ঢাকা সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

বশেমুরবিপ্রবিতে দুই শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে বহিষ্কারের অভিযোগ


বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি photo বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২২-১০-২০২২ বিকাল ৫:১৩

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) দুই শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে বহিষ্কারের অভিযোগ উঠেছে। বহিষ্কারকৃত আবদুল্লাহ মোল্লা এবং এম সাদিদ আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই শিক্ষার্থী দাবি করেন, তাদের ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাত মাস পর অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কার সংক্রান্ত নথিপত্রে দেখা যায়, আইন বিভাগের সভাপতি মানসুরা খানম সাক্ষরিত একটি চিঠি বিগত ২৯ আগস্ট পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর প্রেরণ করা হয়, যেখানে একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে দুই শিক্ষার্থীর খাতা বাতিলের সুপারিশ করা হয়। পরবর্তীতে ২০ সেপ্টেম্বর উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মিকাইল হোসেন সাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে শৃঙ্খলা বোর্ডের সিদ্ধান্তের আলোকে দুই শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়। 

এ বিষয়ে আইন বিভাগের সভাপতি মানসুরা খানম বলেন, ‘তাদের খাতাগুলো মূল্যায়ন করতে গিয়ে আমরা দেখতে পাই তাদের খাতাগুলোতে হুবহু মিল রয়েছে এবং এর প্রেক্ষিতে আমাদের মনে হয়েছে তারা পরীক্ষায় অনৈতিক উপায় অবলম্বন করেছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, তাদের সিট পাশাপাশি ছিল। পরবর্তীতে আমরা একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে তাদের খাতা বাতিলের সুপারিশ করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে চিঠি প্রদান করি এবং শৃঙ্খলা কমিটি তাদের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই দুই শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টার বহিষ্কার করে।’

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রতি ব্যক্তিগত আক্রোশ প্রয়োগের যে দাবি করা হচ্ছে এমন কোনো বিষয় এখানে ঘটেনি। মাস্টার্স দ্বিতীয় সেমিস্টারের ফলাফলের কিছুদিন পূর্বেই মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। সেখানে তাদের উভয়েরই ফলাফল রয়েছে। এই সেমিস্টারে তাদের খাতা বাতিল করা হয়েছে সুস্পষ্ট কারণের ভিত্তিতে। কারন আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করেই সার্টিফিকেট অর্জন করুক, পরীক্ষায় কোনোধরনের অনৈতিক উপায় অবলম্বন করে নয়।’

এ বিষয়ে সাক্ষরকারী উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মিকাইল হোসেনের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বহিষ্কার প্রসঙ্গে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম গোলাম হায়দার বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী উপাচার্য স্যারের সভাপতিত্বেে শৃঙ্খলা বোর্ডের মিটিংয়েই এই দুই শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে দুই সেমিস্টার বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তীতে আমি কাগজপত্র মিলিয়ে দেখি তারা মাস্টার্সের শেষ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। বিষয়টি নিয়ে আমি আইন অনুষদের ডিনের সাথে প্রথমে কথা বলি এবং পরবর্তীতে উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলে এক সেমিস্টারের বহিষ্কার নোটিশ দেই।’

সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনো শিক্ষক প্রভাবিত করেছিলো কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে এস.এম গোলাম হায়দার বলেন, ‘প্রভাবিত করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। মিটিংয়ের সভাপতি ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর স্যার। তাই এখানেতো কারও প্রভাব বিস্তারের সুযোগই নেই।’

প্রীতি / জামান

মাংসের খাটিয়ায় কুকুর, ছবি তুলতেই সাংবাদিককে হুমকি

ইবি'র ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

ঢাবির একাডেমিক কার্যক্রম ২ সপ্তাহ বন্ধ, হল ত্যাগের নির্দেশ

ভিকারুননিসায় রোববারের প্রথম-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত

ইবি'র ৪৭তম জন্মিদনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ

জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী অবন্তির ভাবনা

জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমনের ভাবনা

ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন

শেকৃবিতে নিয়োগে আওয়ামী পুনর্বাসন, এলাকাপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ

উত্তরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

জকসুতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করবে সাংবাদিক সম্পদ

দীর্ঘ তিন যুগ পর জাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল

জকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা