ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

হাসিনা আক্তার শেলীঃ রেডি টু কুক


সকালের সময় ডেস্ক photo সকালের সময় ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮-২-২০২৩ দুপুর ৪:১৬

যেহেতু দীর্ঘদিন জব করেছি, এবং জবের শেষের দিকে অনলাইন কাপড়ের বিজনেস শুরু করেছি। তখন সবদিক ঠিক রাখতে হিমশিম খেতে হতো।তখনকার বড় সমস্যা কাটা-ধোয়ার কাজ। মেহমান আসলে তো তখন আরও খারাপ অবস্থা হতো। শুধু মনে হতো কেউ যদি একটু কেটে ধুয়ে দিয়ে যেত। বাজার থেকে যাও কাটে তাও বাসায় এনে আঁশটে পরিস্কার করা তারপর ধোয়া। কৈ মাছ, শিং মাছ হচ্ছে পছন্দের মাছ,এগুলো তে আরও কস্টকর। তখন রেডি টু কুক একটা পেইজ থেকে নিয়েছিলাম সেটা বাসায় ধুতে হতো। রেডি টু কুক মাছ /মাংসের কাজ শুরু করার পরে আমার কোন কাস্টমার বলতে পারবে না যে বাসায় কাটা ধোয়ার কাজ করতে হয়। 
শিং মাছঃ শিং মাছে প্রথমে কাটা ফেলে।  কালো চামড়া ঘষে পরিস্কার করার পরে, এই মাছের পিঠ একটা রগ থাকে অনেক এলাকায় এটা ফেলে দেয়, বরিশালের মেয়ে হওয়ায় শিং মাছের পিঠের রগ না ফেললে সে মাছ আমরা কেউ খাইনা। রেডি টু কুক এর শিং মাছ পরিস্কারের পরে নিজ হাতে রগ ফেলে দেই,আমার সাহায্যকারী পারে না। তারপর চলে ধোয়ার কাজ, মাছ ধুতে ধুতে যখন পানি একদম পরিস্কার এবং মাছে কোন গন্ধ থাকে না, তারপর ঝাঝড়িতে পানি ঝড়িয়ে  জিপার ব্যাগে প্যাকেট করি।
মাছ ঠিক ভাবে পরিস্কার না হলে বা গন্ধ থাকলে সে মাছ খাওয়ার স্বাভাবিক রুচি আসবে না। রেডি টু কুক মাছ নিলে সেটা এমনভাবে পরিস্কার করে ধোয়া থাকা দরকার যেটা ব্যাস্ত মানুষ, অসুস্থ তাদের জন্য সহজ হয়। প্যাকেট খুলেই যাতে রান্না করতে পারে। আমার চেষ্টা এটাই।

এমএসএম / এমএসএম