ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

ফারজানা বাতেন এর লেখাঃ চায়ের ইতিহাস


সকালের সময় ডেস্ক photo সকালের সময় ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮-১-২০২৩ বিকাল ৭:১৭
আমরা  চা ছাড়া যেমন জীবন কল্পনা করতে পারি না, তেমনি সবাই কমবেশি এই প্রিয় পানীয় চায়ের ইতিহাস সম্পর্কে জানি।  তবুও নতুন করে সামনে আনতে চাই চায়ের ইতিহাস।
 
ইংরেজিতে চা এর প্রতিশব্দ হলো টি tea। গ্রীকদেবী থিয়ার নামানুসারে এরুপ নামকরন করা হয়েছিল । চীনে “টি” এর উচ্চারণ ছিল “চি “ যা পরে হয়ে যায় “চা”। 
 
চীনা ভাষায় ‘শেন নাং ‘ নামটির অর্থ হলো ‘স্বর্গীয় কৃষক’। শেন নাং ও যেন স্বর্গ থেকে এনেছিলেন চা নামের প্রিয় পানীয়টি।  পাঁচ হাজার  বছর আগের এই সম্রাট ছিলেন দারুন স্বাস্হ্য সচেতন । একবার তিনি আইন চালু করলেন যে, তার প্রজাদের সবাইকে পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে । তো একদিন বিকেলে রাজকার্যের ক্লান্তি দূর করার জন্য ক্যামেলিয়া গাছের নিচে বসে সম্রাট ফুটানো গরম পানি পান করছিলেন। কোত্থেকে যেন তার গরম পানির পাত্রে এসে পড়লো কয়েকটি অচেনা পাতা। পাতাগুলো পানি থেকে বের করার আগেই তার নির্যাস মিশে যেতে লাগলো পানির সাথে আর ভোজবাজির মতো পাল্টাতে লাগলো পানির রং ! কৌতুহলী সম্রাট শেন নাং ভাবলেন এ নির্যাসও একবার পান করে দেখা যাক । সে অনুযায়ী তিনি নির্যাস মিশ্রিত পানি পান করার পর নিজেকে অন্য দিনের চেয়ে  অনেক বেশি চনমনে অনুভব করলেন। তাঁর ঘুমঘুম ভাব কেটে গেল। ক্লান্তি  দূর হলো। সম্রাট ও নতুন স্বাদ পেয়ে খুশি হলেন। এরপর অনেক খুঁজেটুজে পাওয়া গেলো পাতাটির উৎস “ ক্যামেলিয়া সিনেনসিস” গাছ । তাই চা এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো -‘ক্যামেলিয়া সিনেনসিস”।
 
১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে  চীনে বানিজ্যিকভাবে চায়ের  উৎপাদন শুরু হয় । আর ভারতবর্ষে এর চাষ শুরু হয় ১৮১৮ সালে । ১৮৫৫ সালে ব্রিটিশরা সিলেটে সর্বপ্রথম চায়ের গাছ খুঁজে পায় । এরপর ১৮৫৭ সালে সিলেটের মালনীছড়ায় শুরু বানিজ্যিক ভাবে চা-চাষ ।
বর্তমানে চায়ের কদর আছে প্রতিটি মানুষের কাছে।

এমএসএম / এমএসএম