ঢাকা মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

জবির ১৭ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য অ্যাম্বুলেন্স মাত্র ১টি


ইউছুব ওসমান, জবি  photo ইউছুব ওসমান, জবি
প্রকাশিত: ১২-৯-২০২২ দুপুর ৩:৫০
প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পরেও পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থায় নিয়োজিত রয়েছে একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে কোনো উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় আশেপাশের মেডিকেল ও প্রয়োজনে ঢাকা মেডিকেলে রোগী আনা নেয়া করার একমাত্র মাধ্যম এই অ্যাম্বুলেন্স।
 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ১৭ হাজার ৩৮ জন। পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন প্রায় ৩ হাজার। প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী, প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক এবং কর্মচারীদের জরুরি সেবায় রয়েছে একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স। অ্যাম্বুলেন্স সঙ্কটে আপদকালীন সময়ে দুর্ভোগে পড়ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
 
শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে একসাথে কয়েকজন অসুস্থ হতেই পারে, কিন্তু আমাদের অ্যাম্বুলেন্স একটি হওয়ার একজনের বেশি অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবে না। তাই তারা একাধিক অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
 
ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সামিরা ইসলাম বলেন, আমার এক বান্ধবীকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়ার জন্য ফোন দেয়া হলে তারা জানায় অ্যাম্বুলেন্সে আরেকজনকে নিয়ে হাসপাতালে গেছে। তখন বাধ্য হয়ে অনেক কষ্টে রিক্সায় নিয়ে যাওয়া হয়। 
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রীহল ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল' এ থাকেন ১২০০ ছাত্রী। আবাসিক হলের কোনো ছাত্রী রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেও অ্যাম্বুলেন্স সেবা না পাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
 
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কোনো আবাসিক হল না থাকায় পুরান ঢাকার বিভিন্ন বাসা বাড়িতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকেন ছাত্ররা। যার ফলে বেশিরভাগ সময়েই অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়, কিন্তু কোনো শিক্ষার্থীই অ্যাম্বুলেন্স সেবা পায়নি বলে জানা যায়।
 
বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের এক আবাসিক ছাত্রী জানান, ‘আমার রুমমেট রাত ৩টার দিকে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ায় প্রভোস্ট ম্যামের মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্স চাওয়া হয়, কিন্তু ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করার পরেও অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে বাধ্য হয়ে রিক্সায় মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।’
 
পুরান ঢাকার নারিন্দা এলাকার মেসে থাকা লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ‘মাসখানেক আগে হঠাৎ আমার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, আমার রুমমেটরা প্রথমে চেষ্টা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স আনার। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়ে পরে রিক্সায় করেই মেডিকেলে নিয়ে যায়।’
 
এবিষয়ে মেডিকেল সেন্টারের উপ-প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিতা শবনম সকালের সময়কে বলেন, আমাদের একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে, আরেকটি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য আমরা আবেদন করেছি। এখন একটি দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে।
 
তিনি আরও বলেন, দেখা যায় একদিন যদি একাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে সমস্যায় পড়তে হয়। তবে এই অ্যাম্বুলেন্সটি না থাকলে অন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়।
 
এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক ড. সিদ্ধার্থ ভৌমিক সকালের সময়কে বলেন, অ্যাম্বুলেন্স কেনার ক্ষেত্রে বাজেটের একটা বিষয় রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রয়কমিটি সহ আনুষাঙ্গিক আরও কিছু কমিটি আছে, অ্যাম্বুলেন্স ক্রয়ের বিষয়েও তাদের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়। সামনের বাজেট আসলে নতুন একটি অ্যাম্বুলেন্স কেনার চেষ্টা করবো।
 
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৬ জুলাই দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের যানবাহন কেনা বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এমএসএম / জামান

টিএসসি কেন্দ্রে ৩ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ

ভোটার লাইনে প্রার্থীদের প্রচারণা, ‘বিরক্ত’ ভোটাররা

শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ডাকসুর ভোটগ্রহণ

শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ডাকসুর ভোটগ্রহণ

ভোটটা উদযাপন করতে চাই : ছাত্রদল প্যানেলের ভিপিপ্রার্থী আবিদুল

ঢাবিতে প্রবেশে কঠোর নিয়ন্ত্রণ, ভেতরে বিজিবির টহল

ডাকসু নির্বাচন : নারী ভোটকেন্দ্রে লম্বা লাইন

রাত পোহালে ডাকসু নির্বাচন

পবিপ্রবিকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্ব দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা

চবির ঘটনায় উপজেলা আমীর সিরাজুল ইসলামকে পদ থেকে অব্যাহতি

জবিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি প্রতিযোগিতা

ইবি'র পরিবহনে যুক্ত হলো ৪টি ডাবল ডেকার বাস

‘গণরুম-গেস্টরুমের অপসংস্কৃতি ফিরতে দেবো না