জলবদ্ধতার কষ্টে চট্টগ্রামবাসী

চট্টগ্রাম নগরীর অভিজাত এলাকা সিডিএ আগ্রাবাদ আবাসিক। অমাবস্যা-পূর্ণিমা এলে কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানিতে টয়টম্বুর হয়ে যায় পুরো এলাকা। এসময় বন্ধ হয়ে পড়ে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য। পানি ঢুকে পড়ে বাসা-বাড়ি এবং সবখানে। দুর্ভোগ পোহাতে হয় ওই এলাকার মানুষদের। একই কষ্টে আছে বাংলাদেশের বৃহত্তম পাইকারী বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারী এবং এলাকাবাসী। জোয়ারের পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতিসাধণ করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের। আর মাত্র ঘন্টার অঝোর ধারার বৃষ্টি হলে জলবদ্ধতায় রূপ নেয় পুরো নগরী। কোনো কোনো স্থানে পানি ওঠে হাঁটুর ওপর। এতে সবশ্রেণীর মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে। কষ্টের শেষ থাকে না ৫০ লাখ নগরবাসীর।
জলবদ্ধতার কারণ হিসাবে নগর পরিকল্পনাবিদরা মনে করছেন, নগরে মোট ১৭টি প্রাকৃতিক খাল আছে। এসব খালের এক সময় প্রশস্ত ছিল বড়। দখলের কারণে সংকুচিত হয়েছে খালগুলোর প্রশস্ততা। এছাড়া খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ খালের গভীরতা কমে পানি নিষ্কাষণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। ফলে নদীর জোয়ারে এবং অঝোর বৃষ্টিতে লোকালয়ে জলবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সার্ফেস ড্রেন, স্যুয়ারেজ লাইন ও নগরের অভ্যন্তরে খাল-নালা অধিকাংশ ভরাট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় নগরের পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। খোঁড়াখুড়ির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভাঙ্গা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে নগরবাসীকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। যানজট ও জলজটে নাকাল হয় নগরবাসী। বর্ষা মৌসুম আসার পর থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতে নগরের রাস্তাঘাটে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি জমছে। আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় বৃষ্টির পানি ছাড়াও বঙ্গোপসাগরের স্বাভাবিক জোয়ার ভাটায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। পুরো বর্ষকাল যেন চট্টগ্রাম বানে ভাসা ভেনিস নগরীতে পরিণত হয়। এসময় বাস অয়োগ্য হয়ে উঠে চট্টগ্রাম নগরী।
জলাবদ্ধতা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না নগরবাসী। কয়েক দশক ধরে এ দুর্ভোগ চলে আসলেও স্থায়ী সমাধান হচ্ছেনা। গত চার দিনের বৃষ্টিতে বহদ্দরহাট মোড়,প্রবর্তক মোড়,কাতালগঞ্জ ও বাদুরতলা,আগ্রাবাদ, হালিশহর,পতেঙ্গা, মুরাদপুর, চকবাজার, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জসহ নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় কোমর সমান পানি জমে যায়।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোকৌশল বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড.মুহাম্মদ হয়রত আলী বলেন, পলিথিন,প্লাষ্টিকের বোতলসহ নানা প্রকারের আবর্জনা এবং পাহাড়ের মাটি ক্ষয় হয়ে ড্রেন, খাল ও নালাগুলো ভরাট হয়ে গেছে। এতে স্বাভাবিক পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগ বাড়ছে নগরবাসীর। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভাগও সঠিকভাবে ড্রেন পরিস্কার না করায় দিনদিন পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।
এদিকে পাহাড়কাটা বন্ধ না হওয়ায় নগরীর নালা ও খালগুলো ভরাট হয়ে বৃষ্টির পানি ধারণক্ষমতা কমিয়ে ফেলছে। এতে বাড়ছে জলাবদ্ধতা দুর্ভোগ।
নগরের স্ট্রম স্যুয়ারেজ লাইনের অবস্থাও একই রকম। মাঝারি বৃষ্টি হলেই নগরীর বিভিন্নস্থানে ম্যানহোলের ঢাকনা উপচে ময়লা পূঁতিগন্ধময় পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। অন্যদিকে নগরের রাস্তার উপরিভাগে পানি নিষ্কাশনে নির্মিত চসিকের সার্ফেস ড্রেনের অস্তিত্ব মেলে না অনেক স্থানে। ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে রাস্তার সাথে মিশে গেছে। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই উপচে পড়ে রাস্তায়। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ড্রেন পরিস্কারের পর ময়লা-আবর্জনা দূরে না সরিয়ে ড্রেনের পাশে স্তুপ করে রেখে দেয়। এসব ময়লা কদিন পর আবারও ড্রেনেই গড়িয়ে পড়ে। এতে বন্ধ হয়ে যায় সার্ফেস ড্রেন। পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়ে সয়লাব হয় নগরীর রাস্তাঘাট।
এমএসএম / জামান

চট্টগ্রামে রাস্তায় ৫০ হাজার অনিবন্ধিত সিএনজি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কসবায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ, রফিকুল আলমের চাকরিচ্যুতি দাবিতে মানববন্ধন

তাড়াশে বিয়ে বাড়িতে চুরির ঘটনা

টুঙ্গিপাড়ায় শুরু হয়েছে টাইফয়েড ভ্যাকসিন টিকাদান কর্মসূচি

তেঁতুলিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পর্যটন কেন্দ্র এখন মোহনগঞ্জের গলার কাঁটা

অভয়নগরে শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ

রাঙামাটিতে টাইফয়েড টিকাদান শুরু
