ইবিতে দুই দিনব্যাপী প্রযুক্তি গবেষণা বিষয়ক সিম্পোজিয়াম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দুইদিনব্যাপী ‘ব্র্যাকনেট’ প্রেজেন্টস আই-ইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার-সামার সিম্পোজিয়াম-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
গত শুক্রবার শুরু হওয়া দুইদিনব্যাপী সামার সিম্পোজিয়ামে প্রযুক্তি সম্পর্কিত ১৭৮টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ। পরে সেরা গবেষণাপত্র উপস্থাপনের ভিত্তিতে ১০টি দলকে মোট ৫০ হাজার টাকার প্রাইজ-মানি প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, 'আই-ইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার’ এবং ‘ইবির ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি’ বিভাগ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিভিন্ন দেশ থেকে ৪৪৮জন গবেষক তাদের দুই শতাধিক গবেষণাপত্রের অ্যাবস্ট্রাক্ট জমা দেন। পরে অংশগ্রহনকারীদের উপস্থাপনা ও কাজের ভিত্তিতে সেরা দশ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ৯টি দেশ হলো-বাংলাদেশ, যুক্তরাস্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়া।
যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) গবেষকদল সঞ্জয় দাস, আনিসা খাতুন ও অধ্যাপক সাইদুর রহমান এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) গবেষকদল অমিতা সিংহা, আহসান উল্লাহ।
যৌথভাবে প্রথম রানার্সআপ হয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) গবেষকদল আলীমুল ইসলাম ও আবু সাঈদ চৌধুরী এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) গবেষকদল রাকিবুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম।
দ্বিতীয় রানার্সআপ যৌথভাবে ৫টি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত করা হয়। এরা হলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) গবেষকদল প্রিতম বোসাক, নাজমুস সাকিব ও অধ্যাপক ড. ইসমাইল জাবিউল্লাহ। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) গবেষকদল তায়েবা ইয়াসমিন ও মিল্টন কুমার কুন্ডু। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষকদল (বিইউবিটি) শিরিন সুলতানা, জাহিন হোসেন, মারুফ বিল্লাহ, হাসিবুল হোসেন, সাইফুর রহমান ও খন্দকার ফিদা হাসান।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গবেষকদল আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুল আউয়াল ও আলী মনি। মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) গবেষকদল জহিরুল ইসলাম, তাসনীম মুবাশ্বিরা ও নজরুল ইসলাম।
এসময় বিজয়ীদের হাতে সম্মানি পুরষ্কার, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও আই-ইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চেয়ার অধ্যাপক ড. শামসুল আরেফিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, আই-ইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার জেনারেল চেয়ার অধ্যাপক ড. শামসুল আরেফিন ও টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম চেয়ার অধ্যাপক ড. আহসান হাবিব, আই-ইইই অরগানাইজিং চেয়ার আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, কো-চেয়ার অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, অরগানাইজিং সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামসহ বিভাগের অন্য শিক্ষকরা ও ব্রাকনেট লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মোকাররম হোসেন প্রমুখ।
বিভাগের শিক্ষার্থী মুস্তাকিম মুসল্লি পিয়াস ও মারুফা ইয়াসমিন মিশুর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আইসিটি বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন। এছাড়াও ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার ও অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুলসহ বিভাগের অন্য শিক্ষকরা বক্তব্য প্রদান করেন।
এসময় বক্তব্য প্রদানকালে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘১৭৮ টি গবেষণা উপস্থাপন করা সত্যিই অসামান্য। আমি চাই গবেষণায় কিভাবে আমার শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা যায়। তবে সরকারের গবেষণা বরাদ্দের তুলনায় শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোকে এরূপ আয়োজনের সহযোগিতায় বেশি এগিয়ে আসতে হবে।’
দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানটির টাইটেল স্পন্সর ছিল ‘ব্র্যাকনেট লিমিটেড’ এবং অ্যাসোসিয়েট স্পন্সর ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন – ইউজিসি’। এছাড়াও অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল চ্যানেল-২৪ ও আজকেন পত্রিকা, ইয়ুথ পার্টনার ‘স্পার্ক – আই-ইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার’ ও অনুষ্ঠানটির টেকনিক্যাল সাপোর্ট হিসেবে ছিলেন ‘আই-ইইই ইবি স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ’ ও ‘স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব আইসিটি- এসএআইসিটি’।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্সটিটিউট অব ইলেক্ট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (আই-ইইই) বিশ্বের ইঞ্জিনিয়ারদের সর্ববৃহৎ সংগঠন। সংগঠনটি বিশ্বব্যাপী প্রকৌশল ও প্রযুক্তির উন্নতি সাধনে নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। প্রকৌশল পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল শিক্ষায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে সংগঠনটি। ২০১৯ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আই-ইইই স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ যাত্রা শুরু করে।
এমএসএম / এমএসএম

রাজনৈতিক দুষ্টচক্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

গঠনতন্ত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংযোজন করে ইকসু'র দাবি
