ফরিদপুরে পিতাকে নির্যাতন করে আত্মসাৎ দেড় কোটি টাকা

ফরিদপুরে পিতা আব্দুর রব শেখকে শারিরীক নির্যাতন করে এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে ছোট ছেলে শরিফুল ইসলাম রাকিব। বাড়ি বানানোর দায়িত্ব নিয়ে সেইসব টাকা বাবা-মাকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে নেয় সে। কিন্তু বাড়ি না বানিয়ে হিসাবও দিতে চাইছে না, টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করছে। টাকা ফেরতের কথা বললেই পিতাকে শারিরীক নির্যাতন করছেন শরিফুল ইসলাম রাকিব। একই সাথে রাকিবের মানকি নির্যাতনের কারণে তার স্ত্রীর মৃত্যুও হয়েছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী পিতা। এ বিষয়ে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়রিও করেছেন পিতা আব্দুর রব শেখ।
সাধারণ ডায়রিতে আব্দুর রব শেখ জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা (মামলা নং - ৯২৭/২২) দায়ের করলে জামিনে মুক্ত হয়েই বিবাদী শরিফুল ইসলাম রাকিব নিয়মিত তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। নানারকম ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা তুলে নিতে বলছেন। মামলা তুলে না নিলে পরিবারের সব সদস্যদের সমস্যা হবে বলে বিভিন্নজনের কাছে বলে বেড়াচ্ছেন।
অভিযোগে রব শেখ বলেন, রাকিব আমার তৃতীয় সন্তান। সে আমাকে হুমকি দিয়ে বলছে যে, মায়ের যেভাবে মৃত্যু হয়েছে, সেভাবে আমারও মৃত্যু হবে। রব শেখ জানান, আমার স্ত্রীর মৃত্যুর আগে বিবাদী তার মায়ের সাথে নিয়মিত অসৌজন্যমূলক আচরণ, ঝগড়াসহ মানসিক নির্যাতন করতেন। প্রাণনাশের আশঙ্কার কথা জানিয়ে আব্দুর রব শেখ জানান, বিবাদী যেকোনো সময় আমি এবং আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য হুমকি এবং বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারেন।
প্রতিবেদকের সাথে কথা হলে আব্দুর রব শেখ বলেন, বাড়ি তৈরির জন্য জমানো টাকা এবং অন্যান্য সঞ্চয় মিলিয়ে মোট ১ কোটি ৪৫ টাকাকে কেন্দ্র করে ঘটনার শুরু। পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে বাড়ি তৈরি করতে চাইলে বিশ্বাস করে প্রথমে ১ কোটি ৩০ লাখ এবং পরে আরো প্রায় ১৫ লাখ টাকা ছোট ছেলে শরিফুল ইসলাম রাকিবের হাতে তুলে দেন পিতা-মাতা। দীর্ঘদিন পার হয়ে গেলে বাড়ি বানানো শুরু না করলে, সেই টাকা তারা ফেরত চান। টাকা ফেরত না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন রাকিব। পরে টাকা দেয়ার কোন প্রমাণ নাই বলে সাফ জানিয়ে দিয়ে আমাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করে। এরপর থেকেই পারিবারিক শান্তি অনবরত বিঘ্নিত হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আমাদের বাধ্য হয়ে আইনের আশ্্রয় নিতে হয়েছে।
এ বিষয়ে বিবাদী শরিফুল ইসলাম রাকিবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আসা সব অভিযোগ মিথ্যা। আমার নামে আমার বাবা আদালতে মামলা দিয়েছেন, সেই মামলা আমি আদালতেই মোকাবিলা করবো। একই সাথে তিনি বলেন, আমার সাথেও দীর্ঘদিন অন্যায় এবং অবিচার করা হয়েছে।
এর আগে পারিবারিক এসব বিষয় নিয়ে বসা গ্রাম সালিশের প্রধান আব্দুর রহমানের সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি বলেন, পারিবারিক সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে দিয়েছিলাম। সালিশ মেনে নিয়ে তাতে স্বাক্ষরও দিয়েছিলো শরিফুল ইসলাম রাকিব। কিন্তু মৌখিকভাবে সালিশ মানলেও তিনি সালিশের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেননি। এখন পিতা ও পুত্রের এ সমস্যা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আমরাও এই পরিবারের সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান চাই।
এমএসএম / এমএসএম

বিআরটিএ-এর দালালি করে কয়েক কোটি টাকার মালিক

চট্টগ্রাম দিয়ে কখনই দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে চাইনি : রায়হান কবির

দেড় হাজার টাকা বেতনের সেই কর্মচারী এখন শতকোটি টাকার মালিক

ক্রীড়া পরিদপ্তরে ভয়াবহ লুটপাট

ভিন্ন মতের শিকার: জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যানের দীর্ঘ প্রশাসনিক দুর্ভোগ

রেলের “র” এর ষড়যন্তকারীরা আবারো সক্রিয়

ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত

দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বিআরটিএ’র ৪ কর্মকর্তার সাজা মওকুফে তৎপরতা

নির্বাচন সামনে রেখে সীমান্তে বেড়েছে অবৈধ অস্ত্রের চালান

ক্রীড়া পরিদপ্তরে ভয়াবহ লুটপাট!

৯২৬ টন পণ্যের হদিস নেই কাস্টমসে

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিমের পাহাড় সমান দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে না কেন?
