ইটভাটা মালিকের ফাঁদে শ্রমিক সরদার প্রতারণার শিকার

দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ শ্রমিক সাতক্ষীরা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে ইটভাটা মৌসুমের শুরু থেকে শ্রমিক নেয়া হয় ভাটাগুলোতে। ছয় মাসের চুক্তিবদ্ধ হয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ইটভাটার কাজে যান শ্রমিকরা। মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোনোদিনই ছুটি পাওয়া যায় না। খুব বেশি প্রয়োজন হলে এক থেকে দুদিন ছুটি দেয়। এর বেশি নয়।
সর্দার কর্তৃক কাজের শুরুতে শ্রমিকদের সঙ্গে মজুরির চুক্তি করে নিলেও অনেক সময় ছয় মাসেও মৌসুম শেষ হয় না। বর্ষা না আসা পর্যন্ত ইট তৈরির কাজ চলে। তখন নতুন করে আর শ্রমিক পাওয়া যায় না। সেজন্য আগের শ্রমিকদেরই থাকতে বাধ্য করা হয়, এমনকি শ্রমিকরা পর্যাপ্ত মজুরি তো পানই না, সেই সঙ্গে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। এমনটাই ঘটে হরহামেশা।
ইটভাটায় যিনি বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক জোগাড় করেন, তাকে বলে শ্রমিক সর্দার। তার তত্ত্বাবধানে শ্রমিকরা মাটি কাটা থেকে শুরু করে ইট বিক্রির আগ পর্যন্ত সব কাজ করেন। শ্রমিক সর্দার ভাটা মালিকের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে পরিশোধ করেন শ্রমিকদের। অনেক সময় দেখা যায়, শ্রমিক সর্দারের টাকা আটকে যায় ভাটা মালিকের কাছে। এতে বিপাকে পড়েন সর্দার ও শ্রমিকরা। ইটভাটার মালিকদের এমন কর্মে ফেরারি হতে দেখা যায় শ্রমিক সর্দারদের।
এমনই এক ঘটনার শিকার সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার রতনপুরের শ্রমিক সর্দার নজরুল ইসলাম। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি গত বছর ভাটা মৌসুমের শুরুতে ৬০ জনের অধিক শ্রমিক নিয়ে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার রুমী ব্রিকস ও কাউখালি থানার খান ব্রিকস এর সত্ত্বাধিকারী জসীমের ইট ভাটায় নিয়ে যায় ।
জসীম শ্রমিকদের তার দুই ইটের ভাটাতে কাজে লাগিয়ে দেয় এবং আমাকে শ্রমিকের কাজের বাবদ, রুমী এন্টারপ্রাইজ এর নামীয় ৪৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮২০ টাকার ইসলামি ব্যাংকের একটি চেক প্রদান করেন। চেকটি নিয়ে ব্যাংকে গেলে জানতে পারি তাতে কোন প্রকার টাকা নেই । বিষয়টি নিয়ে আমি ভাটা মালিক জসীমের নিকট কথা বললে তিনি পরে দিবে বলে জানান। কিন্তু তিনি কয়েক মাস ঘুরিয়েও টাকাটা পরিশোধ করেননি। এদিকে শ্রমিকেরা আমার এলাকার পরিচিত হওয়াতে টাকার জন্য আমার বাড়িতে আসছে দিন-রাত,আমি গরিব মানুষ এত টাকা কিভাবে পরিশোধ করব। পরে চেকটি নিয়ে একটি মামলা করেছি এখন দেখি কি হয় । তিনি আরো বলেন, জসীমের মতো চিটারের খপ্পরে পড়ে আমি আজ সব হারিয়েছি,নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে আজ পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে, শুধু আমি নই আমার মতো অনেকে আছে যারা জসীমের কাছে তাদের কাজের টাকা পাই ।
খোঁজ নিয়ে জানা জায়, ভাটা মালিক জসীম খান পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার ভিটাবড়িয়া গ্রামের সালাম খান এর বড় ছেলে। তার দুই আপন সহোদর অসীম খান ও উজ্জ্বল খান এই ভাটা দেখা শোনা করেন । তারা দেশের বিভিন্ন জেলার শ্রমিক সর্দার,বালি ব্যবসায়ী,মাটি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাল ক্রয় করে নগদ টাকাতে পরিশোধ নাকরে শূন্য ব্যাংকের চেক হাতে ধরিয়েদেন,পরবর্তীতে বিপাকে পড়ে যায় এই মানুষ গুলো। পাওনা টাকা চাইতে গেলে বেরিয়ে আসে তাদের আসল চেহারা,মিথ্যা মামলা সহ খুন গুমের মতো হুমকিও দিয়ে থাকেন বলে দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি । সবাই এখন আমার মতো কোর্টে মামলা করে বসে আছে । এদিকে ভুক্ত ভুগিদের দাবি একাধিক চেকের মামলার ওয়ারেন্ট থাকলেও সে কেন আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জসীম খান মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি করোনাকালীন সময়ে অনেক ধরা খেয়ে গেছি, টাকা যদি দিতে নাই চাইতাম তাহলে তাদের কাছে আমি চেক দিতাম না। আমি কয়েক মাস পর তাদের টাকা পরিশোধ করে দেব।
প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট এমন প্রতারক ভাটা মালিক জসীমের বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগী শ্রমিক সর্দার।
এমএসএম / এমএসএম

বালু খেকোরা যত বড় হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে নাঃ ইউএনও তরিকুল ইসলাম

বন্দরবান জেলা পরিষদের প্রকল্প বাতিল, পিছিয়ে পরার ভয় ১৩ জনগোষ্ঠীর

পারিবারিক কলহের জেরে পিতার হাতে পুত্র খুন

চিলমারীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

কুড়িগ্রামে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে জেলা পরিষদের শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান

ডায়াগণস্টিকে স্বাক্ষর জালিয়াতি : খাবারে নেই মেয়াদ, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা, অভিযোগের তীর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

সাঘাটা খাদ্য বান্ধব ডিলার এসোসিয়েশনের কার্য্যনির্বাহী কমিটি গঠন

পঞ্চগড়ে প্রাঃ শিক্ষা অফিসারের অর্থ কেলেঙ্কারি ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি কতৃপক্ষের

সাতক্ষীরা শহরের ৯নং ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ

গোদাগাড়ীতে উন্নত জাতের মাসকলাই বীজ ও সার বিতরণ
