ঢাকা শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫

অর্থ আত্মসাতের দায়ে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষকে ওএসডি


এম মাহফুজ আলম, পাবনা photo এম মাহফুজ আলম, পাবনা
প্রকাশিত: ১-৬-২০২৩ দুপুর ১:৩৩

অবশেষে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত ঐতিহ্যবাহী পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষকে ওএসডি করা হলো। বিভিন্ন তহবিল থেকে ৫৬ লাখ ৮ হাজার ৮৮৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ হুমায়ুন কবির মজুমদারকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। তাকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমকি অধিদফতরের (অফিসিয়াল স্পেশিয়াল ডিউটি) ওএসডি করা হয়েছে।

বুধবার (৩১ মে) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সরকারি কলেজ শাখার উপ-সচিব  চৌধুরী সামিনা ইয়াসমিনের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, বিসিএস (সাধারণ) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে (অধ্যাপক ড. মোঃ হুমায়ুন কবির, অধ্যক্ষ, এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা) পূনারাদেশ না দেয়া পর্যন্ত নিজ বেতন ও বেতনক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদফতরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি বা পদায়ন করা হলো। তিনি আগামী ৪ জুনের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল হতে অবমুক্ত হবেন। অন্যথায় একই তারিখে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।

জানা গেছে, ২০১৬/২০১৭ অর্থ বছরে কলেজ তহবিলের বিভিন্ন খাত হতে ২ কোটি টাকার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির মজুমদারের বিরুদ্ধে। এরই আলোকে দুর্নীতি দমন জেলা কার্যালয় পাবনা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। দীর্ঘ দিনের তদন্ত কার্যক্রম শেষে ২০২১ সালে জুন মাসে তার বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত হয়। দুদকের প্রাথমিক তদন্তে ৫৬ লাখ ৮ হাজার ৮৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মেলে।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, কলেজের ছাত্র সংসদের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও অধ্যক্ষ ছাত্র সংসদ তহবিল থেকে ১৫টি চেকের মাধ্যমে পাঁচ জন ছাত্রনেতা ও কর্মচারীর নামে ৫ লাখ ২ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। কলেজের উন্নয়ন তহবিল থেকে উন্নয়ন কমিটির সুপারিশ ছাড়াই কোটেশন ছাড়া ভুয়া আবেদন, বিল, ভাউচার করে ৩৮টি চেকের মাধ্যমে ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ২৩৮ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। কলেজের বিবিধ তহবিল  থেকেও একইভাবে ভুয়া আবেদন ও বিল ভাউচার করে ৩৭টি চেকের মাধ্যমে ১৩ লাখ চার হাজার ৪২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া কলেজের বেসরকারি আদায় তহবিল থেকে ভর্তি কার্যক্রম ও ফর্ম পূরণ বাবদ নির্ধারিত ফিসহ, অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে এ ফান্ডে জমা দিয়ে পরে ২৮টি চেকের মাধ্যমে ১৮ লাখ তিন হাজার ৭০৬ টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেছেন।

মামলার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ২৯ মার্চ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পাবনা আঞ্চলিক কার্যালয়ে তলব করা হয়। পরে সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পাবনা অঞ্চলের দুদকের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্র ধর। পরের দিনও তাকে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত এই মামলার চার্জশিট দেয়া হবে।
এবিষয়ে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ হুমায়ুন কবির মজুমদারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন   কেটে দেন। 

এমএসএম / এমএসএম

জাঁকজমক ও আনন্দঘন পরিবেশে পাবনা জেলার ১৯৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নওগাঁয় হারিয়েছে প্যাডেল চালিত রিকশাঃ ভরসা এখন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা

বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ন মিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

রাজস্থলীতে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বাস খাদে, আহত ১

আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী জিহাদ হোসেন এইচএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন

আদমদীঘিতে বিএনপির কর্মিসভা অনুষ্ঠিত

বাউফলের জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়ম: ইউপি সচিবকে শোকজ

লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে কোন বৈষম্য রাখবো নাঃ আবুল কালাম

হাটহাজারীতে সরকারি পথে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা, চরম দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ

বালিয়াকান্দিতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ছুটির দিনেও চড়া মোহনগঞ্জে সবজির বাজার

রায়গঞ্জে ব্যারিস্টার বাতেন : ‘৩১ দফাই শান্তি ও সমৃদ্ধির রূপরেখা’

নরসিংদীতে সবজির বাজারে অস্থিরতা