দৈনন্দিন জীবনে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব

ইউরোপের দেশগুলো দিয়ে অর্থনীতিতে মন্দা শুরু হয়েছে। করোনার ভয়াবহ ছোবল এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এই অঞ্চলের মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিয়েছে। রাশিয়া কর্তৃক সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ইউরো জোনে জ্বালানিসংকট প্রকট হয়েছে। শিল্প উত্পাদন ব্যাহত হচ্ছে। অনেক লোক বেকারত্ব বরণ করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন,মূল্যস্ফীতির এ ধারা অব্যাহত থাকলে ইউরোপের দেশগুলোতে তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হবে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ইউরোপের অর্থনীতির বিপদ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন মূল্যস্ফীতির এই হার ১০ শতাংশের ওপরে; যা গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। যেসব দেশ ইউরো ব্যবহার করে সেগুলোতে গড় মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের ওপরে। এস্তনিয়ার মূল্যস্ফীতি ২৩ শতাংশের ওপরে। লাটভিয়া, লিথুনিয়ার মূল্যস্ফীতি ২১ শতাংশ। পুরো ইউরোপ জুড়ে এখন খাদ্যের দাম দিন দিন বাড়ছে। এছাড়া এনার্জিও দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ, শিল্পজাত পণ্যেও দাম বেড়েছে ৫ শতাংশের ওপরে। এ অবস্থা মোকাবিলা করতে গিয়ে কোনো কোনো দেশের সরকার বিপদে পড়েছে। এদিকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে এখন সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে সেটি হচ্ছে, আগামী দিনগুলোর জন্য অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ভবিষ্যৎ। কারণ তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এ দেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা, বেঁচে থাকার রসদ আর নিশ্চয়তা। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে এখন আরও যে একটি সংকট দেখা দিয়েছে সেটি হলো ডলার সংকট। এই সংকটের কারণে বড় বড় দেশীয় কোম্পানির আমদানি করা সাধারণ মানুষের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামালের মূল্য পরিশোধ করে বাজারজাত করতে সময় লাগছে। ফলে বাজারে তার প্রতিক্রিয়ায় প্রতিনিয়ত মূল্য বৃদ্ধি ঘটছে। কষ্ট বাড়ছে সাধারণ মানুষের। তারা এখন তাদের জীবনসংগ্রামে ব্যস্ত। প্রাত্যহিক জীবনের বাড়তি খরচ কমিয়ে কোনো রকমে টিকে থাকার চেষ্টা করছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সাম্প্রতিক জরিপ জানাচ্ছে, গত বছরের শুরু থেকে এ বছরের এখনকার সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবন যাপনের ক্ষেত্রে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বেড়েছে। যার ভুক্তভোগী দেশের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। এদিকে বহু মানুষ ভুগছে পুষ্টির অভাবে। কারণ গত এক বছরে দেশে গড়ে মাছ, মাংস, ডিম এবং ডালের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে অস্বাভাবিক ভাবে। এসব কারণে কমপক্ষে ২২ শতাংশ মানুষ ভুগছে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায়। এদিকে বিশ্বব্যাপী চলমান বছরে মন্দার আশঙ্কা এখনও রয়েছে।বছর খানেক আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়বে, এমনি আশঙ্কার কথা বলছিল। যার শিকার হবে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশ, যার মধ্যে থাকবে বাংলাদেশও। বলা হচ্ছে, যেসব দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে ভালো সেসব দেশ স্বাভাবিকভাবেই অপেক্ষাকৃত কম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। কিন্তু আমাদের দেশের মতো বৈদেশিক মুদ্রার খরচ বেড়ে গেছে আমদানি ব্যয় করার কারণে। ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যকার সংঘাতের ফলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য। ফলে একই পরিমাণ পণ্য আমদানি করতে আগের চেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয় দেশগুলোকে। এতে ডলার-সংকটে প্রায় সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে শুরু করে।বাংলাদেশের রিজার্ভও এ সময় কমেছে গত বছর জানুয়ারিতে ৪৫ বিলিয়নের কাছাকাছি থাকা রিজার্ভ কমে বর্তমানে সাড়ে ৩২ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে আগস্টে রেকর্ড পরিমাণ ৪৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ছিল বাংলাদেশের। এই এক বছরে ডলারের বাজার সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে।
দেশে গত বছর জানুয়ারি মাসে আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলারের বিক্রয় মূল্য ছিল ৮৫ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ১০৭ টাকা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে এমনটাই বলছে। তবে এ সময় কাব বাজারে ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১২২ টাকায়ও বিক্রি হয়। বর্তমানে যা ১১২ টাকা। ডলারের দাম আকস্মিক বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে অত্যাবশ্যকীয় ছাড়াও প্রায় সব ধরনের ভোগ্য ও ব্যবহার্য পণ্য,জ্বালানি তেল ও শিল্পের মূলধনী যন্ত্র আমদানিতেও।কেবল আমদানীকৃত পণ্যই নয়, দেশে উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন খরচও বাড়িয়ে দিয়েছে এ যুদ্ধ। ফলে সেগুলোর বাজারদরও বেড়েছে। টিসিবির প্রতিবেদনে চাল, আটা, ডাল, তেল, চিনি, মসলা, ব্রয়লার ও ডিমের মূল্যবৃদ্ধি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এক বছরে এই আটটি প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের দাম গড়ে ৩৯ দশমিক ০২ শতাংশ বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দাম ও সার্বিক খরচ বাড়ায় বেকারি পণ্যসহ সব ধরনের খাবারের দামই বেড়েছে। খরচ বেড়ে যাওয়ায় হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতেও খাবারের দাম ৫ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে; কমেছে গ্রাহক।কেবল পণ্যমূল্যের ওপরেই নয়, দেশের মানুষের জীবনমানের ওপরেও এই যুদ্ধের বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এই যুদ্ধের অভিঘাতে এক বছরে মানুষের জীবনমান কমেছে। করোনায় বিপর্যস্ত মানুষ এখন মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করে পেরে উঠছে না। জিনিস পত্রের দাম অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। করোনার পর তাদের জীবন আরও সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে সরবরাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে ধরে রাখা এবং দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে হবে। কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে এই যুদ্ধের কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় বাংলাদেশ বেশি চাপের মুখে পড়ে যায়। সেই সঙ্গে রাজস্ব ঘাটতি, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে হস্তক্ষেপ, ব্যাংকিং খাতে নানা অনিয়মসহ নিজস্ব কিছু দুর্বলতার কারণেও সংকট প্রকট হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করার আগে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। আমাদের অভ্যন্তরীণ নীতিগত সংস্কার প্রয়োজন। আইএমএফের ঋণের ইস্যুতে অনেকগুলো সংস্কারের বিষয় সামনে এসেছে। আগেও এসব সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এগুলোর বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমাদের এখন ডলারের প্রয়োজন। সুতরাং এর জন্য প্রয়োজনীয় নীতিগত পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এক বছর আগে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এখনো ধুঁকছে গোটা বিশ্ব। বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই দুই দেশের মধ্যকার যুদ্ধ বিশ্ববাণিজ্যের ভারসাম্যকে বিশালভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বাংলাদেশেও ব্যাপকভাবে এর প্রভাব পড়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ এ সময়ে দেশে ডলারের দাম লাগাতার বেড়েছে। টাকার দাম অনেকখানি পড়েছে। কমে গেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ব্যাংক গুলোতে দেখা দিয়েছে ডলার সংকট। আমদানির জন্য এলসি খোলা ব্যাহত হচ্ছে। শিল্প খাতগুলোতে দেখা দিয়েছে কাঁচামালের সংকট। আমদানিসহ সয ক্ষেত্রে কৃচ্ছ্রসাধন প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ ও শিল্প গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে, যা উৎপাদন খরচের সঙ্গে বাজারের পণ্যমূল্যও বাড়িয়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতির সংকট আরও প্রকট হয়েছে। সবকিছুতে খরচ অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনযাপন আরও কঠিনতর হয়ে পড়েছে। দেশে ভোক্তা অধিকার নিয়ে দীর্ঘসময় কাজ করা সংগঠন কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব বলছে, ২০২২ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় ১০ দশমিক ০৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালে এ ব্যয় বেড়েছিল ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে জীবনযাত্রার ব্যয় ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি বেড়েছে। করোনার অভিঘাত কাটিয়ে ওঠার আগেই যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতির চাপে বিপর্যস্ত সবাই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগেও দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পর মূল্যস্ফীতির পারদ চড়তে চড়তে জুন মাসে সাড়ে ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। সেখানেই থামেনি, গত আগস্ট মাসে তা সাড়ে ৯ শতাংশে পৌঁছায়।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনের তথ্য এমনটাই বলছে। যদিও দেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির এই সরকারি হিসাবে ত্রুটি রয়েছে। প্রকৃত মূল্যস্ফীতি আরও বেশি। এ থেকেই বোঝা যায়, সাধারণ মানুষের ওপর এ যুদ্ধের চাপ কতখানি।সরকারি হিসাবে গত সেপ্টেম্বর থেকে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে। যদিও তা সামান্য হারে। বিবিএসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ডিসেম্বরে দেশের মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ হার ৬ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সহনীয়। অর্থাৎ সরকারি হিসাবেই মূল্যস্ফীতি অসহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাত পড়েছে বলে জানান বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। এ যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক যে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে তাতে আমদানীকৃত মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, রিজার্ভে চাপ পড়েছে, টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে যা মূল্যস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সরবরাহ ব্যবস্থার স্বাভাবিক অবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে তাতে আমদানিও ব্যাহত হয়েছে। জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তায় এর প্রভাব পড়েছে। এবং ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন হওয়ায় বাংলাদেশকে বিভিন্ন চাপে পড়তে হচ্ছে। সাহায্যদাতা দেশগুলোর বাজেটের বড় একটি অংশ যুদ্ধের দিকে সরে গিয়েছে। পরিশেষে, বৈশ্বিক পরিসরে ভূ-রাজনীতি এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে এখন যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে তা আমাদের মতো ছোট দেশের জন্য ভালো নয়। কারণ এমন একটি পরিবেশে আমাদের মতো দেশগুলোর অর্থনীতিতে মন্দা হবে নাকি মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে-এ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সংকট মোকাবিলায় সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো ভালো।
তবে এ ধরনের অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি মোকাবিলায় রাজস্ব আহরণসহ আমাদের অভ্যন্তরীণ শক্তিসামর্থ্যগুলোকে আরও জোরদার করার দিকে নজর দিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। মন্দা না হলেও এ যুদ্ধের ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের খরচ মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। বৈশ্বিক মন্দা দেখা দিলে জ্বালানির বর্তমান সংকট আরও তীব্র হতে পারে। বাড়তে পারে দামও। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বাড়বে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে কমবে চাহিদা। এতে করে কমে যাবে রপ্তানি আয়ের ধারাবাহিকতা। বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব পড়বে বিশ্বের বিভিন্ন খাতের শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যে। ফলে কমতে পারে রেমিট্যান্স। বৈশ্বিকভাবে মুদ্রার বিনিময় হারে অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান সঞ্চিত রিজার্ভ আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হতে পারে। উদ্বেগের বিষয় হলো, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ মারাত্মকভাবে কমে যায়। শিল্পোৎপাদন হ্রাস পায় এবং ব্যাংকে ব্যাংকে নতুন খেলাপি উদ্যোক্তার সৃষ্টি হয়। এসবের প্রভাবে কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে আসে এবং বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়। সার্বিকভাবে মোট দেশজ উৎপাদনও (জিডিপি) কমে যেতে পারে দেশে দেশে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য চলমান ব্যয়সংকোচন নীতিতে অটল থেকে সরকারকে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ও আমদানি কমিয়ে আনতে হবে জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, আগামী দিনগুলোর জন্য পরিকল্পিত অর্থনৈতিক সমাধান এখখই ঠিক করতে হবে। নইলে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তসহ স্বল্প আয়ের মানুষ আরও সংকটের মুখে পড়বে।
এমএসএম / এমএসএম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন
