ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫

পাবনায় মরে যাচ্ছে তের নদী


এম মাহফুজ আলম, পাবনা photo এম মাহফুজ আলম, পাবনা
প্রকাশিত: ১৪-৩-২০২৩ দুপুর ৪:১০

সর্বদা দূষণ, দখল, বালু ও মাটি উত্তোলনের কারণে পাবনা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ১৭টি নদীর মধ্যে ১৩টি নদী অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে পরিবেশবাদীরা জানিয়েছেন। 
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে ইছামতি, বড়াল, চিকনাই, আত্রাই, করোতোয়া, হুরাসাগর, গোমানি, রতনাই, বাদাই, কাগেশ্বরী, সুতিখালি, রমলা, চন্দ্রবতি, বোমাই নদীগুলো অচিরেই বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে জানান তারা।
এসব নদীগুলোর এমন করুণ অবস্থার পেছনে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছে এবং তারা নদীগুলোকে খাল বা তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনামলে তাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে নদী বা ক্যানেল বা খাল কেটেছিলেন। তাই এগুলো প্রাকৃতিকভাবে নদী বা খাল নয় আখ্যায়িত করে দখল করেছে, যেন খাল দখল করা বৈধ বলে পরিবেশবাদীরা বলছেন।
তারা নদীতে মাছের ঘের তৈরি, সেখান থেকে বালি-মাটি উত্তোলন, অট্টালিক নির্মাণ, নদীর ওপর কম উচ্চতার সেতু নির্মাণ এবং নদী ভরাটের মতো অবৈধ কর্মকান্ডে সরাসরি জড়িত বা পেছনে রয়েছে, যোগ করেন তারা।
তাদের মতে, এ ধরণের কর্মকান্ড নদ-নদীর পানি প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করার কারণে নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে।
আবাসিক ঘর, বিনোদন পার্ক, শিশু পার্ক, অফিস-কারখানা এমনকি নদী দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন পরিবেশবাদীরা।
পয়ঃনিষ্কাশন ড্রেনগুলে নদীগুলির সাথে যুক্ত হয়েছে যা তাদের দূষণে অনেক অবদান রাখে। নদ-নদীর দূষণের ফলে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ দেখা দিচ্ছে।
আবার নদীগুলোর মৃতপ্রায় অবস্থার সুযোগ নিয়ে একাংশ মানুষ নদীর তলদেশে ধান, মসুর, পেঁয়াজ, রসুনের মতো নানা ধরণের ফসল ফলাচ্ছেন বলে জানান পরিবেশবিদরা।
শুধু মাছই নয়, নদীর অন্যান্য প্রাণী ও জলজ উদ্ভিদও দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, যা পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য বিরাট হুমকির সৃষ্টি করছে, একথা মৎস্যজীবীরার বলছেন।
চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের একাধিক মৎস্যজীবী জানান, তাদের অনেকেই অন্য পেশায় চলে গেছেন, কারণ তারা তাদের সংসার চালানোর মতো এই পেশা থেকে আয় করতে পারছেন না। তারা আক্ষেপ করে বলেন, নদীগুলো প্রতিবছর বেশির ভাগ সময় শুকিয়ে যায়।
পাবনা অত্যন্ত খরাপ্রবণ অঞ্চল; তাই জেলাকে খরার হাত থেকে বাঁচাতে এখানকার নদী রক্ষা করা জরুরি বলে 
বেলা নেটওয়ার্কের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পাবনা ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলনের সভাপতি এস এম মাহবুব আলম তিনি জেলায় একটি সুস্থ স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য নদীগুলোকে সব ধরণের অপব্যবহার থেকে মুক্ত করার উপর জোর দেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর পাবনা জেলা শাখার সেক্রেটারী আব্দুল হামিদ খান বলেন,‘ পাবনা অত্যন্ত খরাপ্রবণ অঞ্চল; পাবনা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে জেলাকে খরার হাত থেকে বাঁচাতে এখানকার নদী রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।
 সরকার দেশের ৬৪টি জেলায় ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখননের জন্য একটি উন্নয়ন প্রকল্প চালু করেছে।
প্রকল্পের প্রথম ধাপের আওতায় পাবনার ইছামতি নদীসহ কয়েকটি খাল পুনঃখননের কাজ শুরু করলেও বিভিন্ন কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে।

এমএসএম / এমএসএম

রাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু

বাঁশখালীতে ৫ মাস বয়সী শিশু অপহরণ, ১৬ ঘন্টার পুলিশি অভিযানে উদ্ধার, গ্রেফতার-১

কুমিল্লা নামেই বিভাগ হবে, লাকসাম হবে জেলা: আবুল কালাম

ধামইরহাটে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

নারী নির্যাতন ও নাশকতা মামলায় তাঁতীলীগ নেতা রিয়াদ আটক

আদমদীঘিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সাংবাদিক মতি গুরুতর আহত

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ৩ দফা দাবী বাস্তবায়ন ও শিক্ষকদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

কুড়িগ্রামে বিশ্ব হাত ধোঁয়া দিবস ২০২৫ পালিত

জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষায় করণীয় নির্ধারণ

বাংলাদেশের ৩য় শহর হিসেবে জয়পুরহাটে স্টারলিংক ইন্টারনেট এর উদ্বোধন

মাদারীপুরে পিআরসহ পাঁচ দফা দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন

কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন ১৩ বিডিআর জোয়ান

মানিকগঞ্জে ব্র্যাকের স্বপ্নসারথি গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন