ফুটবল উন্মাদনার দেশে ফুটবলের দুর্দশা দূর হবে কবে?

আবেগপ্রবণ জাতি হিসেবে পরিচিত আমাদের দেশের মানুষ ফুটবল কত ভালোবাসে তা বিশ্বকাপ চলাকালীন বিভিন্ন কর্মকাণ্ড থেকেই উপলব্ধি করা যায়। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের কৃষক শ্রেণী থেকে শুরু করে বর্তমান প্রজন্মের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। বিশ্বকাপ চলাকালীন অলিগলিতে পর্দা লাগিয়ে এলাকার সবাই একসঙ্গে দল বেঁধে খেলা দেখা, রিকশা, বিভিন্ন গাড়ি, বাড়ির ছাদসহ বিভিন্ন স্থানে পছন্দের দলের পতাকা টাঙানো, বিভিন্ন দলের সমর্থকদের মিছিল, পছন্দের খেলোয়াড়ের নামাঙ্কিত জার্সি পরা ইত্যাদি ফুটবলের প্রতি এ দেশের মানুষের আবেগের প্রকাশ।
বাংলাদেশে কখনই আসেনি লিওনেল মেসি,নেইমার বা ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তারপরেও বাংলাদেশে রয়েছে তাঁদের কোটি কোটি ভক্ত। কিশোর-তরুণসহ সব বয়সী মানুষের হৃদয় দখল করে রেখেছে ফুটবলের এই জাদুকরেরা। খেলায় জিতুক বা হারুক সেটি বিবেচ্য নয় । তাদের ভালো বা খারাপ যে কোনও খবরে নাড়া দেয় বাংলাদেশের ভক্তদের হৃদয়। তার একমাত্র কারণ ফুটবলে তাদের অসাধারণ নৈপুণ্যে তাদের প্রতি বাংলাদেশীদের আবেগী ভালবাসা। যে আবেগ, যে ভালোবাসা বাংলাদেশি ফুটবল টিমগুলোর প্রতি আমাদের নেই। প্রসঙ্গত বলতেই হয়,বাংলাদেশ থেকে হাজার মাইল দুরে লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা যাকে বাংলাদেশের মানুষ তাকে চিনতে শুরু করেন ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনার নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে। পরিচিত হয় ব্রাজিলের সাথেও। যার ধারাবাহিকতা ১৯৯০, ১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২, ২০০৬ সবশেষ ২০১৮ সাল। বিশ্বকাপ আসলেই বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনা শুরু হয়। বিশ্বকাপ মানেই বাড়ির ছাদে আর্জেন্টিনার নীল-সাদা অথবা হলুদ পতাকা। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মানেই আজের্ন্টিনা আর ব্রাজিল। তার দেশ থেকে হাজার মাইল দূরের কোটি কোটি ভক্ত উন্মাদনায় মেতে ওঠে। আবেগী বাংলাদেশের ভক্তরা আর্জেন্টিনার ব্রাজিলের জন্য জন্য হয়তো বিশ্বকাপ আসলেই উন্মদানায় মাতবেন।
বাংলাদেশের শিশু কিশোর থেকে যুবক বৃদ্ধ বেশিরভাগ মানুষই ফুটবল পছন্দ করে। সেটি বিশ্বকাপ হোক, ইউরো কাপ কিংবা কোপা আমেরিকা হোক, কোন কিছুতেই তাদের উন্মাদনার কমতি নেই। সব কাজ ফেলে, লেখাপড়া ছেড়ে, বিশ্রাম ছেড়ে, রাত জেগে খেলা দেখা ফুটবল প্রিয় দর্শকদের জন্য অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। টেলিভিশনের কল্যানে ইউরোপ আমেরিকার খেলা মানেই এদেশের মানুষের রাতের ঘুম শেষ। একবারও কি আমরা ভেবে দেখেছি এই উন্মাদনার পিছনে কারন কি ? একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে বাংলাদেশের মতো যেসব দেশের খেলোয়াড়দের বিশ্বকাপ, ইউরো, কোপা আমেরিকা কিংবা এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার কোনো সম্ভাবনা নেই সেসব দেশের সমর্থকদের মধ্যেই উন্মাদনা অনেক বেশী। শুধু উন্মাদনা নয় সমর্থকদের মধ্যে মারপিট হানাহানির ঘটনাও সচরাচর ঘটে। অথচ রাত জেগে আমরা নিজের দেশের খেলা দেখিনা। দেখিনা এশিয়া কাপের বাছাই পর্বের খেলা, এমনকি সাফ চ্যাম্পিয়ন এর খেলা দেখার সময় আমাদের হয়না। দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য যে, আমরা আমাদের জাতীয় ফুটবল দলের খেলা দেখার জন্যই আগ্রহই তৈরী করতে পারিনি। কিন্তু কেন পারিনি? এ দায় কার?এ ব্যর্থতা আসলে ফুটবল প্রিয় দর্শকদের নাকি ফুটবলের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের? আজ বিশ্ব ফুটবলের র্যাংকিংয়ের দিকে তাকালে দেখা যায় ২১০ টি দেশের মধ্যে আমাদের অবস্থান ১৮৪। যে দেশে ফুটবল খেলাটা জনপ্রিয়তার শীর্ষে সে দেশের বিশ্ব ফুটবলের অবস্থান হতাশার জন্ম দেয় বইকি! বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ১৯৭৬ সালে ফিফায়, ১৯৭৪ সালে এএফসি আর ১৯৯৭ সালে সাফ গেমসে অন্তর্ভূক্ত হয়। স্বাধীনতার পর আমাদের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি ২০০৩ সালে একবার সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছিলাম। বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় ১৯৯৬ সালে। ফিফা র্যাংকিং-এ ১১০তম স্থানে পৌঁছাতে পেরেছিলাম। অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক হলেও সত্য যে ২০১৮ সালে আমরা ১৯৭ তম স্থানে অবস্থান নিয়েছিলাম। বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিলো ১৯৭৩ সালে থাইল্যান্ডের সাথে, যার ফলাফল ছিলো ২-২। ১৯৮৫ সালে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশ সবেচেয়ে বড় জয় দেখতে পেয়েছিলো মালদ্বীপের সাথে, যা ছিলো ৮-০। সেই মালদ্বীপের বর্তমান ফিফা র্যাংকিং ১৫৮। যা আমাদের থেকে ২৬ ধাপ এগিয়ে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ফিফার বর্তমান র্যাংকিং১০৫ অথচ ৯৬-৯৭ সালে আমাদের কাছাকাছি ছিলো। ২০০৯ সালে যেখানে ছিলো ৯১ তম স্থানে সেখানে ২০২০ সালে এসে তা দাড়িয়েছে ১৪২ তম স্থানে। সত্যিই দুঃখজনক।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ক্রীড়া প্রেমের কথা সর্বজনবিদিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য সব রকমের সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। কিন্তু ফেডারেশনের কর্তাব্যক্তিরা কি তাঁর আবেগের মুল্যায়ন আওতটুকু করেছেন তা বাংলাদেশ ফুটবলের অবস্থা দেখলেই অনুমান করা যায়। ক্রীড়া পাগল প্রধানমন্ত্রী সুযোগ পেলেই মাঠে যান হোক সেটা ক্রিকেট কিংবা ফুটবল। স্বাধীনতার পর এদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ফুটবলার যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি রয়েছে তিনি কাজী মো সালাহউদ্দিন। যার হাত ধরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এগিয়ে যাচ্ছে। আসেলেই কি এগিয়ে যাচ্ছে? তিনি ২০০৩ সালের ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ সাল থেকে পরপর চারবার ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। একজন সংগঠক হিসেবে গর্ব করার ব্যাপার। আজ অবধি এটা একটা রেকর্ড। কিন্তু আমরাও তো ফুটবলের অধঃপতনের রেকর্ড দেখতে পাচ্ছি, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এর দায়দায়িত্ব তো বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের উপরই বর্তায়।এই অধঃপতনের জন্য কে দায়ী। একসময় আবাহনী-মোহমেডানের ম্যাচ দেখার জন্য ভোর থেকেই স্টেডিয়ামে ভীর জমে যেত, উন্মাদনা আর উত্তেজনা ঠাশা ছিলো সেই সব ম্যাচগুলোতে। ঢাকা লীগে খেলার জন্য বিশ্বের অনেক তারকা ফুটবলারদের ভীর লক্ষনীয় ছিলো। সেই দিনগুলো ছিলো বাংলাদেশের স্বর্ণ যুগ। আজ আমরা প্রতিবেশী ফুটবলের দূর্বল শক্তি ভূটানের কাছেও হেরে যাই, নেপালের কাছে হারি হরহামাশাই যাতে আমরা দর্শক হিসেবে ব্যথিত হই। সার্ক দেশগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছি। এভাবে অগ্রসর হতে থাকলে ২০০ স্থান পেরিয়ে যেতে সময় লাগবে না। ব্যর্থতার লাগাম টেনে ধরুন নতুবা বাংলাদেশের ফুটবল যে একটা খেলা তা ইতিহাসের পাতায় স্থান পাবে।
আজ অন্যের খেলা দেখে উৎসাহিত হই, চায়ের টেবিলে ঝড় তুলি, সেটাই আনন্দ, সেটাই ভালোবাসা। আজ ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইতালি, স্পেন কিংবা ইংল্যান্ডের অনেক খেলোয়াড়ের নাম জানি। তাদের রেকর্ড নিয়ে উত্তেজিত হই। শুধু দেশ হিসেবে কেনো স্পেনিশ, ইংলিশ, ফ্রান্স কিংবা জার্মান লীগ নিয়েও আমাদের ফুটবল প্রিয় দর্শকদের দারুন আগ্রহ। এখনকার জাতীয়দলে জামাল ভূইয়া ছাড়া কি এমন কোনো খেলোয়াড় আছে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলেরা আদর্শ হিসেবে নিতে পারবে? সেই স্বর্ণ যুগের কাজী সালাউদ্দিন, আসলাম, বাদল রায়, সাব্বির, কায়সার হামিদ, সালাম মুর্শেদী, মুন্নাসহ অনেক আইকন খেলোয়াড়ের নাম মুখস্ত বলে দিতে পারে সবাই। একজন কাজী সালাউদ্দিন কিংবা সালাম মুর্শেদীর মতো একজন খেলোয়াড় ও যদি তৈরী হতো গত এক দশকে তাতেও তৃপ্তি পেতাম একজন দর্শক হিসেবে। একসময় স্বপ্ন দেখতাম বাংলাদেশ বিশ্ব ফুটবলে রাজত্ব করবে। কারন স্বপ্ন দেখতে সহায়তা করেছিলো ঐতিহাসিক ডানা কাপ, গোথিয়া কাপ বিজয়। সব স্বপ্নেই গুড়েবালি। এখন আর স্বপ্ন দেখি নাই। কেউ নেই যে স্বপ্ন দেখাবে। সবাই পদপদবী নিয়ে ব্যস্ত ফেডারেশনে, দর্শকদের আবেগ থাকলেই কি আর না থাকলেই কি? ব্রাজিল পাঁচবার, জার্মানি চারবার কিংবা আর্জেন্টিনা দুই বার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো তাই নিয়ে আমরা কথায় আর সোস্যাল মিডিয়া যুদ্ধ চলিয়ে চাই সেখানেই আমাদের স্বাধীনতা।
বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ ফুটবলপ্রেমী হলেও অপ্রিয় হলেও সত্য, ফিফা র্যাংকিংয়ে নিজ দলের অবস্থান তলানিতে। অথচ র্যাংকিংয়ে একসময় বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে থাকা দেশ পানামা এবার বিশ্বকাপ খেলেছে। ১৯৯৩ সালে ফিফা র্যাংকিং চালু হওয়ার পর পরবর্তী তিন বছর বাংলাদেশ পানামা থেকে এগিয়ে ছিল। পরে পানামা র্যাংকিংয়ে এগিয়ে গেলেও কাছাকাছি অবস্থানেই ছিল। এর পর র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে যেতে থাকে। ২০১১ সালে কিছুটা উন্নতি হলেও এখন পর্যন্ত তলানিতেই রয়ে গেছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ আগামী এক যুগেও বিশ্বকাপ চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে । একসময়কার সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ বর্তমানে সাফের অন্যান্য ফুটবল খেলুড়ে দেশ থেকেও পিছিয়ে পড়েছে। দেশের ফুটবলের এই দূরবস্থার জন্য অনেকেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নীতিনির্ধারকদের দায়ী করেন। তাছাড়া বাফুফের মধ্যকার অন্তর্দ্বন্দ্বের খবর দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে আসছে। এছাড়া ক্লাবগুলোর অবকাঠামোগত সমস্যা, তৃণমূল থেকে ফুটবলার খুঁজে বের করার উদ্যোগ না নেয়া, ফুটবল শেখার কোনো একাডেমি না থাকা ইত্যাদি কারণে দেশে ফুটবল অনেকটাই নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বা ক্লাবগুলো, বিশেষ করে যারা পেশাদার লীগ চালায় বা যারা পেশাদার লীগ খেলে তারা এখন পর্যন্ত পেশাদার লীগের মূল বিষয়টিই মনে হয় বুঝতে পারেনি। পেশাদার ফুটবল কাঠামোর মানে হল ফুটবল একটা পণ্য। এ পণ্যটাকে কেনাবেচা করে লাভ-ক্ষতি বের করতে হবে। সবসময় পণ্যের মান ধরে রেখে পণ্যের গুণাগুণ সবার মাঝে প্রচার করতে হবে। পণ্যের সুবিধা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। পণ্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রেখে নিয়মিত উৎপাদন করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে এর মাধ্যমে লাভ বের করতে হবে। এজন্য সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ব্যবস্থা প্রয়োজন। যেখানে পেশাদার ফুটবল লীগ হয়, সেখানে যেভাবে এ পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়, বাংলাদেশে তা করতে সবাই ব্যর্থ হচ্ছে। এটা বুঝতে আমাদের আর কতদিন লাগবে? বিদেশি লীগগুলোতে দলগুলো সুন্দরভাবে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। সেজন্য তাদের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। কারণ তারা আন্তরিকতার মাধ্যমে এগুলো করে। তাছাড়া বিদেশে ফুটবল খেলা হয় টার্ফে। আমরা এখনও ফুটবল খেলছি সাবেকি ঘাসের মাঠে, যেখানে বৃষ্টি হলে মাঠে ফুটবলের গতি কমে যায়। ফুটবলের উন্নতি চাইলে এসব ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে।
নিজের দেশের পতাকা ছাড়া সারাদেশের আকাশে অন্য দেশের পতাকা শোভিত হবে এটাই তো ফুটবলের প্রতি আবেগ। ফেডারেশনের সৌন্দরয বৃদ্ধি কিংবা প্রতিবছর ফুটবলের জন্য বাজেট বৃদ্ধি না করে, আবেগী জাতি হিসেবে নিজের দেশের ফুটবল নিয়ে গর্ব করার পরিবেশ তৈরী করুন। ছেলেদের ফুটবলে অধঃনমনের সাথে মেয়েদের ফুটবলেও অধঃনমন অব্যাহত আছে। স্কুল, কলেজ ফাকি দিয়ে দীর্ঘসময় লাইনে দাড়িয়ে নিজের ক্লাবের প্রতি, দেশের প্রতি সমর্থন দেয়ার জন্য স্টেডিয়ামে হাজির হওয়া, আবেগ উচ্ছাসের কাছে সবকিছু পরাজিত হওয়া কি বর্তমান বাংলাদেশ ফুটবলের এই চিত্র দেখার জন্য? আমরা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা কিংবা জার্মানীকে সমর্থন দিবো কিন্তু নিজের দেশের চেয়ে বেশী না। সেই দিনগুলো ফিরিয়ে দিন, আমরা স্টেডিয়ামে যেতে চাই, ফুটবল খেলা দেখতে চাই। সব আবেগ, উচ্ছাস আর উত্তেজনা যেন থাকে নিজের দেশের জন্য। সেই দিনের অপেক্ষায় থাকলাম আমরা ফুটবল প্রিয় পুরো জাতি।
লেখকঃ শিক্ষক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
এমএসএম / এমএসএম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন
