নতুনরা দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি, বর্তমানরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে অসমাপ্ত কাজগুলো করতে চান

আয়তনের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় সিটি কর্পোরেশন গাজিপুর সিটি কর্পোরেশন। ৫৭ টি ওয়ার্ড নিয়ে ২০১৩ সালে গঠিত হয়েছিল এ সিটি কর্পোরেশনটি। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর জনসংখ্যা প্রায় ৬৫ লাখ। দেশের প্রায় ৭৫% গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান এই অঞ্চলে অবস্থিত। আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। নির্বাচনের আঞ্চলিক রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বৈধতা পেয়ে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন এই তিন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
ওয়ার্ড নং ০৭:
এই ওয়ার্ডে তিনটি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ২৬৯ জন। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ হাজার ৮৩১ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা রয়েছে ৬ হাজার ৪৩৮ জন। নারী ভোটারের চেয়ে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা রয়েছে বেশি। এই ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ কাউসার আহম্মেদ। তিনি কোনাবাড়ী থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। অপর তিন পার্থীর মধ্যে একজন যুবলীগ নেতা মো:জহিরুল ইসলাম (জহির), কোনাবাড়ী থানা আ.লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আহসান পালোয়ান,ব্যবসায়ী মোঃ হামিদুর রহমান (রনি)। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় বর্তমান কাউন্সিলর মো: কাউছার আহম্মেদ এবং জহিরুল ইসলাম (জহির) সম্পর্কে চাচাবাতিজা। এই ওয়ার্ডে ভাসমান ভোটারের সংখ্যা বেশি। সাধারণ ভোটাররা বলেন,এলাকার উন্নয়নে যে কাজ করবে আমরা তাকেই ভোট দিবো। এ ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো: কাউসার আহম্মেদ বলেন,২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর সকলের সহযোগিতা এবং দোয়ায় ইতিমধ্যে একটি গণ কবরস্থান,খেলার মাঠ করা হয়েছে। সেই সাথে ওয়ার্ড বাসীদের নিয়ে প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল এবং মাদ্রাসার জন্য জমির ব্যবস্থা করতে পেরেছি। এছাড়াও বিভিন্ন সেবামূলক কাজ, রাস্তাঘাট ড্রেনেজ ব্যবস্থা শাখা রোডের কাজ করা হয়েছে। কিছু কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। তিনি বলেন আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পূনরায় আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে পারব। তিনি আরো বলেন, খেলার মাঠের পাশে যেন একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্স করতে পারি । সেই কমপ্লেক্সের ভিতরে বিভিন্ন খেলাধুলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যেন আমাদের ছেলেমেয়েরা মাদকাসক্ত না হয় এবং মোবাইলের প্রতি আসক্ত না হয়।
এ ওয়ার্ডের অপর কাউন্সিলর পার্থী মো: জহিরুল ইসলাম (জহির) বলেন,আমাদের এই এলাকায় প্রায় লক্ষাধিক লোক বসবাস করে। জনগণ যদি আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাহলে আমি সিটি করপোরেশন এর নিয়ম অনুযায়ী সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করবো। এছাড়াও আমি ব্যক্তিগত ভাবে আমার সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করবো। তিনি বলেন,এ এলাকাটি শিল্পাঞ্চল হওয়ায় এখানে বিভিন্ন জেলা থেকে এসে চাকুরী করছে মানুষ । শ্রমিক ভাই বোনদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য কাজ করব। এলাকায় যে সব ভোটার আছে তাদেরও সার্বিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করবো। বিজয়ীর ব্যবপারে শতভাগ আশাবাদী বলে জানান এই পার্থী
ওয়ার্ড নং-০৮
কাউন্সির পার্থী আব্দুল মান্নান মিয়া রাজনৈতিক ভাবে এতটা পরিচিত না হলেও এলাকায় তার প্রভাব রয়েছে। বেশির ভাগ সময় উত্তরায় থাকেন তিনি । মাঝে মধ্যে আসতেন এলাকায়। এলাকার মানুষ তাকে সাহেব নামেই চিনেন। এবার প্রথম কাউন্সিলর পার্থী হয়েছেন তিনি । অপর দিকে পরপর দুইবার নির্বাচিত বর্তমান কাউন্সিলর ও কোনাবাড়ী থানা আ.লীগের সাংগঠিক সম্পাদক মোঃ সেলিম রহমান। এবার নির্বাচিত হলেই হেট্টিক করবেন তিনি। রয়েছে পূর্বের দশ বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতা। হরিণাচালা, দেউলিয়াবাড়ী,পারিজাত, নতুন বাজার এলাকা নিয়ে এ ওয়ার্ডটি গঠিত । এ ওয়ার্ডটিতে ৯ টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ২৩ হাজার ১৩০ জন। পুরুষ ভোটার রয়েছে ১১ হাজার ৭০৮ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ১১হাজার ৪২২ জন। এ ওয়ার্ডেও নারী ভোটারের চেয়ে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা বেশি।
কাউন্সিলর পার্থী আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন,আমার এলাকায় দূশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি। এ ওয়ার্ডে বিভিন্ন জেলার লোক বসবাস করে, বিভিন্ন ব্যবসায়ীসহ আমরাও বসবাস করি। সামন্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। রাস্তার পাশে এই ওয়ার্ডে দুই একটি ড্রেনেজের কাজ করলেও তা ক্লিয়ার করা হয়নি। যার কারণে পানি নিষ্কাশন হয়না। আমি যদি কাউন্সিলর নির্বাচিত হই প্রথমেই রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা,এলাকাবাসীর সবাইকে নিয়ে যতদ্রুত সম্ভব কাজ করবো। এই ওয়ার্ডকে আধুনিক স্মার্ট এবং মাদক, সন্ত্রাসমুক্ত ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলবো।
বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ সেলিম রহমান বলেন, গত দশ বছরে এ ওয়ার্ডে শ্রমিক ভাই ও বোন যারা আছেন তাদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে করে কাজ করে গেছি। এই ওয়ার্ডে যেন অনৈতিক কাজ না হয় সেই দিকে লক্ষ রেখেছি সব সময়। ২০১৩ সালের আগে এই ওয়ার্ডে গার্মেন্টস শ্রমিকরা বেতন নিয়ে বাসায় যেত পারতনা। বোনেদের গলার চেইন থাকতোনা আমি নির্বাচিত হওয়ার পর চুরি ছিন্তাই বন্ধ হয়েছে। তিনি আরো বলেন,এ ওয়ার্ডে উন্নয়ন এর মধ্যে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের রাস্তাটি আমরা ৪০ ফিট প্রসস্ত করেছি আর সি ড্রেনসহ,আরপি গেট থেকে পূর্ব দিকে চমক নগর যে রাস্তাটি আছে হরিণাচালা, শান্তি নগর,হাবিব নগর মাঝখান দিয়ে যমুনার বাউন্ডারি পর্যন্ত আরসি ঢালাইসহ ড্রেন করা হয়েছে। জেলখানার মেইন গেইট থেকে পশ্চিম দিকের রাস্তাটি ৮ ফিট ছিলো। একটি রিকসা আসলে আরেকটি রিকসা যেতো পারতোনা। সেই রাস্তাটি আমরা পানি ফ্যাক্টরী পর্যন্ত ৩০ ফিট এবং আরসি ঢালাইসহ ড্রেন নির্মাণ করেছি। ইব্রাহিম মেম্বারের বাড়ি থেকে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক পর্যন্ত ৪০ ফিট রাস্তা অধিগ্রহণ করেছি। ওই রাস্তাটি ৩০ ফিট পর্যন্ত পিজ ঢালাই করা হয়েছে। দুইপাশে ৫ ফিট করে রাখা হয়েছে আধুনিক ড্রেন করার জন্য। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে পূনরায় নির্বাচিত হয়ে দক্ষিণ দেউলিয়াবাড়ীতে একটি খেলার মাঠ, গন কবরস্থান এবং আঞ্চলিক যে সড়ক গুলো রয়েছে সেই সড়কগুলোর কাজ করবেন জানিয়েছেন তিনি । জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী এই কাউন্সিলর পার্থী।
ওয়ার্ড নং ১০-
এ ওয়ার্ডটিতে মামা এবং ভাগ্নের মধ্যে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী। একজন সাবেক কাউন্সিলর ও বর্তমান কোনাবাড়ী থানা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান এম এ। অপরদিকে বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ দেলোয়ার হোসেন দুলাল। তিনিও এলাকায় ন্যায় বিচারক নামে পরিচিত। দুই পার্থীরই এলাকায় জনসমর্থন রয়েছে। রয়েছে নিজস্ব ভোট ব্যাংক। এ ওয়ার্ডে ৭ টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ২১ হাজার ৮১৩ জন। পুরুষ ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১১ হাজার ৪৫৯ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৩৫৪ জন। এ ওয়ার্ডেও পুরুষ ভোটার সংখ্যা বেশি রয়েছে।
এ ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন করার কারণেই আবারও ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন বলে প্রত্যাশা করছেন,কাউন্সিলর পার্থী মো: দেলোয়ার হোসেন দুলাল। গত ৫ বছর আগে নির্বাচনী ইসতেহারে যেসব বিষয়ে জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার প্রায় সকল উন্নয়ন মুলক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান ওই কাউন্সিলর। পূনরায় নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে চান তিনি। তিনি আরো বলেন,এ ওয়ার্ডে রাস্তা করার কারণে উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো । যোগাযোগও হয়েছে অনেক সুবিধা জনক । কিছু সংযোগসড়ক করার বাকী রয়েছে । নির্বাচিত হলে তিনি এসব সড়ক ও সড়কবাতির ব্যবস্থা করবেন। এছাড়া মাদক ও ছিনতাই রোধে ১০ নং ওয়ার্ডের সবগুরুত্বপুর্ণ এলাকায় সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলেও জানান, তিনি ।
অপর কাউন্সিলর পার্থী খলিলুর রহমান এম এ বলেন, এলাকার মানুষ পরিবর্তন চায়। এ এলাকায় প্রায় ৫০% ভাসমান ভোটার রয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে তাদের জন্য কাজ করতে চাই। সন্ত্রাস,মাদক মুক্ত ডিজিটাল ও স্মার্ট ওয়ার্ড গড়তে চাই । তিনি বলেন বর্তমানে যেহেতু আ.লীগ সরকার ক্ষমতায় সেই দিক থেকে যদি আমি নির্বাচিত হই তাহলে এলাকার মানুষ বারতি সুবিধা পাবে। নির্বাচিত হলে এলাকার সকলের সহযোগিতায় ৫৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০ নং ওয়ার্ডটি রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো।
এমএসএম / এমএসএম

কুতুবদিয়ায় পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা

দুমকিতে রাস্তা দখলের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ

মুকসুদপুরে দূর্গাপূজা উপলক্ষে মুকসুদপুর থানার আয়োজনে প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত

ধামরাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

পটুয়াখালীতে সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উপকূলে বৃষ্টিপাত

কোনাবাড়িতে ডিভোর্সকৃত স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে সাবেক স্বামীর আত্মহত্যা

বিএনপি সরকার গঠন করলে জনগণের ভোগান্তি লাঘব হবে ও জনস্বার্থে সকল রাস্তার কাজ করা হবেঃ সিরাজুল ইসলাম সরদার

নেত্রকোনার মদনে চেয়ারম্যান-মেম্বারের ভুয়া ওয়ারিশান সনদে সম্পদ বঞ্চিত মা-মেয়ে

পাবিপ্রবিতে ‘প্রমীত ভাষা ব্যবহারের গুরুত্ব’ নিয়ে ভাষা বক্তৃতা অনুষ্ঠিত “সর্বত্র ভাষার অপপ্রয়োগ দূর করতে হবে”

ধামইরহাটে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলমূখী করতে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান

কালকিনিতে দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ করতে বিএনপির মতবিনিময়

চন্দনাইশে শান্তিবাহিনী ৬সদস্য সেনাবাহিনীর হাতে আটক

চিতলমারীতে সর্বজনীন উৎসব দুর্গাপূজা সফল করতে প্রস্তুতিমূলক সভা
Link Copied