ঈশ্বরদীতে রিকশাচালক হত্যা মামলার প্রধান আসামি দুইজনকে গ্রেপ্তার
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় রিকশাচালককে গুলি করে হত্যাকারী আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযানে তার সহযোগিকেও আটক করা হয়েছে। বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারকৃত আনোয়ারকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে বলে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার জানিয়েছেন।
আনোয়ারকে বুধবার আদালতে হাজির করে বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
তবে আনোয়ার যে অস্ত্র দিয়ে রিকশাচালক মামুনকে গুলি করে হত্যা করেছে সে অস্ত্রটি পুলিশ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ঈশ্বরদী পৌরসভার শৈলপাড়া বারো কোয়ার্টার মহল্লার মৃত নূর উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার উদ্দিন (৪২) ও একই এলাকার ইব্রাহিম হোসেন (২৬)।
তারা হলেন-ঈশ্বরদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও একই ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিনের ছোট ভাই মামলার দুই নম্বর আসামি আনোয়ার উদ্দিন এবং মামলায় চার নম্বর আসামি ইব্রাহিম।
এনিয়ে মামলার চার আসামিকেই গ্রেফতার করা হলো।
এর আগে মামলার এক নম্বর আসামি কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিন ও ভাতিজা হৃদয় হোসেনকে শুক্রবার ঈশ্বরদীর শৈলপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে ঈশ্বরদীর আরামবাড়িয়া এলাকা থেকে আনোয়ারকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পৃথক অভিযানে বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া থেকে ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করা হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, গ্রেফতারের পর আনোয়ারকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ড নেয় হয়েছে। রিমান্ডে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, তা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার জেরে রিকশাচালক মামুন হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার সময় আনোয়ার মামুনকে পিস্তল দিয়ে গুলি করে। এ ঘটনায় আহত আরও দুইজন রকি ও সুমন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঐ ঘটনায় নিহত মামুনের মা লিপি আক্তার বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে চারজনকে আসামি করে অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এমএসএম / এমএসএম