ঢাকা বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

অবিলম্বে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাশের দাবি নারী এমপিদের


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭-৬-২০২৩ রাত ৯:৪১

২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ বিনির্মাণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীর খসড়া দ্রুত অনুমোদনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের নারী সদস্যরা। ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক মুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন কেন জরুরি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় নারী সংসদ সদস্যরা এ দাবি জানান।

শনিবার (১৭ জুন) নারী মৈত্রী আয়োজিত রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত আইসিটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন নাছিমা বেগম-এনডিসি, সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন,বাংলাদেশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শবনম জাহান শিলা, সংসদ সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩; অ্যারোমা দত্ত, সংরক্ষিত মহিলা আসন-১১; নার্গিস রহমান, সংরক্ষিত মহিলা আসন-২৫, লুৎফুন নেসা খান, সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪৮, আফরোজা হক, সংরক্ষিত মহিলা আসন-৫০, আদিবা আনজুম মিতা, সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩৭, বাসন্তী চাকমা, সংরক্ষিত মহিলা আসন-৯, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, সংরক্ষিত মহিলা আসন-১২ এবং শিরিন নাঈম পুনম, সাবেক সংসদ সদস্য। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

মতবিনিময় সভায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমকে প্রধান উপদেষ্টা করে এক কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে আহ্বায়ক করা হয় সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩ আসনের সাংসদ শবনম জাহান শিলা। 

নারী সাংসদদের নিয়ে নবগঠিত এই ফোরামের সদস্যরা জানান, “তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীর খসড়া দ্রুত অনুমোদনের ব্যাপারে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবেন। মন্ত্রীসভায় খসড়া অনুমোদনের পর যখন সেটি সংসদে উপস্থাপন করা হবে, তখন আইন পাশের ব্যাপারে জোরালো বক্তব্য প্রদান করবেন এবং আইন পাশের দাবিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবেন।পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলেও এই সাংসদরা মনে করেন। এসময় তারা ২০৪০ সালের মধে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে একযোগে শপথ নেন।“

নারী সাংসদ অ্যারোমা দত্ত বলেন, “বাংলাদেশে পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। এতে তারা মুখের ক্যানসার, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ অনেক জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়া তামাকের কারণে গর্ভবতীদের গর্ভপাত হচ্ছে, সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মায়ের মৃত্যুও হচ্ছে। এজন্য নারী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীর খসড়া দ্রুত পাশ করার দাবি জানাই।“  

নারী সাংসদ শবনম জাহান শিলা বলেন, “তামাক নারী স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তামাক ব্যবহারের কারণে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। তামাকের কারণে যেসব রোগ হচ্ছে, সেই রোগের চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন  করতে গিয়ে অনেক পরিবার দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। তাই এখনই উপযুক্ত সময়, তামাক বর্জন করার। প্রধানমন্ত্রীর  ঘোষণা অনুযায়ী, ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীর খসড়া যাতে অবিলম্বে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়, সে দাবি জানাচ্ছি।“

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: সাইদুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনীটি মন্ত্রীসভায় অনুমোদনের জন্য কেবিনেট ডিভিশনে পাঠানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে সেটি কেবিনেট ডিভিশনে পাশ হয়ে চলতি সংসদ অধিবেশনে উত্থাপন করা হবে। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেন, “নারী স্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক ধোঁয়াবিহীন তামাক। নারীদের মধ্যে বৃহত্তর একটি জনগোষ্ঠী তামাকের কারণে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। শুধু তাই নয়, পাবলিক প্লেসে ধূমপানের কারণে অধূমপায়ী নারী ও শিশুরাও মারাত্মক স্বাস্থ্যগত ক্ষতির শিকার হচ্ছে। তামাকের এসব ক্ষতি থেকে সবাইকে রক্ষার জন্য দ্রুত বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটির সংশোধনী পাশ করতে হবে। কেননা, যত দ্রুত আইন পাশ হবে, তত বেশি মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নারী মৈত্রীর প্রকল্প সমম্বয়কারী নাসরিন আক্তার। প্রবন্ধে জানানো হয়,  গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ মতে, বাংলাদেশে ৩৫.৩ শতাংশ বা প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়ক্ষ মানুষ (১৫ বছর বা বেশি) তামাক ব্যবহার করে থাকে। অন্যদিকে ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ মানুষ ধূমপান না করেও বিভিন্ন গণপরিবহন পাবলিক প্লেসে প্রতিনিয়ত পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। টোব্যাকো এটলাস ২০১৮ এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের ফলে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ অকাল মৃত্যুবরণ করেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে 'ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) -এর অধিকতর সংশোধনের জন্য এফসিটিসি'র আলোকে একটি খসড়া প্রস্তাবনা প্রণয়ন করেছে। যেখানে সকল পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে 'ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান' নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রর্দশন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির যেকোনো ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০% থেকে বাড়িয়ে ৯০% করা; বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা এবং ই-সিগারেটসহ সকল ইমার্জিং ট্যোব্যাকো প্রোডাক্টস্ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার কথা খসড়ায় বলা হয়।

শাফিন / শাফিন

তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ এর অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান

জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত

ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি

জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত

কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত

পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম

ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে

উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ

হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার

ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা