ঢাকা শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

হত্যা মামলায় মূল আসামিদের নাম বাদ দিয়ে পুলিশের প্রতিবেদন


আরাফাত হাসান, মাদারীপুর photo আরাফাত হাসান, মাদারীপুর
প্রকাশিত: ৪-৫-২০২৩ বিকাল ৫:৫৩
মাদারীপুরের শিবচরে আলোচিত কালাম ঘরামি হত্যা মামলায় মূল আসামিদের বাদ দিয়ে পুলিশ আদালতে মনগড়া প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর শহরের একটি অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন নিহত কামাল ঘরামির বাবা ও মামলার বাদী নুরু ঘরামি। এ ঘটনায় তিনি বিচার বিভাগের কাছে তদন্ত করার দাবি জানান।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৩ মে শিবচর উপজেলার বড় কেশবপুর আরশেদ তালুকদারকান্দি এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ডেকে নিয়ে কালাম ঘরামি (২৯) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনায় পরের দিন নিহতের বাবা নুরু ঘরামি বাদী হয়ে শিবচর থানায় নিহতের চাচাতো ভাই লাকু ঘরামি, ভাতিজা বাচ্চু ঘরামিসহ ৯ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলায় দায়ের করেন। পরে এই মামলায় শিবচর থানার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সঞ্জিব জোয়ার্দার ওই বছর ২৬ অক্টোবর আদালতে ইউনূস ঘরামি, লিটন ঘরামি, বাকের ঘরামি, টুকু ঘরামি, লোকমান ঘরামিকে অব্যাহতি দিয়ে চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এই তদন্ত প্রতিবেদনের বিপক্ষে বাদী নুরু ঘরামি নারাজীর আবেদন করেন। 
পরে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্ততের জন্য গোপালগঞ্জের পিবিআইকে নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে পিবিআই মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ২ নভেম্বর মামলার ওই পাঁচ আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেখানেও বাদী নুরু ঘরামি নারাজীর আবেদন করলে আদালত সিআইডি পুলিশের কাছে পূণরায় তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে সিআইডি মামলাটিকে নতুন করে তদন্ত শুরু করে। 
মাদারীপুর সিআইডির পরিদর্শক রবীন্দ্রনাথ তরফদার নিহত কালাম ঘরামিকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ কাঁঠাল গাছের সঙ্গে ঝুঁলিয়ে রাখা হয় উল্লেখ করে মামলায় টুকু ঘরামি, আবু তাহের ঘরামি, বারেক ঘরামি, ইউনুস ঘরামি ও লোকমান ঘরামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করে। একই সঙ্গে লাকু ঘরামি, হারুণ ঘরামি, দেলোয়ার ঘরামি ও বাচ্চু ঘরামিকে অভিযুক্ত করে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রæয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সিআইডি পুলিশের তদন্তেও মামলার বাদী নুরু ঘরামি মূল আসামিদের বাদ দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। 
সংবাদ সম্মেলনে নুরু ঘরামি (৬৩) বলেন, ‘আমার বড় ছেলে কালাম ঘরামির হত্যার সঙ্গে আমার ভাতিজা টুকু ঘরামি, আবু তাহের ঘরামি, বারেক ঘরামি, লোকমান ঘরামি ও আপন ভাই ইউনুস ঘরামি জড়িত। অথচ সিআইডি পুলিশ তাদের বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। এখানে সিআইডি পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে অর্থের বিনিময়ে মূল আসামিদের অব্যাহতি দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার বিভাগের কাছে তদন্তের দাবি জানাই। 
অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে সিআইডির পুলিশের পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ তরফদার বলেন, ‘এই হত্যা মামলাটির আগেও দুবার তদন্ত হয়েছে। আমরাও যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত করেছি। এখানে বাদীর মনমতো না হওয়ায় তিনি বারবার নারাজি দিচ্ছেন, আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দিচ্ছেন। এখানে আমাদের কোন ভুল নেই। একটি হত্যা মামলায় ইচ্ছেমত কাউকে অভিযুক্ত করা যায় না। হত্যার সঙ্গে মূলত যারা জড়িত তাদেরই আমরা চার্জশিটে রেখেছি।

এমএসএম / এমএসএম

বালু খে‌কোরা যত বড় হোক কাউকে ছাড় দেয়া হ‌বে নাঃ ইউএনও ত‌রিকুল ইসলাম

‎বন্দরবান জেলা পরিষদের প্রকল্প বাতিল, পিছিয়ে পরার ভয় ১৩ জনগোষ্ঠীর

পারিবারিক কলহের জেরে পিতার হাতে পুত্র খুন

চিলমারীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

কুড়িগ্রামে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে জেলা পরিষদের শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান

ডায়াগণস্টিকে স্বাক্ষর জালিয়াতি : খাবারে নেই মেয়াদ, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা, অভিযোগের তীর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

‎সাঘাটা খাদ্য বান্ধব ডিলার এসোসিয়েশনের কার্য্যনির্বাহী কমিটি গঠন

পঞ্চগড়ে প্রাঃ শিক্ষা অফিসারের অর্থ কেলেঙ্কারি ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি কতৃপক্ষের

সাতক্ষীরা শহরের ৯নং ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ

গোদাগাড়ীতে উন্নত জাতের মাসকলাই বীজ ও সার বিতরণ

কাজ শেষে না করেই লাশ হলো দুই বন্ধু, ট্রাকের ধাক্কায় দুই তরুণের মৃত্যুতে চলছে শোক