তালায় মাইকিং করে বিক্রি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর আইসক্রিম

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় স্কুল,গ্রাম,পাড়া মহল্লায় মাইকিং করে দীর্ঘ বছর ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি শিশু খাদ্য মানহীন ভেজাল আইসক্রিম। যা শুধুমাত্র বরফ আর মানব দেহের মারাত্মক ক্ষতিকারক সেগারিন,কাপড়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের রং ও ফ্লেভার মিশ্রনে তৈরি করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে বি,এস,টি,আই অনুমোদন হীন এই আইসক্রিম খাওয়ার পরে। শিশুদের পেটের পীড়া,জ্বর,সর্দি, কাশি সহ এক সময় লিভার কিডনি এবং মরণ ব্যাধি ক্যান্সারের মতো । বড় ধরনের রোগের শিকার হতে পারে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত। অথচ অত্যন্ত জন গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি দেখার জন্য কেউ নেই । সূত্রমতে, এই আইসক্রিম বিশেষ করে প্রত্যেক বছর গরম মৌসুমে ব্যাপক হারে বেচা--বিক্রির বিষয়টি লক্ষণীয়। এ বছরও যার মোটেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। রাত পোহালে দেখা মেলে কোন না কোন আইসক্রিম বিক্রেতার। দুধ, কলা, নারকেল-সন্দেশ ও কিসমিস দিয়ে তৈরি,একবার খাইলে বার,বার খেতে ইচ্ছা করে। মাইকে এমন সব লোভনীয় প্রচার করার শব্দ কানে পৌঁছাতেই । আইসক্রিম নেয়ার জন্য অবূূঝ শিশু-কিশোররা বাড়ি থেকে ছুটে চলে আসে রাস্তার উপর। ফলে অনেক সময় গরীব পরিবারে বাড়িতে টাকা না থাকায় বাচ্চাদের আবদার মেটাতে মায়েরা পড়ে যান দারুন বিপাকে। শুধু কি শিশু-কিশোর ? অনেক ক্ষেত্রে এখানকার গ্রামের অতি সাধারণ যুবক-যুবতী বৃদ্ধ সকলেই এক কাতারে শামিল হয়ে এ আইসক্রিম কেনার বিষয়টি নতুন কোন খবর নয়। অন্যদিকে পানীয় এই খাদ্য পণ্য বেচা-বিক্রিতে লাভ বেশি হওয়ায়। এ এলাকার প্রায় সকল মুদি দোকানের ফ্রিজ ভর্তি করে রাখা হয়েছে। নিম্নমানের এই আইসক্রিম এবং রং বেরঙের পেপসিতে। যা সরজমিনে খোঁজখবর নিলেই ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করেই এক শ্রেণীর অসাধুু ফ্যাক্টরি মালিকরা এই আইসক্রিম উৎপাদন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে এলাকার হাট-বাজার গুলোতে মাঝে মধ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়ে থাকলেও। ওই সব অবৈধ কারখানার মালিকরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। বলে এলাকায় এমন নানান গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল উপজেলা যুগিপুকুরিয়া গ্রামে মাইকিং করে আইসক্রিম বিক্রি করতে আসা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পঞ্চাশোর্ধ বয়সের ব্যক্তি জানান,এই আইসক্রিমের মান কেমন বা কি দিয়ে তৈরি করা হয় ? তা তো আর আমি বলতে পারব না। শুধু আমি না আমার মত অনেকেই এই আইসক্রিম কারখানা থেকে কিনে নিয়ে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করে বেড়ায়। দু-চার পয়সা যা লাভ হয় তা দিয়েই চলে আমাদের সংসার। তাছাড়া এটা বিক্রিতে যদি অপরাধ হয়ে থাকে। এতে আমাদের কোন দোষ নেই,যারা তৈরি করেছে তারাই এর জন্য দায়ী। এ বিষয়ে তালা উপজেলা সেনেটারি ইন্সপেক্টর আব্দুল মতিন এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,সাদা রঙের আইসক্রিম খুব একটা ক্ষতিকারক না। তবে লাল বা অন্য কোন রঙের আইসক্রিম গুলো তৈরি হয় কাপড়ের রং দিয়ে, যা মানবদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এখানে অবস্থিত কারখানায় আমি যেয়ে কখনো রঙিন আইসক্রিম দেখতে পায়নি। গোপনে তারা কি করে এটা বলতে পারব না। তবে কোন আইসক্রিমের ভ্যান আমার চোখে পড়লে। আমি আটকে চেক করি তাতে রঙিন আইসক্রিম আছে কিনা। থাকলে সেগুলো নষ্ট করে দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
এমএসএম / এমএসএম

সিডিএ'র কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে ঠিকাদার

পটুয়াখালীতে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

বেনাপোল বন্দরে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্যে স্থবিরতা

রাণীনগরে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অবসরে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবলদের বিদায় সংবর্ধনা

সম্প্রীতি বিনিষ্টকারীদের ছাড় নেই: গোপালগঞ্জে সম্মেলনে ডিসি

পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির টানায় শক লেগে ৫ শিশু হাসপাতালে

আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে হাটহাজারীর কৃষকরা

রৌমারীতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না বলেই আন্দোলন মুছতে পারেনি : এটিএম আজহারুল

বোদায় ১৩৫০ টাকার সার ১৮০০ টাকায় বিক্রি, যৌথ বাহিনীর অভিযান

সমাজ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই : জহুরুল আলম
