শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পিছিয়ে জবি

বিশ্বব্যাপী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অনুপাতের ন্যূনতম মানদণ্ড ধরা হয় ১ঃ২০। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ন্যূনতম শিক্ষক থাকতে হবে একজন। জাতীয় পর্যায়েও দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রচলিত এই মানদণ্ড অনুসরণে দীর্ঘদিন ধরেই নির্দেশনা দিয়ে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
কিন্তু এই মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২৩ টি বিভাগ। এমন তথ্য উঠে এসেছে সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বার্ষিক প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮ টি বিভাগে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মান আছে মাত্র ১৫টি বিভাগে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বিভাগের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ। বাকি ২৩ টি বিভাগের মধ্যে ৯ টি বিভাগ এই মানদণ্ডের ধারেকাছেও নেই।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৫৯৬০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক সংখ্যা মাত্র ৬৭৮ জন। অর্থাৎ ২৪ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে আছে ১ জন করে শিক্ষক। এর মধ্যে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে রয়েছেন।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ঃ২৪ এর মধ্যে আছে সর্বোমোট ২১ টি বিভাগ। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বিভাগের প্রায় অর্ধেক। এই বিভাগগুলো ছাড়া ১ঃ২৫ থেকে ১ঃ৩০ এর মধ্যে রয়েছে মাত্র ৮ টি বিভাগ। ১ঃ৩১ থেকে ১ঃ৩৫ এর মধ্যে ৫ টি বিভাগ ও ১ঃ৩৬ থেকে ১ঃ৪০ এর মধ্যে রয়েছে ৪ টি বিভাগ।
এর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে সবচেয়ে পিছিয়ে আইন বিভাগ। এই বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ঃ৪০। অর্থাৎ প্রতি ৪০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১ জন শিক্ষক। একই দশা ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগেও। এই বিভাগে ৩৯ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১ জন করে শিক্ষক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাস বলেন, 'আমাদের কয়েকজন শিক্ষক বাইরে রয়েছে। ইতোমধ্যে নতুন দুইজন শিক্ষককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে প্রশাসনকে জানিয়েছি। সেই অনুযায়ী নিয়োগ হলে এই তারতম্য কমে আসবে।
এদিকে সবচেয়ে করুণ অবস্থায় থাকা বাকি বিভাগগুলোর মধ্যে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ১ জন শিক্ষকের বিপরীতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৭, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনায় ৩৬, লোক প্রশাসন বিভাগে ৩৫, ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগে ৩৪, ইতিহাস বিভাগে ৩৩ জন করে শিক্ষার্থী।
বিভাগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ফার্মেসি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ। এই দুই বিভাগে প্রতি ১০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১ জন করে শিক্ষক। এছাড়াও মাইক্রোবায়োলজিতে ১২, প্রাণিবিদ্যা ও উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৬, বায়োটেকনোলজি এন্ড মলিকিউলার বায়োলজিতে ১৭, মনোবিজ্ঞানে ১৮ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন করে শিক্ষক।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়টি তুলনামূলকভাবে নতুন। যার ফলে সব বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষককের নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি। নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে সবগুলো বিভাগকেই এই মানদণ্ডের ভিতরে আনা হবে।'
এমএসএম / এমএসএম

থমথমে ঢাবি ক্যাম্পাস, সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ঢাবি ভিসিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জামায়াতি প্রশাসন’ আখ্যা দিল ছাত্রদল

সুবিপ্রবি নির্ধারিত জায়গায় দ্রুত স্থাপনের লক্ষে বৃহত্তর সুনামগঞ্জবাসীর স্বারকলিপি

ডাকসু নির্বাচনের ভোটগণনা শুরু

টিএসসি কেন্দ্রে ৩ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ

ভোটার লাইনে প্রার্থীদের প্রচারণা, ‘বিরক্ত’ ভোটাররা

শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ডাকসুর ভোটগ্রহণ

শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ডাকসুর ভোটগ্রহণ

ভোটটা উদযাপন করতে চাই : ছাত্রদল প্যানেলের ভিপিপ্রার্থী আবিদুল

ঢাবিতে প্রবেশে কঠোর নিয়ন্ত্রণ, ভেতরে বিজিবির টহল

ডাকসু নির্বাচন : নারী ভোটকেন্দ্রে লম্বা লাইন

রাত পোহালে ডাকসু নির্বাচন
