চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় গর্ভবতী গাভীর মৃত্যুর অভিযোগ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার হুজরাপুরে জেলাপরিষদের পাশে ভুল চিকিৎসায় একটি গাভীর মৃত্যু অভিযোগ উঠেছে।সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: আবুরেজা তলুকদার এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী মোঃ রেন্টু।রেন্টু সাংবাদিকে জানান তাঁর গাভীটি ছিলো ৬ মাসের গর্ভবতী হঠাৎ পায়ে ব্যাথা অনুভব করছে বলে চিকিৎসার জন্য গাভিটিকে নিয়ে যায় সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: আবুরেজা তলুকদার এর কাছে । তিনি চিকিৎসা করে ওষুধ লিখে দেন। এবং তাৎক্ষিনিক গরুকে ইনজেকশন পুশ করেন। ঐ ইনজেকশন নেওয়ার ও ঔষুধগুলো খাওয়ার পর থেকে গাভীর অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে । ভূক্তভোগী রেন্টু জানান পুনরায় তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করা হলে অসজোন্যমূলক আচরণ করেন।জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান কে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি ভূক্তভোগীর বাড়িতে গাভীটি চিকিৎসার জন্য কয়েকজন গরুর ডাক্তার কে পাঠান। তারা বলেন ক্ষতি যা হওয়ায় হয়েগেছে। গরু ফিরে পাওয়া অনিশ্চিত। তবে সেলাইন দিয়ে যাচ্ছি যদি শক্তি পায় তাহলে উঠে দাঁড়াবে। ভূক্তভোগী রেন্টু সাংবাদিকে জানান ঔষুধের গায়ে ও নির্দেশিকাতে স্পষ্ট লিখা আছে গর্ভবর্তী অবস্থায় প্রোযোজ্য নহে তার পরে সে জেনে কোম্পানির কাছে টাকা খেয়ে এই ঔষুধ লিখেছেন এমনটাই অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: মোস্তাফিজুর রহমান কে মোবাইলে জানিয়েছেন এবং তার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।ভূক্তভোগী জানা গর্ভবতী গাভীটির আনুমানিক মূল্য আড়াই লক্ষ টাকা। আমাদের প্রতিনিধি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।তবে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা গাভীটি মারা গেছে এবিষয়টি জানেন বলে প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেন।ভূক্তভোগী রেন্টু এর স্ত্রী বলেন করোনাকালীন সময়ে আয় রোজগার না কমে গেছে এদিকে আড়াই লক্ষটাকার তিলে তিলে বড় হওয়া গাভীটি মারা যাওয়ায় আমার স্বামী মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন।রেন্টু এর স্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবী করেন। ভূক্তভোগীর ছেলে জানান শুক্রবার অফিস বন্ধথাকায় জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানানো সম্ভব হয়নি মোবাইল ফোনে জানিয়েছি এবং তার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করার কথা উলেখ করেন।অফিস খুললে লিখিত দেওয়ার কথা উলেখ করেন তিনি। স্থানীয়রা জানান সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: আবুরেজা তলুকদার এর বিরুদ্ধে এধরনের আরো অভিযোগ রয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম