রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিদর্শকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয কমান্ডের অধীনে খুলনা জি শাখায় কর্মরত পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম রাহাতের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলা, স্টাফদের বিপদে ফেলে আর্থিক সুবিধা আদায়, কারণ-অকারণে অভিযোগ দেখিয়ে মেয়াদ পূর্ণ হওযার আগেই নিরীহ সিপাহীদের বদলি করানো, আর্থিক সুবিধা নিয়ে ট্রেনস্কট ও রূপসা ঘাটে ডিউটি বণ্টন করে ফায়দা গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিরাপত্তাবাহিনীর সিপাহীদের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের দেয়া অভিযোগে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, প্রায় দুই বছর আগে মনিরুল ইসলাম রাহাত নিরাপত্তা বাহিনীর খুলনা জি শাখায় পরিদর্শক পদে যোগদান করেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তিনি নানা অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েন। সিপাহীদের তিন শিপটে ২ জন করে ৬ জনকে জনপ্রতি মাসিক ৫ হাজার টাকা করে চুক্তিতে ৭নং রূপসা ঘাটে তৈল বহনকারী বিটিও গাড়ী লোডিং-আনলোডিং উিউটি দেওয়া হয়েছে। খুলনা রেল স্টেশনে তিন শিপটে ২ জন করে ৬ জনকে জনপ্রতি মাসিক ৫ হাজার টাকা চুক্তিতে ডিউটি করানো হচ্ছে। একইভাবে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী মালবাহী ট্রেনে ট্রেন স্কট ডিউটিও দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে ৩৭ সিপাহীকে নিয়মিত ট্রেন স্কট ডিউটি করতে হয়। নির্দিষ্ট হারে টিএ পাওয়ার আশায় স্বল্প বেতনের সিপাহীরা এই ডিউটি করতে বেশী আগ্রহী থাকে। সেই সুযোগে সিআই মনিরুল ইসলাম রাহাত তার পছন্দের ৩৭ জন সিপাহীকে জনপ্রতি মাসিক ৫ হাজার টাকা করে চুক্তিতে ডিউটি করার দায়িত্ব দিয়ে থাকেন। মাঝে মধ্যেই কোন না সিপাহীকে কারণে অকারণে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই বদলি করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে থাকেন।
যোগদানের পর থেকে অন্তত:৪০জনকে বিভিন্নস্থানে বদলী করা হয়েছে । সব মিলিয়ে শুধু অনিয়ম করে ৭ নং রুপসা ঘাট,খুলনা রেল স্টেশন ও ট্রেন স্কট ডিউটি বন্টনের মাধ্যমে সিআই মনিরুল ইসলাম অবৈধভাবে প্রতিমাসে প্রায় ২ লাখ টাকা আয় করে যাচ্ছেন। এসব অনিয়মের বিষয়ে ভুক্তভোগী সিপাহীরা পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চীফ কমান্ডেন্টের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সকল অভিযোগের বিষয় নিরাপত্তাবাহিনীর পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম রাহাত অস্বীকার করে অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন।
এমএসএম / জামান