ঢাকা বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

মাদকসেবীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা নেই কারাগারে


মো. বাকী বিল্লাহ photo মো. বাকী বিল্লাহ
প্রকাশিত: ২৫-৩-২০২৩ দুপুর ১:১৩

মাদক মামলায় গ্রেপ্তারকৃত বেশীরভাগ আসামীই মাদকসেবী। এসব মাদকেসেবীদের সুস্থজীবনে ফেরাতে কারাগারে নেই কোন ব্যবস্থা। প্রত্যেক কারাগার হাসপাতালগুলোতে জেনারেল চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকলেও মাদকসেবি রোগীদের নিরাময়ে প্রয়োজনীয় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাক্তার ও নার্স নেই। কারা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সারাদেশের কারাগারে ২০২৩ এর ২১ মার্চ পর্যন্ত মাদক মামলায় আটক আসামি প্রায় ২৪ হাজার। অথচ এদের চিকিৎসা নেই কারাগারে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ বছরের ফেব্রুয়ারীতে ৮হাজার ৬’শ একাত্তরটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্য, একান্নটি মোবাইল সেট, ত্রিশটি যানবাহন ও নগদ অর্থ ৭ লাখ পয়ষট্রি হাজার ১’শ বাষট্রি টাকা উদ্ধার করে ২হাজার ৩’শ সত্তরটি মামলা করেছে অধিদপ্তর। এসময় গ্রেপ্ততার করা হয়েছে ২হাজার ৫’শ ঊনচল্লিশ জন আসামী। এসব আসামিদের আদালত কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

আটক মাদকসেবীদের চিকিৎসা সম্পর্কে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আজিজুল ইসলাম সকালের সময়কে বলেন, ‘দেশের তিনটি কারাগারের হাসপাতালে মাদকসেবীদের চিকিৎসায় একটি করে ওয়ার্ড চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল কারাগারের হাসপাতালেই মাদকনিরাময় ওয়ার্ড চালু করবে সরকার। মাদকের ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণ করতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।’

প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (দক্ষিণ) সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ বলেন, ‘সমস্যা অনেক থাকলেও সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ডাক্তারের অভাব। এ পেশায় নিয়মিত ডাক্তার পাওয়ার ঘাটতি যেমন আছে তেমনি এ সেক্টরে প্রয়োজনীয় মনোচিকিৎসকেরও যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তিনি বলেন, দেশের কারাগারগুলোতে বন্দি থাকা মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী একই সেলে থাকায় সেখানে আরো বেশি মাদক চর্চা হয়। ওখানে তাদের মধ্যে সহজেই বন্ধুত্ব হওয়ার সুযোগে এর ঝুকি আরো বাড়ছে। তবে রিহ্যাব সেন্টারে এ ধরণের সুযোগ নেই। কারণ সেখানকার ব্যবস্থাপনায় ভিন্নতা রয়েছে। রোগী ভর্তি করার প্রথম মাসে রোগীকে ডিটক্্র বা বিষমুক্ত করা হয়। এসময়ে তাদের শরীরে নানাবিধ সমস্যা ধরা পড়লে চিকিৎসার নিয়ম মেনে এদের উইথড্রল করা হয়ে থাকে। এখানে চিকিৎসা চলাকালীন প্রাতিষ্ঠানিক নজরদারি থাকার কারণে বন্ধুত্ব হওয়ার সুযোগ কম। রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে কাউন্সিলিং করা হয় যা কারাগারে এরকম ব্যবস্থা নাই।’ এসময় সকালের সময়কে তিনি আরো বলেন, মাদক নিরাময় চিকিৎসার জন্য দেশের প্রতিটি কারাগারে ব্যবস্থা থাকা জরুরী। 


 

এমএসএম / এমএসএম

তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ এর অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান

জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত

ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি

জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত

কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত

পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম

ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে

উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ

হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার

ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা