কুবিতে তিন ক্লাসেই সেমিস্টার শেষ

মাত্র তিনটি অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে একটি সেমিস্টারের ক্লাস শেষ করে ফাইনাল পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সাদিয়া তাবাসসুম। ক্লাস না নিয়ে সেমিস্টার শেষ করায় বিভাগের বেশ কয়েকটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করলে তাদের হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
বিভাগটির বেশ কয়েকটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিভাগটিতে ১০ম ব্যাচের স্নাতোকোত্তরের ‘ইন্টারন্যাশানাল অরগানাইজেশান’ নামের একটি কোর্সে মোট তিনটি অনলাইন ক্লাস নিয়েছেন তিনি। ঐ তিনটি ক্লাসের সর্বোচ্চ সময়কাল ছিল ৪০ মিনিট। এছাড়া এর নিচের ব্যাচগুলোতেও অর্ধেকেরও কম সংখ্যক ক্লাস নেয়া, ক্লাসে হুমকি দেয়াসহ নানা অভিযোগ জানায় ঐসব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। নাম প্ৰকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, তিনটা অনলাইন ক্লাস নিয়ে কোর্স শেষ করে দিয়েছেন তিনি। অথচ আমরা এখান থেকে কিছুই শিখতে পারলাম না। যা আমাদের পরবর্তী জীবনের জন্য হুমকি।
আরও জানা যায়, এই ধরনের অভিযোগের কারনে এই বিভাগের ১১তম ব্যাচ প্রভাষক সাদিয়া তাবাসসুমের বদলে অন্য শিক্ষককে কোর্স দেয়ার আবেদন করলে ঐ শিক্ষককে পরিবর্তন করা হয়। তবে অন্যান্য কিছু ব্যাচও একই সমস্যার কারনে অভিযুক্ত ঐ শিক্ষককে পরিবর্তন করার কথা বললে তা আর আমলে নেননি বলে জানান শিক্ষার্থীরা। এই বিষয়ে বিভাগের দায়িত্বশীলরা চিন্তিত নন বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাসে পড়ানোর চেয়ে হুমকি দিতে ব্যস্ত থাকেন তিনি। তার হাত নাকি অনেক লম্বা বলে হুমকি দেন তিনি। এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সাদিয়া তাবাসসুম বলেন, আসলে ঐ সময় আমি প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতির কারনে মানসিকভাবে বেশ ট্রমায় ছিলাম। তাই কিছুদিন ক্লাস নেয়া বা ফোন ধরে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলাম না।
অন্য কোনো শিক্ষককে দিয়ে ঐ কোর্সটি নেয়া হয়নি কেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঐ সময় করোনার কারনে কিছু অনলাইন ক্লাস হচ্ছিল। আর বাকি শিক্ষকদেরও ওয়ার্কলোড অনেক বেশি ছিল। আমার কোর্সটা কেউ নিবে এমন পাওয়া যায়নি।
শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এই শিক্ষার্থীদের সাথে আমার বয়সের ব্যবধান বেশি না। আর তাদেরকে আমি হুমকি কেন দিব। শিক্ষকতা করতে এসেছি, হুমকি দিতে আসিনি। তারা হয়তো কোনো কথা বুঝতে ভুল করেছে।
এই বিষয়ে বিভাগটির চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি গত ফেব্রুয়ারী-মার্চের ঘটনা। তখন একাডেমিক মিটিংয়ে বসে বিষয়টি মিটমাট হয়েছে।
মিটমাটের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ম্যামের সাথে কথা বলেছি। উনি বলেছেন এমনটি আর হবে না। শিক্ষার্থীরাও সেটা মেনে নিয়েছিল। কিন্তু এখন কেন আবার এটা নিয়ে কথা হচ্ছে বুঝতেছি না।এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আইন ও নীতিমালা রয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষকের তা মেনে চলা উচিত। আমরা বিষটা খতিয়ে দেখবো এবং যদি দেখি এর কোন ব্যত্যয় ঘটিয়েছে এবং এর কারনে ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে তাহলে এর যথাযোগ্য ব্যাবস্থা নিবো। আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটা শিক্ষক যেন তার দ্বায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকে।
এমএসএম / এমএসএম

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

গঠনতন্ত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংযোজন করে ইকসু'র দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টার পুনঃনিয়োগ

পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির নতুন সভাপতি রউফ, সম্পাদক তন্নি
Link Copied