২০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও সোয়ান ফ্যান

রাজধানীর নবাবপুর ব্যবসায়ীদের প্রায় ২০কেটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে এম.এ.রশিদ ট্রেডিং কোম্পানী (সোয়ান ফ্যান কোম্পানী)। ব্যবসায়ীদের ফ্যান সাপ্লাই দেয়ার কথা বলে এই টাকা তারা এই টাকা সংগ্রহ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যসায়ীদের পাইকারী মুল্যে ফ্যান সরবারাহ করার শর্তে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে থেকে কোম্পানীর দুই মালিক মো. কাইয়ুম মোল্ল্যা ও মো. আব্দুর রব সুমন টাকা নিয়ে কোম্পানী বন্ধ করে দেয় এবং আত্মসাৎ করা টাকা দিয়ে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট গাড়ী কিনে বিলাসী জীবনযাপন করছে।
নবাবপুর রোডের তাজ ইলেকট্রিক মার্কেটের ব্যবসায়ী দি উইনার ইলেকট্রিক কোং এর মালিক মীর মজিবুর রহমান জানান, ২০১৬/১৭ সালে সোয়ান ফ্যান কোম্পানীর কাছে শীতকালীন কন্ট্রাক্ট বাবদ চেকের মাধ্যমে প্রতিদিন দুইশত ফ্যান সাপ্লাই দেওয়ার শর্তে দুই কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন যা বর্তমানে সুদাসলে ৩ কোটি সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা হয়েছে। কিন্তু কোম্পানী কিছুদিন (৬/৭ মাস) কোনোরকম ব্যবসা করেন তার সাথে পরে সাপ্লাই বন্ধ করে দেন। এবং কিছুদিনের মধ্যে সোয়ান ফ্যান কোম্পানী বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পাওনাদারের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় চল্লিশ। পাওনাদারের মধ্যে সীট কোম্পানীও ছিল। যা দিয়ে ফ্যান তৈরি হয় এবং দেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫/২০ কোটি টাকা। কোম্পানী বন্ধের পর পাওনাদাররা টাকা আদায়ে সচেষ্ট হন এবং বিষয়টি নিয়ে ইলেকট্রিক এসোসিয়েশন এর মাধ্যমে সালিশি বৈঠক হয়।
শেষ পর্যন্ত কোম্পানীর দুই মালিক মো. কাইয়ুম মোল্ল্যা পান্নু ও মো. আব্দুর রব সুমন তৎকালীন বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল মার্চেন্ডাইস ম্যানুফ্যাকচার্স এসোসিয়েশন (বিমা) এর সভাপতি মো. মাইনুল ইসলাম ভূইয়া এর মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী কোম্পানী মো. মাইনুল ইসলাম ভূইয়া দায়িত্ব নিয়ে বিক্রি করে বিক্রীত অর্থ দিয়ে সকল দেনাদারের পাওনা পরিশোধ করবেন। কিন্তু অদ্যাবধি বিশেষ ঘনিষ্ঠ দু’একজন ছাড়া অধিকাংশ পাওনাদার তাদের পাওনা পাননি। এর মধ্যে শুধুমাত্র মীর মজিবুর রহমান ৩ কোটি টাকা পাবেন। তিনি তার পাওনার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে অদ্যাবধি কিছুই পাননি। উল্টো পাওনা চাইতে গিয়ে বিভিন্ন হুমকি ধমকির শিকার হয়েছেন। এ ব্যাপারে মজিবুর রহমান রমনা মডেল থানায় একটি জিডি নং-৯৩৬ তাং- ১৬/০৪/২০১৯ এন্ট্রি করেন। সোয়ান ফ্যান কোম্পানীর দুই মালিকের অভিভাবক হওয়া মাইনুল ইসলাম প্রভাবশালী বিএনপি নেতা। এজন্য পাওনাদার ব্যবসায়ীরা তার সাথে জোরে পেরে উঠছেন না। ফলে তাদের টাকাও আদায় হচ্ছে না। এ ব্যাপারে মীর মজিবুর রহমান আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। নতুবা শ্রমে ঘামের কোটি কোটি টাকা হারিয়ে তাদের পথে পথে ঘুরতে হবে। টাকার বিষয় সোয়ান কোম্পানীর মালিকদের মন্তব্য জানার জন্যে ফোন করে তাদের ৩ জনের কারও সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এমএসএম / এমএসএম

রেজিস্ট্রি অফিসের প্রভাবশালী নকলনবিশের কাণ্ডঃ মন্ত্রীদের প্রভাবে চাঁদাবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

বিসিক এর নীরিক্ষা কর্মকর্তা সাবধান আলী হতে সাবধান!

কেরানীগঞ্জ উপজেলার রাজাবাড়ী রোডে অবৈধ এলপিজি বটলিং প্লান্ট এর সন্ধান

গডফাদার মুরাদ জং-এর বোন পরিচয়ে দলিল দাতা-গ্রহীতাদের জিম্মি করার অভিযোগ

গাজীপুরের কাশিমপুরে সরকারি খাস জমি ভূমিদস্যুদের দখলে

বগুড়ায় সাবেক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে 'ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেটের' মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আইন যেন শুধু খাতা কলমে

প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

গোয়েন্দা প্রধানসহ লুটপাটের অভিযোগে চার কর্মকর্তা ক্লোজড

নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের মানববন্ধনে শাস্তি ও অপসারণ দাবী

সীমাহীন দুর্নীতি,অর্থ আত্মসাত ও সরকারি চাকুরির শৃংখলা ভংগের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রনজিত দে সাময়িক বরখাস্ত

সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে শ্রমিকদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ
