মাদারীপুরে পুলিশের ওপর বোমা হামলার ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান কারাগারে

মাদারীপুরের কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে ওসি শামীম হোসেনসহ তিন পুলিশের ওপর হামলা ঘটনায় আলীনগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ওরফে মিলনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে হাজিফুর রহমানকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। এর আগে সোমবার ভোরে রাজধানী ঢাকার উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরে সাবেক চেয়ারম্যানের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২০ নভেম্বর কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ফাঁসিয়াতলা এলাকায় খোকন মোল্লার ছেলে রেজাউল মোল্লার ইজিবাইকের ওপর বোমা বিস্ফোরণ করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা। এই ঘটনার সূত্র ধরে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সাহিদ পারভেজের সমর্থকদের সঙ্গে হাফিজুরের সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও একাধিক হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামীন হোসেনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের দুই উপপরিদর্শক বাদী হয়ে সাবেক ও বর্তমান দুই চেয়ারম্যানসহ দুপক্ষের ৮৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় দুদিন পরে ২৩ নভেম্বর খোকন মোল্লা বাদী হয়ে সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ৩৪ জনের নামে বিস্ফোরক ও ইজিবাইক ভাঙচুরের আরও একটি মামলা করেন। পুলিশের করা দুটি মামলাসহ পৃথক তিনটি মামলায় আসামি সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান। তবে, পুলিশের দুটি মামলায় হাফিজুর রহমান উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও খোকন মোল্লার করা মামলায় হাফিজুরকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এ ঘটনায় ২২ নভেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘সাবেক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আসামি’ শিরনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
গ্রেপ্তারের আগে সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এলাকায় যখন হামলা ভাঙচুর হয় তখন আমি এলাকায় ছিলাম না। তবুও পুলিশের দুটি মামলাসহ তিনটি মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যান সাহিদ পুলিশকে প্রভাবিত করে আমাকে হয়রানি করে চলেছে। পুলিশ আমাকে বারবার ধরলেও সাহিদকে একবারো গ্রেপ্তার করছে না। আমি বারবার রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হচ্ছি। এর আগেও সাহিদ আমার ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি কোন সুষ্ঠু বিচার পাই না।’
জানতে চাইলে কালকিনি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মারগুব তৌহিদ বলেন, পুলিশের ওপর বোমা হামলার ঘটনাসহ হাফিজুরের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়। মামলা হওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি পুলিশের করা দুটি মামলায় হাফিজুর রহমান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। তবে বিস্ফোরক ও ভাঙচুরের আরও একটি মামলা তিনি প্রধান আসামি ছিলেন। এই মামলায় তিনি জামিন পান নাই। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের ওপর বোমা হামলাসহ তিনটি মামলায় আরও যারা আসামি আছেন তাদের সবাইকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’
প্রীতি / প্রীতি

ঠাকুরগাওয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের মানোন্নয়নে ইন্টারফেইজ সভা

শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে কিন্তু তার পেতাত্মারা রয়ে গেছেঃ আলতাফ হোসেন চৌধুরী

১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে যুবদল নেতাদের হামলা, দু’জন গুলিবিদ্ধ

টেকসই জ্বালানি ভবিষ্যতের জন্য এখনই পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনে বানচাল করার জন্য পিআরের দাবীতে অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে : ফরহাদ হোসেন আজাদ

দূর্গম দুই গ্রামবাসী পেল বিশুদ্ধ পানি

জয়পুরহাটে স্বচ্ছতার নজির স্থাপন করলেন পুলিশ সুপার: ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলো ১৩ জন

মানিকগঞ্জে মাকে হত্যার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে: ছেলে পলাতক

বালাগঞ্জে বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের নতুন কমিটি গঠন

কেসিসির ৭১৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষনা

নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ইসলামী আন্দোলনের

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ডাকাতলের গুলিতে ৩ পুলিশ সদস্য আহত, যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান শুরু
