দীর্ঘ দিনেও সংস্কার হয়নি মান্দার আঞ্চলিক সড়ক ভোগান্তি বেড়েছে পথচারীদের

দীর্ঘ দিনেও সংস্কার হয়নি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ফেরিঘাট থেকে পাজরভাঙ্গা আঞ্চলিক সড়ক।কার্পেটিং উঠে গিয়ে হালচাষের জমিতে পরিণত হয়েছে।হাজারো খানাখন্দকে ভরপুর।চলতে পারে না গাড়িঘোড়া।ভোগান্তিতে নাজেহাল এলাকার মানুষ ও পথচারিরা।যার কারণে হাজার হাজার পথচারী বিকপ্ল রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। দীর্ঘদিনের ভোগান্তিতে হাঁপিয়ে উঠেছে ওই সব এলাকার মানুষজন পথচারীরা।রাস্তার বেহাল দশা, বেড়েছে ভোগান্তি।প্রায় অর্ধযুগ ধরে এসব রাস্তার পিচ উঠে হাল চাষের জমিতে পরিণত হয়েছে। যেন দেখার কেউ যদি।
সরেজমিনে উপজেলার ফেরিঘাট থেকে শুরু হয়ে পাঁজরভাঙ্গা বাজার পর্যন্ত এই রাস্তাটি বেহালদশায় পরিণত হতে দেখাগেছে। পুরো রাস্তাটি ভেঙে তৈরি হয়েছে ছোট বড় গর্ত। আবার কোথাও কোথাও রাস্তা ভেঙে সরু হয়ে গেছে।যার ফলে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। পাঁজরভাঙ্গা বাজারের এই রাস্তাটি প্রায় টেরিঘাট থেকে পাজরভাঙ্গা ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ হওয়ায় কয়েক কিলো টেন্ডারের মাধ্যমে সংস্কার করা হলেও বেশি ভাগ অংশ সংস্কার হয় না। যার কারণে একাংশ ভালো হলেও বাঁকি অংশ সংস্কারের অভাবে ভোগান্তি লাঘব না।
বিশেষ করে বুড়িদহ খেয়াঘাট থেকে প্রসাদপুর খেয়াঘাট (শুটকির মোড় ) পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা যেন হাল চাষের জমি। খানাখন্দকে ভর্তি।চলাচলের কোন উপায় নেই। ধূলোতে লাল হয়ে গেছে রাস্তার দুপাশের গাছপালা ও বাড়ি ঘর।
এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ চলাচল করেন। এই রাস্তাটি মান্দা ফেরিঘাট থেকে সরাসরি পাঁজরভাঙ্গা হয়ে জেলার আত্রাই ও রানীনগর উপজেলার যুক্ত হয়েছে।
পথচারীরা জানান, দীর্ঘদিন রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় আমরা চরম বিপাকে। গর্ভবতী নারীদের নিয়ে দ্রুত উপজেলা সদর হাসপাতালে যাওয়া যায়না। কোন রকমে হাসপাতালে পৌছালেও রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। সচরাচর কোন ভ্যান,অটো এই রাস্তা দিয়ে যেতে চায়না। গেলেও তার জন্য গুনতে হয় তিন গুণ ভাড়া। এছাড়া মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাক্টরে করে মাটি পরিবহনের জন্য সরকারি রাস্তা কেটে তৈরি করেছেন সংযোগ সড়ক যা দেখার কেউ নেই। উপজেলার সাথে পূর্ব অঞ্চলের যোগাযোগের এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার এমন বেহাল দশা। যা বছরের পর বছর পার হলেও সংস্কার হয় না। যার কারণে অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করতে হয় পথচাীদের। ফেরিঘাট থেকে পাঁজরভাঙ্গা বাজারের যাওয়ার এই রাস্তাটি অতি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
দ্বারিয়াপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটি সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যার কারণে অন্য রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়।
ভাঙা অংশ সংস্কার করা হবে, যখন অন্য অংশে আবার ভেঙে যাওয়া শুরু হবে। ফলে এই রাস্তার ভোগান্তি আর শেষ হবেনা।
তুলসীরামপুর গ্রামের হারুন অর রশীদ বলেন, রাস্তাটির এমন অবস্থা হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরও ভোগান্তি বাড়ছে। সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারে না।এছাড়াও ধুলোতে শরীর মেখে যায়।
এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞা বলেন, পাঁজরভাঙ্গা থেকে পলাশবাড়ি অংশের রাস্তা সংস্কার কাজ করা হয়েছে। আগামীতে ভাঙা অংশের সংস্কার কাজ করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম

নুরাল পাগলা’র দরবারে পুলিশের ওপর হামলা, ৩৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় ডেকোরেশন কর্মীর লাশ উদ্ধার

কুড়িগ্রারে রৌমারীতে সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

চৌগাছায় পনিতে ডুবে আড়াই বছরের শিশু আবু বক্করের মৃত্যু

কালীগঞ্জে দুই মাদক কারবারী আটক

হাতিয়ায় চেয়ারম্যান ঘাট-নলচিরা নৌরুটে নতুন সি-ট্রাক উদ্বোধন

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো- মোস্তাফিজুর রহমান

রাজশাহীর সেই বহিস্কৃত এসআই ২ দিনের রিমান্ডে

রাজশাহীতে আদিবাসীদের ভয় দেখিয়ে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

হাসিনার শাসন ইতিহাসের জঘণ্যতম অধ্যায়: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ছাত্রদলের উগ্র ও সন্ত্রাসী স্লোগানের প্রতিবাদে সাভারে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

পটুয়াখালীর জেলের জালে ৪৪ কেজির কোরাল, বিক্রি ৬৬ হাজার টাকায়
