ঢাকা শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

৫ জনের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে

অবসর আতঙ্কে পুলিশ


আব্দুল লতিফ রানা photo আব্দুল লতিফ রানা
প্রকাশিত: ২০-১০-২০২২ দুপুর ১:৪২

আরও পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সরকার বিরোধী নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পুলিশের এই পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৭তম ও ১৫তম ব্যাচের রয়েছে। তারা পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার বলে জানা গেছে। এই পুলিশ কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিন কোনো পোস্টিং এবং পদোন্নতিও হচ্ছে না। তারা বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও পুলি, ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত। তবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। 

গত বুধবার বাংলাদেশ পুলিশের তিনজন পুলিশ সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। তারা হলেন- পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ চৌধুরী ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পুলিশ সুপার মো. মির্জা আব্দুল্লাহেল বাকী এবং পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন মিঞা। এই তিন পুলিশ কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর পর সুবিধা বঞ্চিত পুলিশ কর্মকর্তাগণ একে অপরের সঙ্গে বিশেষ করে সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ অনেকটা হ্রাস করেছেন। আবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকদের ফোনে কথা বলতে এড়িয়ে যাচ্ছেন। এতে তাদের অধিনস্থ কর্মকর্তা ও সহকর্মীদের মাঝে নানা কানাঘুষা চলছে।

অপরদিকে দেশে সরকার বিরোধী সহিংস ঘটনা উসকে দেয়া ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের মাঝে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। কখন যেন তাদেরকেও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়, এমনি জল্পনাকল্পনা চলছে। আবার বাহিনীর মধ্যে গ্রুপিংয়ে জড়িতদের মাঝেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। 
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পুলিশের লোভনীয় জায়গায় পোস্টিং ও আশানুরূপ পদোন্নতি না পাওয়ায় বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন যেসব কর্মকর্তা, তাদের বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে। তাছাড়া সম্প্রতি সময়ে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের সহিংস ঘটনাগুলোকে উসকে দেওয়ায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। 

এরআগে গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ তিনজন এসপিকে অবসরে পাঠানোর ভিন্ন ভিন্ন প্রজ্ঞাপন জারি করে। জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (৫৭ নম্বর আইন)-এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’ ৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর হলে যেকোনো সময় সরকার জনস্বার্থে কারণ দর্শানো ছাড়া চাকরি থেকে অবসরে পাঠাতে পারবে। তবে এর জন্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিতে হবে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বুধবার গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তারা ঠিকমতো অফিস করেন না। কাজকর্মও করেন না। ফেসবুকে অপপ্রচার চালান। এসব অভিযোগ পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো হয়েছিল। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের আইনানুুযায়ী অবসরে পাঠানো হয়েছে।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে তাদের চাকরির পূর্ববর্তী রেকর্ড মিলিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। তাদের মধ্যে মির্জা আব্দুল্লাহেল বাকী বিসিএস ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি মেধাতালিকায় দ্বিতীয় হয়েছিলেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে তিনি পাবনা, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, টাঙ্গাইল ও গোপালগঞ্জে এসপির দায়িত্বে ছিলেন। আর মির্জা আব্দুল্লাহেল বাকী রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক বা পিপিএম (সেবা) পেয়েছেন। তবে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিনি আর কোনো পদোন্নতি পাননি। তার ব্যাচের কর্মকর্তারা এখন অতিরিক্ত আইজি ও ডিআইজি পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। 

এ ছাড়া, দেলোয়ার হোসেন মিঞা ও মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ চৌধুরী বিসিএস ১২তম ব্যাচের কর্মকর্তা। মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ চৌধুরী বিএনপির সময়ে জামালপুল ও মুন্সীগঞ্জ জেলার এসপি ছিলেন। তিনি পিপিএম পদকপ্রাপ্ত। আর দেলোয়ার হোসেন মিঞাও বিএনপির সময়ে একাধিক জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ছিলেন। এসপি পদের পর এ দুজনের আর কোনো পদোন্নতি হয়নি বলে জানা গেছে। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক সূত্র জানায়, আব্দুল্লাহেল বাকীর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। আর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ চৌধুরী ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি এবং দেলোয়ার হোসেন মিঞা ২০২৬ সালের ৪ জুন। সম্প্রতি এই কর্মকর্তাদের বিষয়ে দুটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে গোপন প্রতিবেদন দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা কয়েক দিন আগে দেশের বাইরে গিয়েছিলেন। গোপন ওই প্রতিবেদনের পরই তাদেরকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দীর্ঘদিন সরকার তাদের পদোন্নতি দিতে পারছে না বলে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হতে পারে।

উল্লেখ্য ওই তিন কর্মকর্তাদের মধ্যে মির্জা আব্দুল্লাহেল বাকী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমার জুনিয়ররাও প্রমোশন পেয়ে ওপরে উঠে গেছে। তাদেরকে আমার স্যার বলতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই অপমান সহ্য করতে হয়েছে। আর্থিক সামর্থ থাকলে ১০ বছর আগেই চাকরি ছেড়ে দিতাম’ বলে জানিয়েছেন তিনি।

এমএসএম / এমএসএম

রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল

পাপ্পীর কানাডা ও আমেরিকার ভিসা বাতিলের আবেদন

আপিল বিভাগের নিদের্শনা অমান্য করে জনবল নিয়োগ

ঘুষ কেলেংকারীতে ১৫ দিন খালি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের চেয়ার

ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এমডির বিচার চেয়ে ফের দুদকে আবেদন

উৎপাদন বেড়েছে, খরচ কমেছে, নতুন প্রকল্পে আশার আলো

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সকল সেক্টরে ইতিবাচক পরিবর্তন করবে : জননেতা অধ্যাপক মামুন মাহমুদ

কারা অধিদপ্তরে সক্রিয় বদলী বাণিজ্য সিন্ডিকেট, মূলহোতা রিয়াল

দুদকের ফাঁদে ফেঁসে গেলেন এম এ কাশেম

দরপত্র খোলার আগেই ২.৫ কোটি টাকার চুক্তিতে কাজ নিশ্চিত করলো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রুভেন বুল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক

বিআরটিএ-এর দালালি করে কয়েক কোটি টাকার মালিক

চট্টগ্রাম দিয়ে কখনই দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে চাইনি : রায়হান কবির

দেড় হাজার টাকা বেতনের সেই কর্মচারী এখন শতকোটি টাকার মালিক