চট্টগ্রামে নৌ পুলিশের নামে মাসে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ

চট্টগ্রামে মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৬ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা বার আউলিয়া ঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নাছির উদ্দীন রাসেল। হত্যা মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে এলাকার নিরীহ মানুষের কাছ থেকে লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপারের কাছে এসআই নাছির উদ্দীন রাসেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মাহফুজ নামে এক ব্যক্তি। ঢাকার নৌ পুলিশ সদর দফতরে গত ১০ সেপ্টেম্বর নৌ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শকের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি, যার ডায়েরি নং-২৭৯১৫ তাং ১০/০৯/২২।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের শেষের দিকে আনোয়ারা বার আউলিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদানের পর আনোয়ারা উপকূলের মৎস্যজীবিদের ওপর প্রতি মাসে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা ধার্য্য করে দেন এসআই নাছির উদ্দীন রাসেল। উপকূলে প্রায় দুই শতাধিক মাছ ধরার নৌকা বা বোট রয়েছে। সেই হিসেবে মৎস্যজীবিদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ৬ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন । চাঁদা না দিলে কিংবা দেরি হলে নিষিদ্ধ সময়ে সাগর পাড়ে জাল মেরামত করার সময় ধরে নিয়ে আগুনে পুড়েছে এবং তাদের মামলা ও ইয়াবার ভয় দেখান তিনি।
এছাড়া ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে নিষিদ্ধ সময় মাছ ধরার সুযোগ দেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। ২০২১ সালের ৩ আগস্ট সাগরে বাঁশখালি উপকূলের জেলেদের সাথে আনোয়ারা উপকূলের জেলেদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বাঁশখালি কদম রসুল গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে নাছির নিহত হয়। গত ৫ আগস্ট এ ঘটনায় নিহত নাছিরের প্রতিবেশী হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০/৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার জিআর নং-৩/২৭১ তাং- ৫/৮/২০২১।’
অভিযোগে বলা হয়, এ মামলার তদন্তভার পায় এসআই নাছির উদ্দীন রাসেল। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে কোটি টাকার মিশনে নেমেছেন তিনি। এলাকার আর্থিক স্বচ্ছল ব্যাক্তিদের তার্গেট করে মামলায় অজ্ঞাতনামা আসিমদের মধ্যে নাম লিপি করার ভয় দেখিয়ে দেড়-দুই লক্ষ টাকা করে আদায় করেছে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে দুই জন। এছাড়া মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও পিতার নাম অজ্ঞাত আছে ৪ জন। এদের মধ্যে নামের মিল দেখে নিরীহ লোকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করছেন এসআই নছির।
জানা যায়, মামলার এজাহারে ৭ নং আসামি মো. ইছহাক, পিতা-অজ্ঞাত, সাং- গহিরা। এই নামের মিল দেখে গহিরা এলাকার নুর আলী মাঝির বাড়ির মৃত তোপায়েল আহমেদের ছেলে ৭০ বছরের নিরীহ মো. ইছহাককে আসামি করার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করা হয়েছে। আরও টাকা দাবী করলে তিনি অপারগ হয়ে বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, নুর আলী মাঝির বাড়ির মৃত তোপায়েল আহমেদের ছেলে মো. ইছহাক সাগরে যায়না, আনোয়ারায় তার কোন (কারবার) বা মাছ ধরার কাজ নেই, তাকে হয়রানি করা অন্যায়।
তারা বলেন, ঘটনা হয়েছে মাঝি-মাল্লাদের সাথে কিন্তু আসামি করা হয়েছে নৌকা বা বোটের মালিকদের, এটি তদন্ত করা প্রয়োজন।
জানতে চাইলে এসআই নাছির উদ্দীন রাসেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় তিনি বদলি হয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন তিনি।
এমএসএম / জামান

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার চেষ্টা

'মাছে ভাতে বাঙালি' প্রবাদটি বর্তমানে শুধুমাত্র বইপুস্তকেই সীমাবদ্ধ

তালায় বিএনপি'র ত্যাগী ও পরীক্ষিত এক যোদ্ধার নাম আব্দুর রকিব সরদার

অপরিকল্পিত সড়ক নির্মাণে জলাবদ্ধতায় শত একর জমি চাষের অনুপযোগী

পেকুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতা নিহত

বরিশালের বাকেরগঞ্জ নিয়ামতি ইউনিয়নে বিএনপি'র পথসভা অনুষ্ঠিত

মাদকমুক্ত টুঙ্গিপাড়া গড়বঃ নবাগত ওসি

ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা" তানোরে আমন খেতে সাতরা পোকার আক্রমণ

কুমিল্লার মহাসড়ক দখলমুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

ঈশ্বরদীতে মৎস্য পোনা অবমুক্ত করণ করা হয়েছে

লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় সভা

মাতাশমঞ্জিল মুক্ত খেলাঘরের উন্নয়নকল্পে ১ লক্ষ টাকা অনুদান দিলেন ছাত্রনেতা শামীম হোসেন
