ঢাকা মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫

৭০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে


আব্দুর রব সুজন photo আব্দুর রব সুজন
প্রকাশিত: ২২-১২-২০২২ দুপুর ৪:১৮

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের অনুমতিপত্র প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দুটি শর্তে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) পক্ষ থেকে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য আবেদন করা হলে মন্ত্রণালয় তা অনুমোদন দেয়। শিক্ষক নিয়োগের এই গণবিজ্ঞপ্তি যেকোনো সময় প্রকাশিত হবে। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্কুল-কলেজে নেবে ৩২ হাজার ৫০০ জন, মাদ্রাসায় ৩৬ হাজার ৫৬২ এবং কারিগরিতে ১ হাজার ১০২টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় একসঙ্গে এর আগে এত বেশি শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি।

* স্কুল-কলেজে ৩২ হাজার ৫০০ জন
* মাদ্রাসায় ৩৬ হাজার ৫৬২ জন
* কারিগরিতে ১ হাজার ১০২ জন

মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি মাধ্যমিক-৩ শাখার উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান বিজ্ঞপ্তিতে সই করেন। মঙ্গলবার চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুমতিপত্র স্বাক্ষর করা হলেও এটি বুধবার প্রকাশ করা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা  হয়েছে, উপযুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে এনটিআরসিএ থেকে প্রেরিত শূন্য পদসমূহে নিয়োগ সুপারিশের জন্য ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি নির্দেশক্রমে নিম্নলিখিত শর্তে প্রকাশের সম্মতি প্রদান করা হলো।

নিয়োগ সুপারিশের বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত যেসব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের বিপরীতে কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী নেই সেসব পদে পরবর্তীতে/ ভবিষ্যতে নিয়োগ সুপারিশ প্রদান করা যাবে না মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় শর্ত আরোপ করতে হবে।

বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক যাচাইকৃত বিষয়ভিত্তিক শূন্য পদসমূহের বিপরীতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগামী ২ (দুই) সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করতে হবে। একইসঙ্গে ব্যানবেইস এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডসমূহ থেকেও এ সকল তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই করতে হবে।

এনটিআরসিএ সূত্র জানায়, এনটিআরসিএ বেসরকারি ও কারিগরি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা থেকে শূন্য পদের তালিকা আহ্বান করেছিল। কাজটি করা হয়েছিল অনলাইনের মাধ্যমে। অনলাইন থেকে পাওয়া সেসব শূন্য পদের তালিকা তারা পাওয়ার পর ওই তালিকা ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করতে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করা হয়। নানা জটিলতার কারণে এতদিন অনুমতি দেওয়া হয়নি। অবশেষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুমতি দেওয়া হলো মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শূন্য পদের তালিকা যাচাই করার কাজ করে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের শূন্য পদের তালিকা যাচাই-বাছাই করে।

এনটিআরসিএতে শিক্ষক নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাথমিকভাবে শূন্য পদের যে তালিকা পান, তাতে বেশ কিছু ভুল থাকে। যেমন কোনো প্রতিষ্ঠানে বাংলা বিষয়ের শিক্ষক দরকার নেই অথচ বাংলার শিক্ষক চাওয়া হয়েছে। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানে তিনজন শিক্ষক দরকার, তারা পাঁচজন শিক্ষক চেয়ে আবেদন করেছে। আবার পদ খালি নেই, এমন প্রতিষ্ঠান শিক্ষক চেয়েছে। এসব বিষয় এলে এনটিআরসিএ তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে হিমশিম খায়। আবার অনলাইনেও অনেকে তথ্য পূরণে ভুল করে। এ জন্য নিজ নিজ অধিদপ্তরকে প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যগুলো যাচাই করতে বলা হয়েছিল।

মাদ্রাসা অধিদপ্তরের শূন্য পদের তালিকার বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ শামসুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘এনটিআরসিএ আমাদের ৩৭ হাজার ৬৬৪ জন শিক্ষকের নিয়োগের তথ্য পাঠিয়েছিল। যাচাইয়ের পর তথ্যে মিল না থাকা বা অন্যান্য কারণে ১ হাজার ১০২ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়। নিয়োগের জন্য ৩৬ হাজার ৫৬২ জনের নামের তালিকা পাঠানো হয়।’

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১ হাজার পদের তালিকা তারা পেয়েছিল, এর মধ্যে প্রায় ১ হাজার পদ নির্দিষ্ট করে এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়েছিল। সব মিলে ৭০ হাজার ৯৫টি শূন্যপদ পাওয়া যায়।

ফি কমছে অনলাইন আবেদনে: এনটিআরসিএর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আবেদন করার ক্ষেত্রে দুই দফায় টাকা নেওয়া হয়। একটি হচ্ছে সনদ পাওয়ার জন্য। এ জন্য আবেদনের শুরুতে ৩৫০ টাকা নেওয়া হয়। আরেকটি হচ্ছে পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে সনদ পাওয়ার পর পছন্দের প্রতিষ্ঠানে আবেদন করার সময়। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদনের জন্য ১০০ টাকা করে ফি নেওয়া হতো। চাকরিপ্রার্থী যত ইচ্ছা তত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারতেন। কেউ ৫০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলে তাকে দিতে হতো ৫ হাজার টাকা। তবে এবার এনটিআরসিএ সনদ পাওয়ার পর চাকরিপ্রার্থীদের পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদনের নিয়মে কিছুটা বদলের সুপারিশ করা হয়। সে অনুযায়ী এবার একজন প্রার্থী সনদ পাওয়ার পর সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। আগের নিয়মে এ জন্য তার খরচ হওয়ার কথা ছিল ৪ হাজার টাকা। কিন্তু তা কমিয়ে ১ হাজার টাকা করতে প্রস্তাব করা হয়েছে। আবেদনের নিচে লেখা থাকবে ‘পছন্দের ৪০টি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ না পেলে মেধার ভিত্তিতে যদি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পান, তাহলে যোগ দেবেন কি না?’ সেখানে প্রার্থী ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বাছাই করতে পারবেন।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএ নিয়োগ শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, চাকরিপ্রার্থীদের খরচ কমাতে এবারই প্রথম অনলাইনে প্রার্থীরা পছন্দের ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করার সুযোগ পাচ্ছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে সুযোগ না পেলে অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ রাখা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই এসব নিয়ম কার্যকর করা যাবে।

নতুন এই সিদ্ধন্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এনটিআরসিএর সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরাম।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ দেয় এনটিআরসিএ। সর্বশেষ গত বছরের ৩০ মার্চ এনটিআরসিএ ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদের জন্য তৃতীয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। সে অনুযায়ী এবার চতুর্থ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ।

সুজন / সুজন

বুটেক্সে 'জুলাই আন্দোলন ও মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি স্মরণে' আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে বাকৃবিতে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালিত

জবিতে সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের বাদ দিয়েই তৈরি হচ্ছে জুলাই ডকুমেন্টারি

পবিপ্রবির নতুন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক, অধ্যাপক ড. সুজাহাঙ্গীর

শতবাগ আবাসন নিশ্চিত, খাবার মানউন্নয়নসহ ৯ দফা দাবিতে চবি শিক্ষার্থীর একক প্রতিবাদ কর্মসূচি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অবদানের স্বীকৃতি, সম্মাননা পেল পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি

সিদ্ধিরগঞ্জে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি

ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের ভিসেরা রিপোর্ট মতে মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধ করে

চবিতে ছাত্রদলের মিছিলের সম্মুখসারীতে জুলাইয়ে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়

চবিতে ‘বিপ্লবী ছাত্র ঐক্য’-র যাত্রা শুরু,আহ্বায়ক তাহসান, সদস্য সচিব তানিম।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় উপ-কমিটি গঠন করল ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

১২ দিন পর আজ খুলছে মাইলস্টোন কলেজ, শুরুতেই নেই একাডেমিক কার্যক্রম

চাকসুর গঠনতন্ত্রে যোগ হলো এমফিল-পিএইচডি শিক্ষার্থী: পূর্ব সিদ্ধান্ত বদলে বিতর্কে প্রশাসন