কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ১০ লাখ টাকা আত্মসাত

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে এক কর্মচারী ১০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে। ভুয়া ট্রেড লাইন্সেস বানিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোমবার ডবলমরিং থানা পুলিশ রঞ্জিত দাশ নামের এক দোকানের কর্মচারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানায়, গ্রামের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার দক্ষিণ মোহাম্মদপুর এলাকার হরিপদ দাশের পুত্র রঞ্জিত দাশ (৫০), নগরীর দেয়ানহাট এলাকায় এফ.টি ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি মোটরপার্টসের দোকানে চাকরী নেয়। গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বাস্থতার সাথে কমিশন ভিত্তিক কাজ করায় দোকানের মালিকদেও মন জয় করতে সক্ষম হন। উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি আব্দুর রহিম ও মোহাম্মদ ফারুক নামের দুই ব্যবসায়ী যৌথ মালিকানায় পরিচালনা করে আসছে। দোকানের কর্মচারী রঞ্চিত দাশ ব্যবাস প্রতিষ্ঠানের মালিক সাজিয়ে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি এফ.টি ইঞ্জিনিয়ারিং এর মালিক সেজে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। ঈদগাহ বউবাজার ঠিকানা দেখিয়ে প্রতারনা করে ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে প্রতিষ্ঠানের নামে ইউনিয়ন ব্যাংক ঈদগাহ বউ বাজার শাখায় একটি হিসাব খুলে। এতে কেডিএস গ্রুপ, বিএসআরএম, আরমিট গ্রুপ, টি.কে গ্রুপসহ নামকরা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের দেয়া বড় অংকের চেকগুলো দোকানের কর্মচারী রঞ্চিত দাশ সংগ্রহ করে তার ব্যক্তিগতএকাউন্টে নগদায়ন করে আসছে। এরমধ্যে গত ৭ অক্টোবর মোটা অংকের কয়েকটি চেক জমা না হওয়ার বিষয়টি খোঁজ নিলে ইউনিয়ন ব্যাংক ঈদগাহ বউ বাজার শাখায় প্রায় ১০ লাখ টাকা নগদায়ন হওয়ার তথ্য দেন। এ সূত্র ধরে ব্যাংকে যোগাযোগ করা হলে ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়েন। এ ঘটনায় নগরীর গত রবিবার নগরীর ডবল মুরিং মডেল থানায় দোকানের মালিক মোহাম্মদ রহিম উদ্দীন বাদী হয়ে দোকানের কর্মচারী রঞ্জিত দাশসহ কয়েকজন সহযোগির বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ গ্রেফতার গতকাল সোমবার আদালতে প্রেরণ করলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার বাদী রহিম উদ্দীন জানান, সিটি কর্পোরশেন কিভাবে কোন ধরণের তদন্ত ছাড়া কাগজ পত্র না দেখে দোকানের কর্মচারীর নামে লাইসেন্স দিল, রঞ্জিতের অপরাধের সাথে সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স শাখার লোকজন সরসারি জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
সিটি কর্পোরশেন লাইসেন্সের দায়িত্ব থাকা পরিদর্শক জিএম কামাল উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মানুষকে সেবা দিতে গিয়ে সব কিছু দেখে দেখে তদন্ত করা সম্ভব না। টাকার বিনিময়ে কাগজ পত্র না দেখে লাইসেন্স দিয়ো হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেনি। সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স বাতিলের জন্য কেউ অভিযোগ করলে সাথে সাথে বাতিল হয়ে যাবে। কর কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলমের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার পর থেকে মোবাইল বন্ধ, অফিসেও আসেনি বলে খবর পাওয়া গেছে।
রঞ্জিত দাশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে বলে ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আজিজুল হক জানান, সিটি কর্পোরেশনের দেয়া ট্রেড লাইসেন্স স্বাক্ষর রয়েছে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। কর কর্মকর্তা মো. শাহ আলম, লাইসেন্স পরিদর্শক জিএম কামাল উদ্দীন তারাও জড়িত সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে অপরাধে সহযোগিতা করে আসছে। টাকার বিনিময়ে সিটি কর্পোরেশনে শক্তিশালী একটি প্রতারক সিন্ডিকেট রয়েছে তারা ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স বাণিজ্যর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত।
এমএসএম / এমএসএম

শীর্ষ মানবপাচার চক্রের মূল হোতা আটক

বাকেরগঞ্জে কোটি টাকার সেতু কাজে আসছে না, উঠতে হয় মই দিয়ে!

মা ইলিশ রক্ষায় মেঘনা নদীতে অভিযান, ১০ জেলে গ্রেফতার

নালিতাবাড়ীতে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

তালাবদ্ধ দোকানঘর থেকে এক নারীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার; পলাতক স্বামী

মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ১১ জেলে আটক, ৮ জনের কারাদণ্ড

পটুয়াখালীতে ৫২তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনি ও পুরস্কার বিতরণ

চট্টগ্রামে রাস্তায় ৫০ হাজার অনিবন্ধিত সিএনজি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কসবায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ
