তাড়াশে সুতি জাল উচ্ছেদে বিক্ষোভ মিছিল
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সুতি জালের কারণে চলনবিলে পানি না থাকলেও উপজেলার উত্তরাঞ্চলের জনগণ পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। এমনটি ঘটেছে উপজেলার তালম ইউনিয়নের ১১টি গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা সিংড়ার ১০টি গ্রামে। এসব গ্রামের জনগণের নানা ধরনের সমস্যা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জনদুর্ভোগ। কয়েক দিনের বৃষ্টির বর্ষণে এলাকায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি প্রবাহিত ভদ্রাবতী নদীর মাঝে মাঝে স্থাপিত অবৈধ সুতি জালের বাধায় পানি বের হতে না পেরে আবাদি জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। রাস্তাঘাট গেছে পানির নিচে। বসতবাড়ির উঠানে পানি উঠে বেড়েছে সাপ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব। বসতবাড়ির দেয়াল ভেঙে পড়েছে পানির মধ্যে। পুকুরের মাছ বের হওয়ায় আশঙ্কায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন মাছচাষিরা। রোপা আমন ধানের আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। চাষিরা পারছেন না বিচনের চারা দিতে।
সোমাবার (৫ জুলাই) সকালে সরেজমিন ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ দেখা যায়। কলামুলা ভাদাই ব্রিজ থেকে শুরু করে তালম নাগোড়পাড়া পর্যন্ত ভদ্রাবতী নদীর মাঝে মাঝে ১১টি সুুতি জালের বাঁধ। এই সুতি জালের বাঁধে পানি প্রবাহিত হতে না পেরে এলাকার জমিসহ রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। বারবার সুতি জাল মালিকদের সমস্যার কথা বললেও তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। সুতি জাল মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার খেটে খাওযা জনগণ তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারছেন না বলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পানিতে বসতবাড়ি ভেঙে যাওয়া এক ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান রেজাউল করিম জানান, প্রায় এক মাস যাবৎ এই পানিতে আমার ঘরবাড়ি ডুবে থাকায় দেয়াল ভেঙে পড়েছে। আমি আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। এছাড়া আমার মতো আরো অনেক বাড়িঘর পানিতে ডুবে আছে।
কলামুলা গ্রামের বেল্লাল হোসেন বলেন, এই পানির কারণে আমাদের আবাদি জমি নষ্ট হয়েছে। সামনে রোপা ধান রোপণ করবো। আমরা কোনোভাবেই বিচনে চারা দিতে পারছি না। এই পানি যদি না নামে তাহলে রোপা ধান রোপণ করা হবে না। আমরা না খেয়ে মরব।
কোলাকুপা গ্রামের ফিরোজ উদ্দিন বলেন, সুতি জালের বাধায় পানি নামতে না পেরে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। কলা গাছরে ভেলা তৈরি করে পরিবারের সদস্যরা পার হচ্ছি। এভাবে আর কতদিন চলতে হবে জানি না।
ওই এলাকার মোস্তাব আলী বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী চলনবিলে এখন গরু-বাছুর, ছাগল, ভেড়া ঘুরে ঘুরে ঘাস খাচ্ছে আর আমাদের উঁচু এলাকায় পানিতে ডুবে হাবুডুবু খাচ্ছি। পানি বের করতে হলে প্রসাশনের হস্তক্ষেপে সুুতি জাল উচ্ছেদ করতে হবে। তবেই আমরা রক্ষা পাব।
এই বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস-উজ-জামান বলেন, ১০-১১ জন লোকের সুবিধা দেখতে গিয়ে আমি তো বৃহৎ স্বার্থের ক্ষতি হতে দেব না। এলাকায় এই সুতি জালের কারণে অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এটা খুব তাড়াতাড়ি উচ্ছেদ করতে হবে।
উপজেলা মৎস্য অফিসার মশগুল আজাদ বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি। সুতি জাল দিয়ে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ। সুতি জাল উচ্ছেদের অভিযান চলমান রয়েছে।
এমএসএম / জামান
আশুলিয়ার মামলাবাজ গাজী নাছরিন, উপরে টিকটকার, ভেতরে আওয়ামীলীগার
কাপাসিয়ার টোক বিএনপির দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে ডাসকো ফাউন্ডেশন: তানোর-গোদাগাড়ীতে ৮০ পরিবারে ত্রাণ বিতরণ
বারহাট্টায় বিপুল পরিমান ভারতীয় শাড়ী ও থ্রি-পিস জব্দ
জয়পুরহাটে ক্রীড়া অফিসের উদ্যোগে দিনব্যাপী সাঁতার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী
কর্ণফুলীতে জমি বিরোধে ব্যবসায়ীকে মারধর, থানায় মামলা
ধোপাজান নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
ঠাকুরগাঁওয়ে জলপাই ও বিস্কুট খেয়ে হঠাৎ অসুস্থ বিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রী
মিরসরাইয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হলো
মেহেরপুরে শ্বশুর হত্যার দায় জামাতা আলমগীর হোসেনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড
ধামরাইয়ে বিএনপি'র ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
উলিপুরে আব্দুল খালেকের মনোনয়ন দাবিতে মানববন্ধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত