান। 
 
কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকটের কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান করে। অনেক শিক্ষার্থী দিনাজপুর শহর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান শিক্ষার্থীদের শহরে যাতায়াতের জন্য নির্ভরযোগ্য নিরাপদ মাধ্যম হলো বিশবিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থা। কিন্তু বর্তমান বাস সিডিউল আমাদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতি ১ ঘন্টা পরপর বাস,মানে কোন ভাবে বাস মিস হলেই পরবর্তী বাসের জন্য ১ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়।আমার নতুন সিডিউলে ক্যাম্পাস থেকে সকাল ১১ টার পর বাস দুপুর ১ ট ,যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। 
 
পরিবহন সংকট ও সিডিউল সমস্যার কথা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ও যন্ত্র মেরামত শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: খালেদ হোসাইন বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা এবং সিদ্ধান্তে এই সময়সূচি তৈরি করা হয়েছে।  শতকরা ২০ ভাগ জ্বালানি সাশ্রয় করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সেই মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন এই সময়সূচি দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ড্রাইভার সংকট, নতুন অর্গানোগ্রাম না হওয়ায় আমরা দ্রুত  নিয়োগ দিতে পারতেছি না। মাস্টার রোল নিয়োগও এখন ইউজিসি থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে ও চাহিদা অনুযায়ী তারা চাইলে আমরা সময়সূচির বাইরেও অতিরিক্ত বাস দেওয়ার চেষ্টা করবো।
 
দীর্ঘদিন নষ্ট হয়ে পড়ে থাকা বাস গুলো কেনো ঠিক করা হচ্ছে না বলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি নষ্ট বাসের জন্য বরাদ্দ ৭৫ হাজার টাকা। এই অপ্রতুল টাকা দিয়ে বাস গুলো মেরামত করা সম্ভব নয়। যেসব বাস এই টাকার মধ্যেই করা যাবে আমরা সেগুলো মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিচ্ছি। দেশের জ্বালানি সংকট কেটে গেলে পরিবহন সিডিউলের এই সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান তিনি।

এমএসএম / এমএসএম

খাতা দেখা শেষ, ১৮ অক্টোবরের আগেই এইচএসসির ফল

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর

মাতামুহুরি নদীতে গোসলে নেমে সাবেক চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজনৈতিক দুষ্টচক্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025